Cute Orange Flying Butterfly 2016-09-04 ~ ‎অচিনপুরের আইয়ুব‬
আস-সালামু আলাইকুম। আমি আইয়ুব আনসারি। আমার লেখাগুলো পড়তে প্রত্যহ ব্লগটি ভিজিট করুন

বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ভাবুক মন



নিস্তব্ধ নিশি;
বিষন্ন মন।
একাকি বসি;
ভাবি সারাক্ষণ।

ভাবে এ মন;
কি এ ভূবন?
কেনই বা এর সৃষ্টি!
চারিদিকে ফিরায় দৃষ্টি।
শুধু দেখে তম;
হল কি স্মৃতিভ্রম?

তাহলে কি এ সুতাকাটা ঘুড়ি?
নাই যার জুড়ি!
যার নাই কোন বাধা,
ঘোরে-ফিরে, বেড়ায় সদা।
ভাবে এই মন,
হোয়্যার ইজ মাই ডেসটিনেশন??

মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ফেসবুকে ৮ তথ্য না দেয়ার পরামর্শ দিল পুলিশ।

ফেসবুকে ৮ তথ্য না দেয়ার পরামর্শ দিল পুলিশ


আইয়ুব আনসারি
অচিনপুরের আইয়ুবের ব্লগ

ফেসবুক ব্যবহারে অসচেতনতার কারণে মানুষ নিজের অজান্তেই নিজেকে অনিরাপদ করে তুলছে। 
লোকেশন ট্যাগ সহ নিজের ও পরিবারের সদস্যদের ছবি পোস্ট করার মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্যাদি অপরাধীদের কাছে সহজলভ্য করে দিচ্ছে।

কারণে কিছু বিষয় ফেসবুকে শেয়ার না করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। 
এভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটনা এড়ানো সম্ভব বলে তারা আশা করছেন।

ফেসবুকে যে ৮টি বিষয় শেয়ার না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে:


১. জন্ম তারিখঃ-

অনেকেই নিজের জন্ম তারিখ ফেসবুকে উন্মুক্ত করে রাখেন। এটি আপনার জন্য অনিরাপদ। কারণ তথ্য প্রযুক্তির যুগে জন্ম তারিখ থেকেই অনেক তথ্য সংগ্রহ করেন হ্যাকারা। অথবা যেকোনো শত্রু এই বিশেষ দিনে টার্গেট করে আপনার ওপর হামলা চালাতে পারে। তাই ফেসবুকে জন্মতারিখ উন্মুক্ত রাখার বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

২. শিশু কোথায় পড়াশুনা করেঃ-

গত কয়েক বছরের যৌন ও শিশু বিষয়ক অপরাধগুলো গবেষণা করে ইংল্যান্ডের শিশু বিষয়ক সংস্থা এনএসপিসিসি জানান, অধিকাংশ অভিভাবক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে অসচেতন ছিলেন। এজন্য অনাকাঙ্খিত ঘটনাগুলো ঘটেছে।
অথচ অনেক অভিভাবক শিশুদের নিয়ে অবেগাপ্লুত হয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। সেইসঙ্গে স্ট্যাটাসে জানিয়ে দেন, তার শিশু কোন প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করছে। এটি শিশুর জন্য নিরাপদ নয়। এতে শিশু অপহরণের ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে।

৩. শিশুর ছবিঃ-

অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বলেন, ‘শিশুদের নিয়ে যেকোনো তথ্য পাবলিকের কাছে শেয়ার করার বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। যদিও অনেকেই শিশুদের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেন। এতে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ে। দেখা গেল, শত্রুরা আপানার শিশুকে চিনে রাখলো। এরপর সুযোগ বুঝে শিশুটিকে অপহরণ করলো।’

৪. বর্তমান অবস্থানঃ-

যেখানে সেখানে সেলফি তুলে লোকেশন ট্যাগ করে দেওয়াটা অনিরাপদ। এর মাধ্যমে যে কেউ আপনার সবশেষ অবস্থান জানতে পারে। ফলে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ে। দেখা গেল, আপনার অবস্থান জেনেই শত্রুপক্ষ আপনার ওপর হামলা করলো।

৫. কখন এবং কোথায় যাচ্ছিঃ-

দেখা যায়, আমরা কখন, কোথায় যাচ্ছি কিংবা ভ্রমণে বের হচ্ছি সে বিষয়টি ফেসবুকে জানিয়ে দিই। যা মোটেও নিরাপদ নয়। এই বিষয়গুলো জেনে আপনার প্রতিপক্ষ ক্ষতি করতে পারে। হয়তো শত্রুপক্ষ আপনার এমন তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলো। সেটি জেনে আপনার ওপর হামলা করতে পারে। ফেসবুকে এসব বিষয়ের জানান দেওয়া নিজের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

৬. নির্দিষ্ট স্থান ট্যাগ করাঃ-

অনেক সময় ফেসবুকে নিজের অবস্থানের নির্দিষ্ট স্থান ট্যাগ করে দেন অনেকেই। ওই সময় আপনার প্রোফাইল যে ভিজিট করবে, সে জানতে পারবে এখন আপনি কোথায় আছেন। সেটি বাসায় কিংবা অফিসে হোক। দেখা গেল, এভাবে কেউ আপনার বাসা ও অফিসের ঠিকানা সংগ্রহ করে রাখলো। পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে আপনার ক্ষতি করলো। আর এ জন্য ফেসবুকে লোকেশন ট্যাগ করা মোটেও নিরাপদ নয়।

৭. ফোন বা মোবাইল নম্বরঃ-

অনেকেই মোবাইল কিংবা ফোন নাম্বার ফেসবুকে উন্মুক্ত করে রাখেন। যা সম্পূর্ণভাবে অনিরাপদ। দেখা গেলো, শত্রুপক্ষ আপনার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে এবং সুযোগ বুঝে কাজ করে। পাশাপাশি যে কেউ আপনার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে, সময়ে অসময়ে কল দিয়ে বিরক্ত করার সুযোগ পায়। মোবাইল বা ফোন নম্বর ব্যক্তিগত গোপনীয় জিনিস। পরিচিত ব্যক্তিদের ছাড়া কাউকে ফোন কিংবা মোবাইল নম্বর দেওয়া নিরাপদ নয়।

৮. ক্রেডিট কার্ডের তথ্যঃ-

ক্রেডিট কার্ড হচ্ছে গোপন ও স্পর্শকাতর বিষয়। ক্রেডিট কার্ডের তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া কোনোভাবেই নিরাপদ নয়। তবে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ক্রেডিট কার্ডের তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কিংবা ওয়েবসাইট বুঝেই দিতে হবে। যাতে আপনার দেওয়া তথ্য তাদের কাছে সুরক্ষিত থাকে।
আর দেরি নয়। সচেতন হবার এখনই সময়।

তথ্যসূত্র:  ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ফেসবুক পেইজ

সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

"ইসলামের দৃস্টিতে হস্তমৈথুন"

"ইসলামের দৃস্টিতে হস্তমৈথুন"
.
বর্তমান যুবসমাজের মাঝে এটি ব্যাপক হারে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
অনেকেই এর পক্ষে অবশান নিয়েছেন।
আসুন আজ আমরা দেখি ধর্মীয়ভাবে হস্তমৈথুন বৈধ কি না?
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেনঃ-
"তোমরা যদি কোনো বিষয়ে দ্বিধা-দ্বন্দে বা মতানৈক্যে পৌঁছো, তাহলে তার সমাধানের জন্যে সেটি প্রেরণ কর আল্লাহ ও তার রাসূলের কাছে" [ সূরা নিসাঃ ৫৯ ]
-
আল্লাহ ও রাসূল; অর্থাৎ, কোরআন ও হাদীস।
তাহলে আগে দেখতে হবে পবিত্র কোরআন ঠিক কী বলছে "হস্তমৈথুন" সম্পর্কে?
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"বল, 'আল্লাহ্ অশ্লীল আচরণের নির্দেশ দেন না। তোমরা কী আল্লাহ্ সম্পর্কে এমন কিছু বলতেছ যা তোমরা জানো না?'' [ সূরা আরাফঃ ২৮ ]
-
এখানে একটি শব্দ এসেছে "ফাহিসাত" মানে, অশ্লীল, নোংরা, অবৈধ সেক্স, যৌন উত্তেজক পিকচার/ভিডিও/আলাপ, যৌন উস্কানী কাপড়, হস্তমৈথুন, উত্তেজনামূলক কাউকে স্পর্শ করা .......
মূলকথা, যে জিনিসগুলো অবৈধ সেক্সকে কামুদ্দীপনা যোগাবে সেটাই "ফাহিসাত"।
একটি ছোট্ট উদাহরণ দিলে আরও স্পষ্ট হবে; টাইগার/স্পিড/বেয়ার/হুয়িস্কী ইত্যাদী ড্রিকসগুলোর নাম কিন্তু কোরআনে পাবেন না; কিন্তু এ জাতীয় সব কোল্ডড্রীংসে কিন্তু কমবেশ এ্যালকোহল আছে।
আর পবিত্র কোরআনে সূরা মায়িদাঃ৯০ আয়াতে স্পষ্ট "মদ" বা এ্যালকোহল হারাম ঘোষণা করেছেন।
তাই পবিত্র কোরআনে আলাদা আলাদাভাবে নাম ধরে হুইস্কি/বেয়ার/টাইগার হারাম করেননি; বরং তাদের মূল এ্যালকোহলকেই হারাম করেছেন। সেহেতু ঐগুলিও হারাম।
তদ্রুপ, কোরআনে আলাদা আলাদাভাবে সেক্স/অবৈধ মেলামেশা /ধ্বর্ষণ/বেপর্দা/ হস্তমৈথুন/ সেক্সালাপ/সেক্স ভিডিও/পিকচার হারাম করেরনি; বরং তিনি এদের মূল একটি শব্দ "ফাহিসাত" দিয়েই বুঝিয়ে দিয়েছেন।
অতএব, উক্ত আয়াত থেকে প্রমাণ হয় "হস্তমৈথুন" করা হারাম ও নিষিদ্ধ।
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"বল, 'নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক হারাম করেছেন প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা বা ফাহিসাত" [ সূরা আরাফঃ ৩৩ ]
-
একটু খেয়াল করেছেন, উক্ত আয়াতে "প্রকাশ্য + গোপন ফাহিসাত" বলা আছে।
এর মানে কী?
"গোপন ফাহিসাত" মানে, অন্যান্য সেক্সের ব্যাপার সময়ে প্রকাশ হলেও হস্তমৈথুন করার বিষয়টি আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। ঐ ব্যক্তি ও আল্লাহ সাক্ষী থাকে।
এটি এতটায় গোপন ফাহিসাত বা হস্তমৈথুন।
উক্ত আয়াত স্পষ্ট বলছে, "হস্তমৈথুন" করা হারাম।
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"তোমরা কী ভেবে দেখেছো তোমাদের বীর্যপাত সম্বন্ধে? সেটি কী তোমরা সৃষ্টি কর, না আমি সৃষ্টি করি?" [ সূরা ওয়াকি'আঃ ৫৮-৫৯ ]
-
আল্লাহ পৃথিবীর সকল কোরআন পাঠকারীকে উক্ত প্রশ্ন করেছেন।
সত্যিই, এই বীর্য বা স্পার্মগুলো আল্লাহর রহমতে সৃষ্টি হয়।
যদি এভাবে আল্লাহর দেওয়া জিনিসকে অবৈধ পথে "হস্তমৈথুন" করে নিঃশেষ করে ফেলে; তাহলে একটি পুরুষের ভবিষ্যত প্রজন্ম কী হবে?
একটি পুরুষে ১০ বিলিয়ন যদি শুক্রাণু থাকে; আর ঐ পুরুষ যদি প্রতিদিন এভাবে নির্দিষ্ট পরিমাণে হস্তমৈথুন করে বীর্য শেষ করে ফেলে; তাহলে তো সে একদিন বাবা হবার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলবে।
তাহলে স্পষ্ট তো বোঝা যাই, হস্তমৈথুন করা হারাম।
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"দারিদ্রের ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না, আমিই তোমাদের ও তাদেরকে রিযিক দিয়ে থাকি। প্রকাশ্যে হোক কিংবা গোপনে হোক অশ্লীল বা ফাহিসাতের কাজের নিকটেও যাবে না" [ সূরা আনআমঃ ১৫১ ]
-
হস্তমৈথুন করার ফলে আসলে ভবিষ্যত প্রজন্ম বা সন্তানদেরকেই হত্যা করা হচ্ছে।
অনেক পুরুষরা ভাবে, সন্তান হলে মুখ বাড়বে, গরীব হয়ে যাবে ; তাই অনেকে সেক্স করে হস্তমৈথুনভাবে।
এটারও ঘৃণা বলে উল্লেখ করেছে উক্ত আয়াত।
পরের অংশ বলছে, গোপনেও ফাহিসাতের নিকটে না যেতে"_____
মানে, এসব হস্তমৈথুন যিনা-ব্যাভিচারের সহায়ক।
আগের অংশেও বলেছি।
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"আর তোমরা যিনার নিকটবর্তী হয়ো না, ইহা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ" [ সূরা বাণী-ইস্রাইলঃ ৩২ ]
-
উক্ত আয়াতে, "হস্তমৈথুন"কে যিনা বা ব্যবিচারের সাথে তুলনা করা হয়েছে।
কারণ, আয়াতটি খেয়াল করুন....
"ইহা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ"
তারমানে, যে জিনিস বা উপায় সমূহ অশ্লীল-নোংরা ও নিকৃষ্ট আচরণ সেটাই যিনা।
আর "হস্তমৈথুন" এটা যে একটা অশ্লীল ও নোংরা কাজ এটা যে কোনো সাধারণ পাবলিক বুঝে।
এটা নিকৃষ্ট একটা আচরণ। তাই "হস্তমৈথুন" যিনার একটি উপকরণ বটে।
তাই আয়াতানুযায়ী হস্তমৈথুন নিষিদ্ধ।
-
হস্তমৈথুন এটা একটি মন্দ কাজঃ
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"এই সমস্তের মধ্যে যেগুলি মন্দ সেইগুলি তোমার প্রতিপালকের নিকটও ঘৃণ্য" [ সূরা বাণী-ইস্রাইলঃ ৩৮ ]
-
হস্তমৈথুন এটা যে নিকৃষ্ট কাজ সেটা জ্ঞানবান সুস্থ মস্তিষ্কের যে কেউ বলবে।
যদি হস্তমৈথুন খারাপ-ই না হত, তাহলে তো আর যুবক শ্রেণীরা বিড়ি-সিগারেট খাওয়ার মত লুকিয়ে লুকিয়ে টয়লেট-বাথরুমে গিয়ে করত না।
তাই হস্তমৈথুন করা আল্লাহর কাছেও ঘৃণ্য।
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"(হে মুমিনগণ), তোমরা নিজেদের হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করিও না" [ সূরা বাকারাঃ ১৯৫ ]
-
হস্তমৈথুন এটা ব্যক্তি হাত দিয়ে নিজেকে ধ্বংস করে ফেলছে।
দেহ ও স্বাস্থের ক্ষতি করে ফেলছে; চোখের জ্যোতি, শুক্রানু শুকিয়ে যাওয়া, রোগ-প্রতিরোগ ক্ষমতা কমে যাওয়া, অবসাদ ও বিষন্ন লাগা....
এসব গুলো হস্তমৈথুন এর জন্য হয়ে থাকে। এই হস্তমৈথুন তরুণ-যুবক-যুবতীকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাই উক্ত আয়াতানুযায়ীও হস্তমৈথুন করা হারাম।
-
কিয়ামতের দিন ব্যক্তি হাত সাক্ষ্য দিবে সে হস্তমৈথুন করেছিলঃ
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"আমি আজ [ কিয়ামতের দিন ] মানুষদের মুখ মোহর করিয়া দিব, ইহাদের হস্ত কথা বলিবে আমার সহিত এবং ইহাদের চরণ সাক্ষ্য দিবে ইহাদের কৃতকর্মের" [ সূরা ইয়াসিনঃ ৬৫ ]
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"পরিশেষে যখন উহারা জাহান্নামের সন্নিকটে পৌঁছিবে তখন উহাদের কর্ণ, চক্ষু ও ত্বক উহাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে সাক্ষ্য দিবে, উহাদের বিরুদ্ধে।
জাহান্নামীরা উহাদের ত্বককে জিজ্ঞাসা করিবে, 'তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতেছ কেন?' উত্তরে উহারা বলিবে, 'আল্লাহ্, যিনি আমাদিগকে বাকশক্তি দিয়াছেন তিনি সমস্ত কিছুকে বাকশক্তি দিয়াছেন। তিনি তোমাদিগকে সৃষ্টি করিয়াছেন প্রথমবার এবং তাঁহারই নিকটে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হইবে।'
'তোমরা কিছু গোপন করিতে না এই বিশ্বাসে যে, তোমাদের কর্ণ, চক্ষু ও ত্বক তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে না; উপরন্তু তোমরা মনে করিতে যে, তোমরা যাহা করিতে তাহার অনেক কিছুই আল্লাহ জানেন না" [ সূরা হা-মীম-সেজদাঃ ২০-২২ ]
-
উক্ত আয়াত থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, যারা হস্তমৈথুনকারী তারা সেদিন কত লাঞ্চিত হবে; তাদের নিজের হাত সেদিন এসব হস্তমৈথুন করার কথা প্রকাশ্যে বলবে।
ফেবুতে লেংটা মেয়ের পিক দেখে দেখে হস্তমৈথুন করছে যে তা সব গুটি গুটি করে ঐ হাত বলবে; দেহের প্রতিটি অংশ এসব হস্তমৈথুনকারীর কথা ফাঁস করে দিবে।
-
-
:
আশা করি, লেখাটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন "হস্তমৈথুন" করা হারাম ও নিষিদ্ধ।
এ কদিন কোরআন খুঁজে ফিরে আয়াত গুলো কালেক্ট করেছি।
কারণ, একজন ভাই দ্বীনের সঠিক বিষয়ে সঠিক ধারণা পাবে; ভুল করলে সংশোধন হতে পারবে। তাই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমার এত প্রচেষ্টা।
আশা করি, আপনি আপনার নিকটস্থ ভাই-বন্ধুদেরকেও এ হস্তমৈথুন সম্পর্কে উক্ত লেখাটি পৌঁছিয়ে দিবেন।
এতে প্রচার করার জন্য আপনিও সওয়াব পাবেন।
-
সহীহ্ বোখারী'তে আছেঃ
নবী(সাঃ) বলেছেনঃ যদি আমার পক্ষ থেকে একটি আয়াতও জানো; তাহলে তা প্রচার করে দাও"

- See more at: Facebook

#অচিনপুরের_আইয়ুব

বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ঈদ এলেই আতকে উঠে শিপন!

ঈদ এলেই আতকে উঠে শিপন!

১।ঈদ এলেই শিপনের বুকটা আতকে উঠে।নিজের জন্য নয়,তার বোনদের জন্য।শিপন খুব সচেতন ছেলে।তাই তার চাচাত ফুফাত ও নিজের মিলে ১৫ বোনদের কে প্রতি ঈদে বলে দেয় দিনের বেলা কোথায় যাও যাও সন্ধার পর কেউ বাড়ীর বাইরে থাকবেনা।এ নিয়ে পরিবারের নারীবাদি মানুষের মধ্যে প্রায় ঝগড়া হয়।তারা বলে মেয়েদের ও তো স্বাধীনতা আছে,আছে তাদের মন,তাদের ও তো ঈদে আনন্দ করতে মন চায়,তাদের ও তো ঘুরতে মনচায়।তোমরা ছেলেরা যে ঈদের দিন রাত শেষ করে বাড়ীতে আসো তখন তো কেউ কিছু বলিনা।
শিপন এসব কিছুর বিরধী নয় তবে একটু সচেতনতার জন্য বলে আরকি।কিন্তু কেন কথাটি বলা তা এখনো কাউকে বলেনি।
তবে এবার শিপনদের বাড়ীতে তার অনার্স পড়ুয়া খালাতো বোন এসেছে ঈদ করতে।বরাবরের মত শিপনের ঐ এককথা"সারাদিন কে কোথায় যাও যাও সন্ধার সময় থেকে কেউ যেন বাড়ীর বাইরে না থাকে"।এবার অন্যদের সাথে সেও শিপনের কথার প্রতিবাদ করে।তাদের সবার চেয়ে শিপন বড় আর শিপনের যে অনেক রাগ তা সবাই জানে।এও জানে শিপন যত রাগিই হোকনা কেন ঈদের দিন আর রাখারাগি করবেনা।তার পরও তুলোনামূলক ভাবে ছোট বোনেরা তবুও শিপনের কথার জোড় প্রতিবাদ করেনা,কিন্তু শিপনের খালাত বোনকে প্রতিবাদ করার জন্য উসকে দিচ্ছে।ওদের থেকে উত্সাহ পেয়ে সে শিপনের সাথে তর্ককরে।অনেক জোড়াজুড়ির পর এক সময় শিপন উত্তোজিতহয়ে বলে আমি যে তোদের মানা করি তার তো একটা কারন আছে,নাকি?সবাই বলে উঠে কি সে কারন?আমরা সেটাই শুনতে চাই?এবার শিপন বল্লো তাতো তোমাদের বলা যাবে না!সবাই কৌতহলী হয়ে নাছোড়বান্ধার মত সেই কথা শুনতে চাইলো।তখন প্রায় বিকেল এবার শিপন তাদের বল্লো,এখন তো বিকেল হয়েছে আমাকে দোকানে যেতে হবে।ঠিক আছে আজকে তোমরা যে যার মতকরে ঘুরে বেড়াও।এবার সবাই বল্লো আমরা কেউ ঘুড়তে যাব না আগে তোমার কাহিনী টা শুনবো।
তখন শিপন তাদের বল্লো,আমি এখন দোকানে যাই,তোমরা সকল বোনেরা রাত ১২টা পর্যন্ত জেগে থাকবে,তোদের আমি বলবো।সবাই তখন বল্লো ঠিক আছে।
শিপনের খুব লজ্জা এক কথায় রক্ষনশীল ছেলে।তাই ভাবছে বোনদের কিভাবে সেই লজ্জার কাহিনীর কথা বলা যায়?শিপন ভাবলো ঘটনা তাদের খুলে বলতেই হবে,এদের তো সচেতন করা দরকার।আমি এদের সচেতন না করলে কে এদের সচেতন করবে?শিপন রাত ১২ টায় আগেই বাড়ীতে আসলো।এসে দেখে তার বোনেরা সবাই তার রহস্য শুনার জন্য গভির রাত পর্যন্ত জেগে আছে।শিপন খাওয়াদাওয়া করে বাইড়ে বেড়িয়ে আসলো।সবাই চুপচাপ বসে আছে।শিপন উত্সাহ নিয়ে বল্লো তোদের আজ যে কথা বলতে চাচ্ছি তা লজ্জা জনক।এখানে বলা যাবে না।সবাই আমার ঘরে আসো।প্রায় ১৫/১৬ জন বোন শিপনের ঘরে আসলো।এবার শিপন বল্লো, শোন আমার কথায় কেউ লজ্জাবোধ করবেনা,আমার কথা শুনে কেউ হাসবেনা,কারও কোন কথা থাকলে পরে প্রশ্ন করবে ,ঠিক আছে?সবাই বলো আচ্ছা ঠিক আছে।এবার শিপন র্নিভয়ে র্নিসংকোচনে বলতে শুরু করলো।শিপন যা বলছিল তা এরকম।


২।ঈদের দিন।শিপন বাজারে ছোট্ট একটা দোকান করে।ঈদের নামাজ শেষ করে বাড়ীতে এসে লম্বা একটা ঘুম দেয়।বাজারে যেতে সন্ধায় এক বন্ধু ফোন করে।হাত-মুখ ধুয়ে শিপন বন্ধুটির জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো।বন্ধুটি এসে হাজির হলো।দু জনেই গল্প করতে করতে বাজারে যাচ্ছে।তাদের অনুমানিক আধা কিলোমিটার সামনে দুটি মেয়ে হেটে বাজারে যাচ্ছে।সারা রাস্তায় তারা চার জন ছাড়া আর কোন মানুষ নেই।সম্ভবত রমজানের ঈদ হবে,কারন কুরবানির ঈদ হলে এসময় রাস্তায় প্রচুর মানুষজন থাকার কথা,এসময় গ্রামের মানুষরা তাদের আত্বিয় স্বজনের বাড়ীতে গোস্ত বিলি করে।শিপন ও তার বন্ধু মেয়ে দুটিকে ফলো করে।তাদের চিনতে ব্যার্থ চেষ্টা করে।দূরে হওয়ায় কোন ভাবেই চিনতে পারছে না।শিপন ও তার বন্ধু আলোচনা পরিবর্তন করে মেয়ে দুটিকে নিয়ে চিন্তা করছে।তারা বলাবলি করছে,কেন যে মেয়েরা এসময় রাস্তায় বেরহয়।আজকালকার যা ছেলে পেলে,কোন দূর্ঘটনা তো ঘটতে পারে!নিজেদের মধ্যে এইসব আলোচনা করছে।ঠিক এইসমর পাসদিয়ে একটি মটরসাইকেল মনেহয় ৯০কিলোমিটার বেগে সো করে ছুটেগেল,শিপন বলে এরা কেন যে এতো জোড়ে গাড়ীচালায়।বলছে আর সামনে এগিয়ে চলছে,মটরসাইকেল টা মেয়ে দুটির কাছে গিয়ে স্রো করলো!শিপন ভাবলো তাদেরই কেউ হবে মেয়ে দুটি।কিন্তু নাপিছনে বসা ছেলেটি যে কি করলো ,রাস্তার পাসের মেয়েটি জোড়ে একটি চিত্কারদিয়ে একলাফে বিপরিতদিকে ছুটে গিয়ে জোড়ে জোড়ে গালি দিচ্ছে,তখন আর একটি ছেলে নামলো নেমে আন্য মেয়েটির পিছন দিয়ে বুকে হাতদিল,তা শিপন ও তার বন্ধু দেখতেপেল!

আইয়ুব আনসারি
অচিনপুরের আইয়ুব এর ব্লগ



কিন্তু শিপন আর তার বন্ধু কিছু করতে পারলো না।ঘটনা ঘটার সাথে সাথে।ছেলেরা আবার মটরসাইকেলে উঠে ৯০ কিলোমিটার বেগে চলেগেল।একটি মেয়ে তখনো বকা বকি করেই চলছে,হঠাত্ অন্য মেয়েটি পিছন ফিরে আমাদের দেখে কি যে বল্লো সাথেসাথে মেয়েটি বকাবকি বন্ধ করলো।শিপন ও বন্ধু সেটা বুঝতে পারলো।তারা হাটার গতি বাড়িয়ে দিল।লক্ষ মেয়েদের চিনে রাখা।শিপন ও তার বন্ধু যখন মেয়ে দুটি প্রায় কাছাকাছি,তখন শিপন মেয়ে দুটিকে চিনতে পারলো।মেয়ে দুটি শিপনের পাড়াতবোন।শিপন ও তার বন্ধু মেয়ে দুটির সাথে কথা বলছে আর হেটে যাচ্ছে,কিন্তু কেউ ই ঘটনার কথা বল্লোনা।চার জনেই মনেহয় ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানেনা বা বুঝতে পারেনি।যাহোক এখন পর্যন্ত কেউ কাউকে সে কথা বলেনি।
এতোক্ষন সব বোনেরা খুব মনোজোগ সহোকারে শিপনের কথা শুনছে।কেউ কোন কথা বল্লো না সবাই মাথা নিচু করে শুনছে।এবার শিপন বল্লো আমি চাইনা আমার কোন বোনের ক্ষেত্রে এই ঘটনাটা ঘটুক।আর যদি ঘটেও থাকে তা শুনতে চাচ্ছি না।আমি মনে করি এ থেকে তোমরা শিক্ষানিবে।
কেউ কোন কথা বল্লোনা।সবাই মাথা নিচু করে শিপনের ঘরথেকে বেড়িয়ে গেল।