Cute Orange Flying Butterfly 2016-12-25 ~ ‎অচিনপুরের আইয়ুব‬
আস-সালামু আলাইকুম। আমি আইয়ুব আনসারি। আমার লেখাগুলো পড়তে প্রত্যহ ব্লগটি ভিজিট করুন

শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬

থার্টি ফার্স্টনাইট


**থার্টি ফার্স্টনাইট ** 

Ayub ANsary

উলঙ্গাপনা নষ্টমির ভয়াবহ অভিশপ্ত একটি রাত! 
আর মাত্র কয়েকঘন্টা বাঁকি। 
অধীর আগ্রহে সেচ্ছায় ধর্ষিতা হওয়ার অপেক্ষায় বসে আছে হাজার হাজার উচ্ছৃঙ্খল তরুণী। 
আর এই মোক্ষম সুযোগ কাজে লাগাতে অপেক্ষায় আছে প্রেমিক নামধারী কিছু নষ্ট প্লেবয়। 
এরপর বেলাশেষে সন্ধ্যার আগমন তাদের হৃদয় আকাশে উচ্ছাসের মাত্রা বাড়াবে প্রোজ্জ্বল শশির মত। 
অতি আধুনিক তরুণীরা নানা বাহানায় বয়ফ্রেন্ডের আবদার রাখতে রাতে বাসা থেকে বের হয়ে আসবে। 
আর হোস্টেল বা মেসে থাকা স্বাধীন রমনীদের কোন ধরনের সমস্যা নেই। 
। 
এরপর ফুল হাতে দাঁড়িয়ে থাকবে দেহলোভী বয়ফ্রেন্ডরা। 
একসময় মদ খেয়ে মাতাল হয়ে পড়বে দুজনেই। 
অতঃপর রাতের অন্ধকারে হোটেল কিংবা বিভিন্ন স্থানে দেহের সাময়িক সুখের উন্মাদনায় নিজের পবিত্র দেহ সঁপে দেবে বিছানায় কিছু নারী। 
আর তাকে ভালবাসার দোহাই দিয়ে ভোগ করবে, মাংসলোভী পুরুষ নামধারী কিছু পশু। 
রাত শেষ ভালবাসাও শেষ!! 
ভদ্র পোশাকের আড়ালে লুকিয়ে রাখবে নিজের পশুত্ব মনোভাব এই মানুষ গুলো। 
কেউ কেউ ছুটে যাবে ডাক্তারের চেম্বারে জন্মনিরোধ পিল খেয়ে নষ্ট করতে তাদের সাময়িক সুখের ফসল হিসেবে সৃষ্ট ভ্রূণ। 
আর ডাক্তার বলবে এরকম ভুল হতেই পারে সমস্যা নাই অতঃপর উচ্ছাসিত হৃদয়ে বের হয়ে আসবে । 
তথাকথিত প্রেমিক যুগল ডাক্তারের কাছ থেকে পারমানেন্ট সেক্স করার অনুমতি পেয়ে এটাকে অভ্যাসে পরিনত করবে। 
কিছুদিন পর সঙ্গী পাল্টিয়ে আবার শুরু হবে এই নষ্টামির খেলা। 
অনেকে ২৫ ডিসেম্বর থেকে এটা সেলিব্রেট করা শুরু করে দিয়েছে । 
কারন একাধিক বয়ফ্রেড বা গার্লফ্রেন্ডকে একদিনে সময় দেয়া যায়না। 
তাই আগে থেকেই তারা সেলিব্রেট শুরু করে আজ একজন, কাল আরেকজন এভাবে। 
অবশ্য এসব ছেলেমেয়ের অভিভাবকদের অপরাধ কম নয় । 
অতিরিক্ত স্বাধীনতা দিতে গিয়ে আধুনিক হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের ঠেলে দিচ্ছে নাইট ক্লাব সহ নানা প্রকার অপকর্মের অন্ধকার গুহায়। 
একসময় ইয়াবা মদ খেয়ে লিভ টুগেদারে ব্যস্ত হয়ে পড়বে আর হত্যা করবে পিতামাতাকেও। 
যার বাস্তব তার প্রমাণ #ঐশী । 
একদিন তাদের মৃত্যু হবে, জগতের আদালত থেকে বেঁচে গেলেও স্রষ্টার আদালত থেকে মুক্তি পাবেনা। 
ভালবাসা একটা পবিত্র বন্ধন স্রষ্টা প্রদত্ত স্বর্গীয়। 
যেখানে, একজনের প্রতি অন্যজনের দৈহিক নয় মানসিক আকর্ষণ থাকবে। একজনকে অন্যজন বিশ্বাস করবে শ্রদ্ধা করবে। 
না দেখেও সবসময় হৃদয়ের গভীর থেকে প্রিয় মানুষটিকে অনুভব করবে। 
কিন্তু , 
ভালবাসার নামে সেচ্ছায় ধর্ষিত হওয়া এসব মেয়ের কি বিচার হওয়া উচিত?? 
আর ধর্ষক যুবক গুলোর কি শাস্তি হওয়া উচিত???? 
যারা পবিত্র ভালবাসায় লেপ্টে দিচ্ছে পাপের কাদা.........

বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬

কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দের পূর্ণরূপ



আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন শব্দ ব্যাবহার করে থাকি।
কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হলো আমরা অনেকেই সেগুলোর অর্থ জানি না।
আসুন আজ আমরা কিছু বহুল ব্যাবহৃত শব্দের অর্থ জেনে নিই।
যেগুলো জানা একান্ত জরুরি।


১। J.S.C – এর পূর্নরূপ — Junior School Certificate.
২। J.D.C – এর পূর্নরূপ — Junior Dakhil Certificate.
৩। S.S.C – এর পূর্নরূপ — Secondary School Certificate.
৪। H.S.C – এর পূর্নরূপ — Higher Secondary Certificate.
৫। A.M – এর পূর্নরূপ — Ante meridian.
৬। P.M – এর পূর্নরূপ — Post meridian.
৭। B. A – এর পূর্নরূপ — Bachelor of Arts.
৮। B.B.S – এর পূর্নরূপ — Bachelor of Business Studies.
৯। B.S.S – এর পূর্নরূপ — Bachelor of Social Science.
১০। B.B.A – এর পূর্নরূপ — Bachelor of Business Administration
১১। M.B.A – এর পূর্নরূপ — এর পূর্নরূপ — Masters of Business Administration.
১২। B.C.S – এর পূর্নরূপ — Bangladesh Civil Service.
১৩। M.A. – এর পূর্নরূপ — Master of Arts.
১৪। B.Sc. – এর পূর্নরূপ — Bachelor of Science.
১৫। M.Sc. – এর পূর্নরূপ — Master of Science.
১৬। B.Sc. Ag. – এর পূর্নরূপ — Bachelor of Science in Agriculture .
১৭। M.Sc.Ag.- এর পূর্নরূপ — Master of Science in Agriculture.
১৮। M.B.B.S. – এর পূর্নরূপ — Bachelor of Medicine and Bachelor of Surgery.
১৯। M.D. – এর পূর্নরূপ — Doctor of Medicine./ Managing director.
২০। M.S. – এর পূর্নরূপ — Master of Surgery.
২১। Ph.D./ D.Phil. – এর পূর্নরূপ — Doctor of Philosophy (Arts & Science)
২২। D.Litt./Lit. – এর পূর্নরূপ — Doctor of Literature/ Doctor of Letters.
২৩। D.Sc. – এর পূর্নরূপ — Doctor of Science.
২৪। B.C.O.M – এর পূর্নরূপ — Bachelor of Commerce.
২৫। M.C.O.M – এর পূর্নরূপ — Master of Commerce.
২৬। B.ed – এর পূর্নরূপ — Bachelor of education.
২৭। Dr. – এর পূর্নরূপ — Doctor.
২৮। Mr. – এর পূর্নরূপ — Mister.
২৯। Mrs. – এর পূর্নরূপ — Mistress.
৩০। Miss – এর পূর্নরূপ — used before unmarried girls.
৩১। M.P. – এর পূর্নরূপ — Member of Parliament.
৩২। M.L.A. – এর পূর্নরূপ
Member of Legislative Assembly.
৩৩। M.L.C – এর পূর্নরূপ — Member of Legislative Council.
৩৪। P.M. – এর পূর্নরূপ — Prime
Minister.
৩৫। V.P – এর পূর্নরূপ — Vice President./ Vice Principal.
৩৬। V.C-এর পূর্নরূপ — Vice Chancellor.
৩৭। D.C– এর পূর্নরূপ — District Commissioner/ Deputy Commissioner.
৩৯। S.P– এর পূর্নরূপ — Police Super.
৪০। S.I – এর পূর্নরূপ — Sub Inspector Police.

আজ এপর্যন্তই।
আগামীতে আরোও কিছু জানানো হবে।
সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ।

Google এর ব্যাপারে দুটো কথা

আমরা যার ইন্টারনেট ব্যাবহার করি তারা অধিকাংশ-ই
গুগল ব্যাবহার করে থাকি।
 আর তাতে তো আমাদের সার্চ বাটন ব্যাবহার করতেই হয়।
কিন্তু, এর পাশের একটি বাটন আছে ‘আই অ্যাম ফিলিং লাকি’ আসলে এর কাজটা কি?
এটা কি আমরা জানি?
অধিকাংশ ব্যাক্তিই জানে না এটার মর্মকথা।
এর হিসেব সারাসরি গুগলই দিচ্ছে।
গুগলের মতে  তা সর্বোচ্চ ১ শতাংশ জানে ।
 কি আবাক হলেন, না অবাক হওয়ার কিছু নেই।
 চলুন দেখি ওই রহস্যময় বাটনটির কাজ জেনে নেই।‘ 


Ayub Ansary



গুগল সার্চ’ বাটনেই ক্লিক করেন।
পেয়েযান যা খুঁজছেন, তার দীর্ঘ তালিকা।
সেখানথেকে বেছে নিন   নিজের পছন্দের লিংক।
কিন্তু ঠিক তার পাশেই আরেকটি বাট্ন থাকে।
 দেখা গিয়েছে,
 ওই বাট্নে খুব বেশি ক্লিক হয় না।
প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই ওঠে যে,
 তাহলে কেন একটি ‘প্রায় অকেজো’ বাট্ন রেখেদিয়েছে গুগল?
 কী এই বাট্ন-এর কাজ?
যাঁরা জানেন, তাঁরা নিঃসন্দেহে এতক্ষণে বলে ফেলেছেন।
যাঁরা জানেন না, তাঁদেরউদ্দেশে জানিয়ে রাখা যাক,
এই বাট্নটি অনেকটা এটিএম-এর ফাস্ট ক্যাশ-এর মতো।
আপনি যেটা খুঁজছেন,
 সরাসরি আপনাকে সেই সংক্রান্ত প্রথম ওয়েবপেজ-এ নিয়ে যায় এই বাট্নটি। কেমন?
উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যাক। ধরা যাক, আপনি ‘শেখ হাসিনা’ বলে সার্চ করলেন।‘
গুগল সার্চ’ বাটনে ক্লিক করলে, আপনার সামনে অক্ষয় কুমার সংক্রান্ত গাদা গাদা
তথ্যচলে আসবে। কিন্তু ‘আই অ্যাম ফিলিং লাকি’বাটনে ক্লিক করলে আপনাকে
 সরাসরি অক্ষয় কুমার সংক্রান্ত প্রথম ওয়েব পেজ,অর্থাৎ, উইকিপিডিয়া পেজে নিয়ে যাবে।
 ঠিক একই ভাবে আপনি যদি ‘বিডি টুয়েন্টি ফোর লাইভ’ লিখে ‘আই অ্যাম ফিলিং লাকি’
বাটন ক্লিক করেন, তহলে চলে আসবে ‘বিডি টুয়েন্টি ফোর লাইভ ডটকম’ এর হোম পেজে।
 চট জলদি সমাধান।
এত কাজের জিনিস, অথচ ক’জন এই সার্চকরেন জানেন?
উত্তর শুনলে চমকেউঠবেন। মাত্র ১ শতাংশ!

SEO সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত দুটো কথা



Google সার্চে ১ম পেজে থাকা মানে বেশি ভিজিটর পাওয়ার। 
কিন্তু ভুল বাছাইয়ের কারনে আমরা সার্চে ১ম পেজে থাকতে পারিনা।
একটু বুদ্ধি খাটিয়েই আপনি ও Google সার্চে ১ম পেজে থাকাতে পারবেন।
প্রথমে আপনাকে যেতে হবে
এই লিংকে।
Google AdWords Keyword Tool নামের এই Keyword Tool সকল SEO Optimizer দের কাছর খুবই জনপ্রিয়।
এখানে গিয়ে আপনি যে ধরনের Keyword দিয়ে সাইট বানাতে চান সেই Keyword টি Enter one keyword or phrase per line তে গিয়ে টাইপ করুন।এরপর Get keyword Ideas এ Click করলে পাবেন আপনার keyword এর সকল তথ্য।যেমন keyword টিতে Advertiser Competition কেমন,গত মাসের কতবার সারচ করা হয়েছে,Global Monthly Search Volume কত এসব।আপনি এখান থেকে যে সকল keyword এ কম Advertiser Competition আছে কিন্তু Local Search Volume বেশি সে সকল keyword গুলো আপনি বেছে নিন। 
যেমন মনে করুন আপনি গান ডাউনলোড (song Download) নিয়ে একটি সাইট বানাবেন।কিন্তু song Download keyword টিতে খুব বেশি Advertiser Competition রয়েছে। তাই এই keyword টি দিয়ে আপনি search এ প্রথমে থাকা খুব কঠিন।

কিন্তু আপনি যদি (song marathi,dhoom download,) keyword টি নিয়ে সাইট বানান কারন এ সকল keyword গুলোর Advertiser Competition কম কিন্তু এতে Local Search Volume বেশি। 
তাই যদি আপনার keyword টির বিপরীতে সাইটের content যদি ভালো হয় তবে আশা করা যায় আপনি ঐ keyword এর বিপরীতে Google সার্চে ১ম পেজে থাকবেন। 
কারন আমরা জানি আপার কেস থেকে লোয়ার কেসে অনেক বেশি হিট পাওয়া যায়। 
তো চেস্টা করেই দেখুন।

ইসলামের দৃষ্টিতে হস্তমৈথুন

বর্তমান যুবসমাজের মাঝে এটি ব্যাপক হারে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
অনেকেই এর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।



আসুন আজ আমরা দেখি ধর্মীয়ভাবে হস্তমৈথুন বৈধ কি না?
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেনঃ-
"তোমরা যদি কোনো বিষয়ে দ্বিধা-দ্বন্দে বা মতানৈক্যে পৌঁছো, তাহলে তার সমাধানের জন্যে সেটি প্রেরণ কর আল্লাহ ও তার রাসূলের কাছে" [ সূরা নিসাঃ ৫৯ ]
-
আল্লাহ ও রাসূল; অর্থাৎ, কোরআন ও হাদীস।
তাহলে আগে দেখতে হবে পবিত্র কোরআন ঠিক কী বলছে "হস্তমৈথুন" সম্পর্কে?
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"বল, 'আল্লাহ্ অশ্লীল আচরণের নির্দেশ দেন না। তোমরা কী আল্লাহ্ সম্পর্কে এমন কিছু বলতেছ যা তোমরা জানো না?'' [ সূরা আরাফঃ ২৮ ]
-
এখানে একটি শব্দ এসেছে "ফাহিসাত" মানে, অশ্লীল, নোংরা, অবৈধ সেক্স, যৌন উত্তেজক পিকচার/ভিডিও/আলাপ, যৌন উস্কানী কাপড়, হস্তমৈথুন, উত্তেজনামূলক কাউকে স্পর্শ করা .......
মূলকথা, যে জিনিসগুলো অবৈধ সেক্সকে কামুদ্দীপনা যোগাবে সেটাই "ফাহিসাত"।
একটি ছোট্ট উদাহরণ দিলে আরও স্পষ্ট হবে; টাইগার/স্পিড/বেয়ার/হুয়িস্কী ইত্যাদী ড্রিকসগুলোর নাম কিন্তু কোরআনে পাবেন না; কিন্তু এ জাতীয় সব কোল্ডড্রীংসে কিন্তু কমবেশ এ্যালকোহল আছে।
আর পবিত্র কোরআনে সূরা মায়িদাঃ৯০ আয়াতে স্পষ্ট "মদ" বা এ্যালকোহল হারাম ঘোষণা করেছেন।
তাই পবিত্র কোরআনে আলাদা আলাদাভাবে নাম ধরে হুইস্কি/বেয়ার/টাইগার হারাম করেননি; বরং তাদের মূল এ্যালকোহলকেই হারাম করেছেন। সেহেতু ঐগুলিও হারাম।
তদ্রুপ, কোরআনে আলাদা আলাদাভাবে সেক্স/অবৈধ মেলামেশা /ধ্বর্ষণ/বেপর্দা/ হস্তমৈথুন/ সেক্সালাপ/সেক্স ভিডিও/পিকচার হারাম করেরনি; বরং তিনি এদের মূল একটি শব্দ "ফাহিসাত" দিয়েই বুঝিয়ে দিয়েছেন।
অতএব, উক্ত আয়াত থেকে প্রমাণ হয় "হস্তমৈথুন" করা হারাম ও নিষিদ্ধ।
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"বল, 'নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক হারাম করেছেন প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা বা ফাহিসাত" [ সূরা আরাফঃ ৩৩ ]
-
একটু খেয়াল করেছেন, উক্ত আয়াতে "প্রকাশ্য + গোপন ফাহিসাত" বলা আছে।
এর মানে কী?
"গোপন ফাহিসাত" মানে, অন্যান্য সেক্সের ব্যাপার সময়ে প্রকাশ হলেও হস্তমৈথুন করার বিষয়টি আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। ঐ ব্যক্তি ও আল্লাহ সাক্ষী থাকে।
এটি এতটায় গোপন ফাহিসাত বা হস্তমৈথুন।
উক্ত আয়াত স্পষ্ট বলছে, "হস্তমৈথুন" করা হারাম।
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"তোমরা কী ভেবে দেখেছো তোমাদের বীর্যপাত সম্বন্ধে? সেটি কী তোমরা সৃষ্টি কর, না আমি সৃষ্টি করি?" [ সূরা ওয়াকি'আঃ ৫৮-৫৯ ]
-
আল্লাহ পৃথিবীর সকল কোরআন পাঠকারীকে উক্ত প্রশ্ন করেছেন।
সত্যিই, এই বীর্য বা স্পার্মগুলো আল্লাহর রহমতে সৃষ্টি হয়।
যদি এভাবে আল্লাহর দেওয়া জিনিসকে অবৈধ পথে "হস্তমৈথুন" করে নিঃশেষ করে ফেলে; তাহলে একটি পুরুষের ভবিষ্যত প্রজন্ম কী হবে?
একটি পুরুষে ১০ বিলিয়ন যদি শুক্রাণু থাকে; আর ঐ পুরুষ যদি প্রতিদিন এভাবে নির্দিষ্ট পরিমাণে হস্তমৈথুন করে বীর্য শেষ করে ফেলে; তাহলে তো সে একদিন বাবা হবার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলবে।
তাহলে স্পষ্ট তো বোঝা যাই, হস্তমৈথুন করা হারাম।
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"দারিদ্রের ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না, আমিই তোমাদের ও তাদেরকে রিযিক দিয়ে থাকি। প্রকাশ্যে হোক কিংবা গোপনে হোক অশ্লীল বা ফাহিসাতের কাজের নিকটেও যাবে না" [ সূরা আনআমঃ ১৫১ ]
-
হস্তমৈথুন করার ফলে আসলে ভবিষ্যত প্রজন্ম বা সন্তানদেরকেই হত্যা করা হচ্ছে।
অনেক পুরুষরা ভাবে, সন্তান হলে মুখ বাড়বে, গরীব হয়ে যাবে ; তাই অনেকে সেক্স করে হস্তমৈথুনভাবে।
এটারও ঘৃণা বলে উল্লেখ করেছে উক্ত আয়াত।
পরের অংশ বলছে, গোপনেও ফাহিসাতের নিকটে না যেতে"_____
মানে, এসব হস্তমৈথুন যিনা-ব্যাভিচারের সহায়ক।
আগের অংশেও বলেছি।
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"আর তোমরা যিনার নিকটবর্তী হয়ো না, ইহা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ" [ সূরা বাণী-ইস্রাইলঃ ৩২ ]
-
উক্ত আয়াতে, "হস্তমৈথুন"কে যিনা বা ব্যবিচারের সাথে তুলনা করা হয়েছে।
কারণ, আয়াতটি খেয়াল করুন....
"ইহা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ"
তারমানে, যে জিনিস বা উপায় সমূহ অশ্লীল-নোংরা ও নিকৃষ্ট আচরণ সেটাই যিনা।
আর "হস্তমৈথুন" এটা যে একটা অশ্লীল ও নোংরা কাজ এটা যে কোনো সাধারণ পাবলিক বুঝে।
এটা নিকৃষ্ট একটা আচরণ। তাই "হস্তমৈথুন" যিনার একটি উপকরণ বটে।
তাই আয়াতানুযায়ী হস্তমৈথুন নিষিদ্ধ।
-
হস্তমৈথুন এটা একটি মন্দ কাজঃ
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"এই সমস্তের মধ্যে যেগুলি মন্দ সেইগুলি তোমার প্রতিপালকের নিকটও ঘৃণ্য" [ সূরা বাণী-ইস্রাইলঃ ৩৮ ]
-
হস্তমৈথুন এটা যে নিকৃষ্ট কাজ সেটা জ্ঞানবান সুস্থ মস্তিষ্কের যে কেউ বলবে।
যদি হস্তমৈথুন খারাপ-ই না হত, তাহলে তো আর যুবক শ্রেণীরা বিড়ি-সিগারেট খাওয়ার মত লুকিয়ে লুকিয়ে টয়লেট-বাথরুমে গিয়ে করত না।
তাই হস্তমৈথুন করা আল্লাহর কাছেও ঘৃণ্য।
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"(হে মুমিনগণ), তোমরা নিজেদের হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করিও না" [ সূরা বাকারাঃ ১৯৫ ]
-
হস্তমৈথুন এটা ব্যক্তি হাত দিয়ে নিজেকে ধ্বংস করে ফেলছে।
দেহ ও স্বাস্থের ক্ষতি করে ফেলছে; চোখের জ্যোতি, শুক্রানু শুকিয়ে যাওয়া, রোগ-প্রতিরোগ ক্ষমতা কমে যাওয়া, অবসাদ ও বিষন্ন লাগা....
এসব গুলো হস্তমৈথুন এর জন্য হয়ে থাকে। এই হস্তমৈথুন তরুণ-যুবক-যুবতীকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাই উক্ত আয়াতানুযায়ীও হস্তমৈথুন করা হারাম।
-
কিয়ামতের দিন ব্যক্তি হাত সাক্ষ্য দিবে সে হস্তমৈথুন করেছিলঃ
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"আমি আজ [ কিয়ামতের দিন ] মানুষদের মুখ মোহর করিয়া দিব, ইহাদের হস্ত কথা বলিবে আমার সহিত এবং ইহাদের চরণ সাক্ষ্য দিবে ইহাদের কৃতকর্মের" [ সূরা ইয়াসিনঃ ৬৫ ]
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"পরিশেষে যখন উহারা জাহান্নামের সন্নিকটে পৌঁছিবে তখন উহাদের কর্ণ, চক্ষু ও ত্বক উহাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে সাক্ষ্য দিবে, উহাদের বিরুদ্ধে।
জাহান্নামীরা উহাদের ত্বককে জিজ্ঞাসা করিবে, 'তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতেছ কেন?' উত্তরে উহারা বলিবে, 'আল্লাহ্, যিনি আমাদিগকে বাকশক্তি দিয়াছেন তিনি সমস্ত কিছুকে বাকশক্তি দিয়াছেন। তিনি তোমাদিগকে সৃষ্টি করিয়াছেন প্রথমবার এবং তাঁহারই নিকটে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হইবে।'
'তোমরা কিছু গোপন করিতে না এই বিশ্বাসে যে, তোমাদের কর্ণ, চক্ষু ও ত্বক তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে না; উপরন্তু তোমরা মনে করিতে যে, তোমরা যাহা করিতে তাহার অনেক কিছুই আল্লাহ জানেন না" [ সূরা হা-মীম-সেজদাঃ ২০-২২ ]
-
উক্ত আয়াত থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, যারা হস্তমৈথুনকারী তারা সেদিন কত লাঞ্চিত হবে; তাদের নিজের হাত সেদিন এসব হস্তমৈথুন করার কথা প্রকাশ্যে বলবে।
ফেবুতে লেংটা মেয়ের পিক দেখে দেখে হস্তমৈথুন করছে যে তা সব গুটি গুটি করে ঐ হাত বলবে; দেহের প্রতিটি অংশ এসব হস্তমৈথুনকারীর কথা ফাঁস করে দিবে।
-
-
:
আশা করি, লেখাটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন "হস্তমৈথুন" করা হারাম ও নিষিদ্ধ।
এ কদিন কোরআন খুঁজে ফিরে আয়াত গুলো কালেক্ট করেছি।
কারণ, একজন ভাই দ্বীনের সঠিক বিষয়ে সঠিক ধারণা পাবে; ভুল করলে সংশোধন হতে পারবে। তাই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমার এত প্রচেষ্টা।
আশা করি, আপনি আপনার নিকটস্থ ভাই-বন্ধুদেরকেও এ হস্তমৈথুন সম্পর্কে উক্ত লেখাটি পৌঁছিয়ে দিবেন।
এতে প্রচার করার জন্য আপনিও সওয়াব পাবেন।
-
সহীহ্ বোখারী'তে আছেঃ
নবী(সাঃ) বলেছেনঃ যদি আমার পক্ষ থেকে একটি আয়াতও জানো; তাহলে তা প্রচার করে দাও"


#অচিনপুরের_আইয়ুব

সমাজ ও ধর্মের দৃষ্টিতে প্রেম

বিবাহ বহির্ভুত নারী+পুরুষ/ বালক বালিকাদের 
সম্পর্ক স্থাপন করা কি বৈধ?





.
আমরা জানি কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহনের সময়
সর্বনিম্ন ২টা বিষয় নিয়ে বিবেচনা করতে
হয়।
একটা হলো ধর্মীয় দিক এবং অপরটি হলো
সামাজিক দিক।
তথাকথিত প্রেম ভালোবাসা কি ধর্ম ও সমাজ
স্বীকৃত?
আসুন আজ আমরা তা পর্যালোচনা করে
দেখি।
মাত্র ৪ অক্ষরে গঠিত এক শব্দ ভালবাসা।
যার মাঝেই লুকিয়ে পৃথিবির সকল সুখ।
এই ভালবাসা সৃস্টিগত। সকল সৃস্টিকুলের মাঝেই ভালোবাসা বিদ্যমান।
সৃস্টির শ্রেস্ট জীব মানুষ। আর তাই মানুষের ভালবাসার পরিধিও
বিশাল।
প্রথমেই বলে রাখি ভালোবাসা হলো সওয়াবের কাজ।
যদি তা বৈধ হয়।
ভালোবাসাই পৃথিবিকে শান্তিময় করে তোলে। আবার ডেকে আনে অশান্তি।
কেননা ভালোবাসা  ২ প্রকারের।
১.(পবিত্র)  বৈধ ভালোবাসা ও
২.(অপবিত্র)  অবৈধ ভালোবাসা।
বৈধ ভালোবাসা হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা.  কে ভালোবাসা।
স্ত্রী, পিতা-মাতা, সন্তানদের কে ভালোবাসা ইত্যাদি ইত্যাদি।
অপরপক্ষে,
বিবাহের পূর্বে আধুনিক যুবক-যুবতীরা যে সম্পর্ক গড়ে তোলে তাকেই অবৈধ ও অপবিত্র ভালবাসা বলে।

কেন এটি অবৈধ?

আমাদের সমাজে বেগানা যুবক-যুবতীর প্রেম-ভালবাসার নামে
 যে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি উত্তাল সাগরের উর্মিমালার মত বহমান রয়েছে
 তা সম্পূর্ণ রূপে অবৈধ ও হারাম।
বিবাহের পূর্বে এরূপ প্রেম-ভালবাসা
শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়, বরং অবৈধ।
ইসলামের বিধি-বিধান অনুযায়ী কোন
যুবতী কোন অবস্থায় কোন যুবকের সান্নিধ্যে থাকতে পারেনা।
 উমর (রা:) হতে বর্ণিত,
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
কোন পুরুষ যখন কোন নারীর সাথে একান্তে থাকে,
তখন তাদের মাঝে তৃতীয় জন হিসেবে উপস্থিত হয় স্বয়ং
শয়তান।
 তাদের মাঝে ভাবাবেগকে উৎসাহিত করে এবং
উভয়ের মাঝে খারাপ কুমন্ত্রণা দিতে থাকে এবং সর্বশেষে
লজ্জাকর পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটায়।

এতে তারা নিজেরা যেমনি কঠিন গোনাগার হবে,
তেমনি তাদেরকে এই মেলামেশার সুযোগ দেয়ার
কারণে তাদের পিতা-মাতা ও অভিভাকদেরকে হাদীস
 শরীফে দাইয়ুস বলা হয়েছে।
আরো বলা হয়েছে যে,
দাইয়ুস জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
তাই এইসব ব্যাপারে সকলের কঠোরভাবে সাবধান
হওয়া জরুরী এবং তা ঈমানের দাবী।
আর এই অবৈধ
 ভালবাসার প্রতিরোধের জন্যই আল্লাহ নর-নারীকে দিয়েছেন পর্দার বিধান।
এই বিধান নারী-পুরুষ উভয়ে পরিপূর্ণ রূপে পালন করলে সমাজে ঐ রকম অবৈধ
 ভালবাসার কোন অবকাশই থাকবে না। আমাদের সমাজের অনেকের
 আবার মন্তব্য যে, প্রেম-ভালবাসা নাকি বৈধ।
 তাদের উক্তি হল যে,
প্রেম পবিত্র, ভালবাসা পবিত্র। তাদের এই সব কথা সম্পূর্ণ ভুল,
নাজায়েয, অবৈধ, অপবিত্র এবং ইসলাম বিরোধী।
প্রেম-ভালবাসা কখনও বৈধ হতে পারে না।
বস্তুত: এ ধরনের প্রেম ভালবাসা সম্পর্ক ইসলাম সাপোর্ট করে না।
তবে হ্যা যে কেউ তার মনের মত জীবন সঙ্গীনী পছন্দ করে রাখতে পারে বটে।
 কিন্তু তাই বলে তার সাথে বিবাহের পূর্বে কোন রকম প্রেম-প্রেম খেলা শুরু
 করতে পারবে না।
কেননা বিবাহের ইচ্ছা থাকলেও বিবাহ না করা
পর্যন্ত এভাবে প্রেম-ভালবাসা করা গুনাহে কবিরা ও হারাম।
এমন কি
বিবাহের কথা পাকাপাকি হয়ে গেলেও আকদ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কোন
প্রেম-ভালবাসা জায়েজ নয়। বিবাহের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী হওয়ার পরই
কেবল প্রেম ভালবাসা করতে পারে এবং তা পবিত্র ও ছাওয়াবের কাজ।

কিছুদিন আগে একজন আপু তার এক ক্লাসমেটের কাহিনী শোনালো।
যা হুবহু নিম্নরূপঃ–
অনেকদিন পরে বান্ধবির সাথে দেখা হয়।
ভাল-মন্দ আলাপের এক পর্যায়ে সে আমাকে এভাবে বলতে শুরু করলঃ-
জানিস সারিরা কিছুদিন আগে আমি নানার বাড়িতে গিয়েছিলাম,
 ওখানে আমার কয়েকজন খালাতো বোনের সাথে দেখা হয়।
তাদেরকে পেয়ে আনন্দে মেতে উঠি।
এই সেই অনেক গল্প হয়। তাদের মাঝে একজনের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।
আমি তাকে জিজ্ঞাস করলাম কিরে মোহনা! বর কি তোকে দেখছে?
তখন সে বলল, দেখছে মানে! আমাদের প্রতিদিনই ফোনে কথা হয়।
আমি বললাম, এটা ঠিক হয়নি। জাননা- বিবাহের পূর্বে প্রেম করা নাজায়েয, হারাম।
তখন তারা সবাই হেসে উঠল, তাদের এই হাসির কারণ কি আমি বুঝতে পারলাম না।
মোহনা বলল, আরে আমাদের বিয়ের সব কিছু ঠিক, এখানে আবার গুনাহের কি আছে।
তাছাড়া যদি বিয়ের আগে প্রেম না করি, তাহলে একে অপরকে জানব কেমন করে।
হঠাৎ অপরিচিত একজনের সাথে সংসার করব কেমন করে।
তাছাড়া প্রেম-ভালবাসা পবিত্র, তখন উপস্থিত সবাই এক সাথে বলল হ্যাঁ।
প্রেম ভালবাসা পবিত্র প্রমাণে  তারা যুক্তি প্রদান করলো।
তাদের যুক্তি হলোঃ- ইউসুফ-জুলাইখা প্রেম করছেন।
 তিনি নবী হয়ে যখন প্রেম করলেন তাহলে অবশ্যই অবশ্যই প্রেম পবিত্র।
আমি তাদেরকে অনেক বুঝালাম, তারা বলল, যদি সঠিক ও স্পষ্ট যুক্তি দেখাতে পারিস
তাহলে আমরা তোর কথা মেনে নেব।

দেখলেন তো তাদের যুক্তি, তাদের ধর্মীয় জ্ঞান না থাকার কারণে তারা
ইউসুফ-জুলাইখাকে দিয়ে যুক্তি দিয়েছে।
অথচ তারা জানেনা, ইউসুফ (আ:) এই ঘটনায়
 জড়িত কি না, জুলাইখার এই ভালবাসার রহস্য কি?
কত বছর আগে জুলাইখা ইউসুফ (আ:) কে স্বপ্নের মধ্যে সান্নিধ্য লাভ করেছেন? (সঠিক ইতিহাস সকলেই জেনে নিবেন)

তার ভালবাসা বর্তমান যুগের যুবক-যুবতীর প্রেম ভালবাসার মত কি না?
আর এই না জানার জন্যই তারা প্রেম ভালবাসা পবিত্র বলে অবৈধ প্রেম করে বেড়াচ্ছে।
এ ধরনের অবৈধ প্রেম-ভালবাসায় জড়িত হয়ে অনেক তরুণ-তরুণীর জীবন অকালে ঝড়ে পড়ছে।
 তাদের লেখা-পড়ার ক্ষতি হচ্ছে, সময়ের অপচয় হচ্ছে।
ক্যারিয়ার নষ্ট হচ্ছে, সাজানো সংসার ভেঙ্গে চুরমাড় হচ্ছে।

 সবচেয়ে বড় কথা হল- ঈমানের জ্যোতি নিভে যাচ্ছে, দীনদারিত্ব নষ্ট হচ্ছে।
আসলে ভালবাসা বলতে যা বোঝায় ,
তা বর্তমান যুবক-যুবতীর এই ভালবাসা নয়।
তাদের ভালবাসার মূল মিনিং হচ্ছে অনেক সময় দেখা যায় তাদের এই ভালবাসায়
অভিভাবকদের সম্মতি থাকে না বিধায় তাদের মুখে চুনকালি দিয়ে পালিয়ে যায়।
আবার কিছু দিন পরে যখন প্রেমের আবেগ নিশা টুটে যায়, তখন কালো মেঘের ছায়ার মত
নেমে আসে নানাবিধ অস্বস্তি ও যন্ত্রণা।
তখন তড়িৎ গতিতে বিচ্ছেদ ঘটে যায়। তারা সর্বনাশা প্রেমে একুল-অকুল সবি হারায়।

তারা কি জানেনা! প্রেম কি? ভালবাসা কি? তার প্রতিফল কি?
 কেন জানবে না, হ্যা তারা জানে, প্রেম এক মরণাত্বক যন্ত্রণার নাম।
একটি হৃদয় বিদারক সংক্রামক রোগ, যা অত্যন্ত ছোয়াছে বড়ই মারাত্মক এ প্রেম।
যে একবার এ পথে পা বাড়িয়েছে সে কখনও সুখের ছায়া দেখেনি।
কেননা তাতে রয়েছে আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নারাজী।
প্রেমের প্রধান উৎস হচ্ছে আবেগ আর প্রচন্ড এই আবেগই হচ্ছে প্রেমের চালিকা শক্তি।
কিন্তু গভীর এই আবেগকৃত প্রেমের গভীরতা যখন থেমে যায়, তখন প্রেমের বদলে জন্ম নেয় মোহ।
কচুপাতার পানির মত এক সময় এই মোহও ঝড়ে পড়ে।
তখন স্বপ্ন সাধ, আশা, ভালবাসা সবই হয়ে যায় চুর্ণ।
কেউ কেউ আবার প্রেমে ব্যর্থ হয়ে প্রতিক্রিয়া দেখায়।
কেউ প্রতিশোধ নেয় (এসিড, খুন বা যুবতীর বিবাহ ভঙ্গন) কেউ চিরকুমার থেকে যায়, কেউ করে আত্মহত্যা।
আরে বাবা এত #ভয়ঙ্কর রাস্তার নামই কি ভালবাসা??
তারপরও বুঝে আসে না কি করে যে বিনা বিবেচনায় আজকের তরুণ-তরুণীরা তা বরণ করে নেয়।
যারা অবৈধ প্রেমের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে তাদেরকে বলছি এ হারাম পথে কেন নিজের জীবন উৎসর্গ করতে চান?
খোদার পথে জীবন পরিচালিত হয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ কর।
যেখানে থাকবে না কোন অশান্তি, কোন কষ্ট, শুধু থাকবে সুখ আর সুখ, শান্তি আর শান্তি, বর্তমান আধুনিক বিশ্বে
ভালবাসা বলতে যা পরিলক্ষিত হচ্ছে, তা নিঃসন্দেহে ইসলাম বিরোধী।
কিন্তু শত আফসোস হলেও সত্য যে, বর্তমান বিশ্বে অধিকাংশ কিশোর-কিশোরী,
তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী বিশেষ করে আধুনিক শিক্ষিত ও সচেতন স্কুল, কলেজ ও ভার্সিটির
ছাত্র-ছাত্রীরা এই ভালবাসা নামক মরণব্যাধিতে আক্রান্ত।
যার ফলে অকালে ঝড়ে যাচ্ছে হাজারো জীবন।
প্রতিনিয়ত এসিডে দগ্ধ হচ্ছে হাজারো নারী। আধুনিক বিশ্বে আধুনিক প্রেমের বেলায় এটি কি সত্য।
তাই বলতে হয় এটা ভালবাসা নয় এটা মরণ নেশা।

ভালবাসার নামে দেশের ভবিষ্যত সম্ভাবনাময় যুব সমাজকে ধ্বংস ও নিঃশেষ এর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
 যার ফলে পরিবার, সমাজ সবই হচ্ছে কলংকিত, অধ:পতিত। যার জলন্ত প্রমাণ প্রতিদিনই পত্রিকার পাতায়
চোখ রাখলেই দেখতে পাই।
তারপরও কি আমরা সে পথ থেকে ফিরে আসতে পারি না? সময় থাকতে তা থেকে
 শিক্ষা নিতে পারি না? হ্যা ভালবাসা বড় মহৎ একটি গুণ। মহান আল্লাহপাক এই ভালবাসাকে একশত ভাগ করে
 নিরানব্বই ভাগ নিজের কাছে রেখে মাত্র একভাগ সারা বিশ্বে সকল প্রাণী জগতে দান করে দিয়েছেন। যার দ্বারা মা
সন্তানদেরকে ভালবাসে, স্বামী-স্ত্রীকে ভালবাসে, আত্মীয় স্বজন একে অপরকে ভালবাসে।
 বাকি নিরানব্বই ভাগ ভালবাসা মহান আল্লাহ নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন।
 কিয়ামতের দিন তা দ্বারা তিনি স্বীয় বান্দাদের প্রতি করুণা প্রদর্শন করবেন।
 মহান আল্লাহ প্রেম-ভালবাসা নামক ধ্বংসাত্বক রোগের প্রতিরোধের জন্য পর্দাপ্রথা দিয়েছেন।
এরই মাধ্যমে বাচানো সম্ভব হবে ব্যক্তি, পরিবার সমাজ এবং দেশকে রক্ষা করা।
 আল্লাহপাক নারীদের উদ্দেশ্য করে বলেন-
وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
তোমরা জাহেলী যুগের ন্যায় নিজেদের প্রদর্শন করে বাহিরে বের হয়ো না। (আল-কুরআন)
যারা অবৈধ ভালবাসাকে পবিত্র বলতে দুঃসাহস দেখান এবং বলেন প্রেম পবিত্র।
 শালিনতার সাথে প্রেম করলে তা নাজায়িয হবে কেন?
তাদেরকে আবারও বলছি, এটা আপনাদের নিছক মুর্খতা ও সম্পূর্ণ অমূলক ভুল এবং ভুল ধারণা।
অবৈধ ভালবাসা কখনো পবিত্র হতে পারে না এবং পবিত্র হবার কোন পথও নেই।
যুবক ও যুবতীর ভালবাসা সম্পূর্ণ নাজায়িয ও হারাম। এক মাত্র বৈবাহিক সম্পর্কের পর পরই প্রেম-ভালবাসা পবিত্র হতে পারে।
বিয়ের আগে তা পবিত্র নয়, হারাম ও কবিরা গুনাহ। যদি বিয়ের তারিখ ঠিক হয়েও যায়
তবুও এ কাজে লিপ্ত হতে পারবে না যতক্ষণ না আকদ হয়েছে। এমন কি আকদের পূর্ব
পর্যন্ত প্রেম সংক্রান্ত গোপন চিঠি আদান প্রদান, দেখা-সাক্ষাত, ফোনে কথা-বার্তা বলা সবই  নিষিদ্ধ, কবীরা গুনাহ।
.
এতকিছুর পরেও যদি কেউ প্রেম কে বৈধ বলে প্রমান করার চেস্টা করে, যদি সচেতন অভিভাবকদের কে
অচেতন বলে দাবী করে।
যদি অভিভাবকদের মনোভাব পরিবর্তন করার জন্য উপদেশ দেয়।
 তবে তাদেরকে  আমি সেই সকল লোকদের দলভুক্ত বলে বিবেচনা করব। যারা কিছুদিন পূর্বে  মেয়েদের ছবি ফেসবুকে প্রকাশের
পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল।
 সময়ের পরিবর্তনে যারা প্রকাশ্য চুমু খাওয়ার পিকচার আপলোড করে দেখিয়েছে।
যারা পশু-প্রাণীদের মত যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার ব্যাপারে প্রচারণা চালাচ্ছে।
কেননা তারাও মাত্র কয়েকদিন পূর্বেই এরকম প্রেম কে বৈধ প্রমানের অপচেস্টা চালিয়েছিল।
আজ তারা প্রকাশ্যে তাদের নোংরামির দৃশ্য দেখাচ্ছে।
.
উপরোক্ত আলোচনার আলোকে কোন সাধারন মস্তিষ্কের মানুষ প্রেম কে বৈধ বলতে
পারে না।
আর যদি বলে তাহলে তার সাইকোলজিক্যাল সমস্যা আছে বলে বিবেচিত হবে।
.
আসুন আমরা এই অবৈধ সম্পর্ক কে না বলি।
শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে ভূমিকা রাখি।
আমাদেরকে সঠিকভাবে বাচতে হলে দেশ, জাতি ও পরিবারকে বাঁচাতে হলে
এই অবৈধ প্রেম ভালবাসার পথ চিরতরে বন্ধ করতে হবে।
এ বিষয়ে প্রত্যেক মুসলমানদের সতর্ক হওয়া অতীব জরুরী।
পরিশেষে বলব, যদি আমরা যুবক-যুবতী, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদের শরীয়ত সম্মতভাবে বৈবাহিক বন্ধনের
ভিত রচনা করি তাহলে ইহকাল ও পরকাল উভয় জগতে সুখী হতে পারব।
দেশ ও সমাজকে পাপাচার থেকে
মুক্তি দিতে পারব এবং সামনে আগত প্রত্যেক শিশুকে সুন্দর ভবিষ্যত এবং কাঙ্খিত দেশ সমাজ ও পরিবেশ উপহার দিতে পারব।
তাই আসুন, আমরা সবাই সচেতন হই এবং যুবসমাজকে সঠিকভাবে বাঁচার জন্য সুন্দর পথ দেখাই।

ফেসবুক প্রোফাইল কে পেইজে রূপান্তর করার নিয়ম

আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো কি করে একটা ফেসবুক প্রোফাইল কে ফেসবুক পেজে কনভার্ট করবেন।





হয়তো  পোস্ট টি এর আগে শেয়ার করা হয়েছে।
তার পর ও আমি বিস্তারিত আকারে পোস্ট করলাম।
প্রথমে এর কিছু সুবিধা অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করব।

এর সুবিধা সমুহঃ-

 আপনার আইডি তে যত ফ্রেন্ড থাকবে পেইজে রুপান্তরের পর তত লাইক থাকবে।
ফলে সহজেই একটা পেজে অনেক লাইক পাওয়া যাবে।
কেননা নতুন একটা পেইজ খুলে লাইক পাওয়া সহজ নয়।
.
অসুবিধা:-

আইডির সব ডাটা মুছে যেতে পারে।
যা আর ব্যাক করা সম্ভব না।
 তাহলে নিজেই চিন্তা করে ভেবে দেখুন কি করবেন।
যারা তারপরও upgrade করতে চান তারা নিচের নিয়ম মেনে কাজ করুন।
আপনার যদি একের অধিক ফেসবুক প্রোফাইল থাকে এবং আপনি যদি চান যে একটা প্রোফাইল রেখে অন্যটি পেজে কনভার্ট করবেন তাহলে এ টিউন টি আপনার জন্য।
আপনি চাইলে আপনার ব্যাবসা বা অন্য কোন কিছুর নামেও পেইজ তৈরি করতে পারেন। এক্ষেত্রে ঐ প্রোফাইল এর সকল ফ্রেন্ড তখন ঐ পেজের ফ্যান এ কনভার্ট হয়ে যাবে।
যাহোক কাজের কথায় আসি।

প্রথমে যে প্রোফাইল টি কনভার্ট করবেন সেটিতে লগিন করুন।
তবে একটা কথা মনে রাখবেন আর সেটি হল যে নামে পেজটি করবেন তার আগে অবশ্যই প্রোফাইল এর নাম ঐ নামে করে রাখবেন কারন পেজে কনভার্ট করার সময় আপনার প্রোফাইল যে নামে থাকবে সেই নামেই পেজ এর নাম হবে সেটি পরিবর্তন করতে পারবেন না। প্রোফাইল এর নাম পরিবর্তন করার সময় সাবধানতার সাথে করবেন কারন একবার নাম পরিবর্তন করলে ৬০ দিনের আগে আর পরিবর্তন করতে পারবেন না।
তবে যদি প্রোফাইল এর ফ্রেন্ড সংখ্যা ২০০ এর কম থাকে তাহলে পেজে কনভার্ট করার পরেও পেজের নাম পরিবর্তন করতে পারবেন।
এখন ঐ প্রোফাইল এ লগিন অবস্থায় নিচের লিঙ্কে যান।

link here
.
এরপর যে কোন একটা ক্যাটেগরি নির্বাচন করুন।
এরপর এখানে একটা ক্যাটেগরি নির্বাচন করে Get Started বাটন এ ক্লিক করুন।
এখন যেসব তথ্য চায় সেসব তথ্য দিন বাস কাজ শেষ।
আপনি চাইলে এই প্রোফাইল এর ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করে এই পেজ ম্যানেজ করতে পারেন অথবা setting>Page Roles এ গিয়ে আপনি যাকে অ্যাডমিন বানাতে চান তার ইমেইল অ্যাড করে নিন এবং তার অ্যাক্সেস যেন Admin হয়। ব্যাস এখন থেকে আপনি এই পেজকে যে প্রোফাইল কে অ্যাক্সেস দিবেন সেখান থেকে ম্যানেজ করতে করতে পারবেন।
সবাই ভাল থাকবেন।
.
বি.দ্রঃ- এই লেখাটি বিনা অনুমতিতে কোথাও প্রচার করবেন না .
কেবল মাত্র ব্লগারের অনুমতি সাপেক্ষেই ব্যাবহার করতে পারবেন।
অন্যথায় কেউ প্রচার করার দায়ে কোন হুমকির সম্মুখীন হলে ব্লগার দায়ী থাকবে না।
এটা কেবলমাত্র আইয়ুবের ব্লগেই প্রকাশিত হলো ।`