Cute Orange Flying Butterfly ফেব্রুয়ারী 2017 ~ ‎অচিনপুরের আইয়ুব‬
আস-সালামু আলাইকুম। আমি আইয়ুব আনসারি। আমার লেখাগুলো পড়তে প্রত্যহ ব্লগটি ভিজিট করুন

রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

ওয়েব ডিজাইন শিখুন খুব সহজেই



আমরা যারা ওয়েব্ ডিজাইন শিখতে চাই তাদের জন্য এক বিশাল সুখবর। 
আমরা সবাই চেষ্টা করি কোন IT center এ গিয়ে ওয়েব ডিজাইন শিখতে। 
কিন্তু বর্তমানে IT center গুলো খুব প্রোফেসনাল হয়ে গেছে। 
তাই আপনি যদি নিজে নিজে ওয়েব ডিজাইন শিখতে চান তাহলে আজ একটা ওয়েবসাইট এর ঠিকানা দিচ্ছি যেখান থেকে আপনি নিজে নিজে ওয়েব ডিজাইন শিখতে পারেন। 
আমার দেখা সবচেয়ে ভাল একটা ওয়েবসাইট। 
এখানে রয়েছে অনেক tutorial যা দেখে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারেন। 
এখানে সব tutorial বাংলা করা। তাই আপনি খুব সহজেই ওয়েব ডিজাইন এর অনেক কিছু শিখতে পারেন। 
এখানে রয়েছে CSS, HTML, PSD to HTML, WordPress, PHP সহ অনেক কিছুর বাংলায় tutorial। 
আমিও অনেক কিছু এখান থেকে শিখেছি এবং এখনো শিখছি।

ওয়েবসাইট rrfoundation.net  

আহলে হাদীস যুবসংঘের সংক্ষিপ্ত পরিচয়!

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম।
"কুল হা-যিহী সাবীলী আদ'ঊ ইলাল্লা-হি 'আলা বাছীরাতিন আনা ওয়া মানিত্তাবা'আনী; ওয়া সুবহা-নাল্লা-হি ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন"।
অর্থঃ বলুন ইহাই আমার পথ। আমি ও আমার অনুসারীগণ ডাকি আল্লাহর দিকে জাগ্রত জ্ঞান সহকারে। আল্লাহ পবিত্র এবং আমি অংশীবাদীদের অন্তর্ভুক্ত নই। (সুরা ইউসুফ-১০৮)


'আহলেহাদীছ' অর্থ কুরআন ও হাদীছের অনুসারী। দুনিয়ার মানুষকে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের মর্মমূলে জমায়েত করার জন্য ছাহাবায়ে কেরামের যুগ হতে চলে আসা নির্ভেজাল ইসলামী আন্দোলনই 'আহলেহাদীছ আন্দোলন'। 'আহলেহাদীছ' কোনো মাযহাব বা মতবাদের নাম নয়; এটি একটি পথের নাম। সে পথ আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ অহি-র পথ; পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের পথ। ছাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈনে ইযাম ও সালফে ছালেহীন সর্বদা এ পথেই দাওয়াত দিয়ে গেছেন। মানুষের ধর্মীয় ও বৈষয়িক জীবনের যাবতীয় হেদায়েত এ পথেই মওজুদ রয়েছে। 'আহলেহাদীছ আন্দোলন সেই পথেই ডাকে। এই আন্দোলন মুমিনের ইহকালীন মঙ্গল ও পরকালীন মুক্তির আন্দোলন।
সংগঠনের নামঃ
বাংলাতে- বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ
আরবীতে- জমঈয়তে শুব্বানে আহলিল হাদীছ বাংলাদেশ
ইংলিশ- Bangladesh Ahlehadeeth Youth Association
প্রতিষ্ঠাকালঃ ৫ই ফেব্রুয়ারী ১৯৭৮ খৃঃ, রবিবার
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
নির্ভেজাল তাওহীদের প্রচার ও প্রতিষ্ঠা এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে কিতাব ও সুন্নাতের যথাযথ অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জন করা। আক্বীদা ও আমলের সংশোধনের মাধ্যমে সমাজের সার্বিক সংস্কার সাধন আহলেহাদীছ আন্দোলনের সামাজিক ও রাজনৈতিক লক্ষ্য।
মূলনীতিঃ বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘের প্রধান মূলনীতি ৫টি।
১. কিতাব ও সুন্নাতের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা
( এর অর্থ- পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে বর্ণিত আদেশ-নিষেধকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া এবং তাকে নিঃশর্তভাবে ও বিনা দ্বিধায় কবুল করে নেওয়া ও সে অনুযায়ী আমল করা)
২. তাক্বলীদে শাখছী বা অন্ধ ব্যক্তিপূজার অপনোদন
( তাক্বলীদ অর্থ- শারঈ বিষয়ে বিনা দলীলে কারো কোনো কথাকে চোখ বুঁজে মেনে নেওয়া। তাক্বলীদ দু'প্রকার- জাতীয় ও বিজাতীয়। জাতীয় তাক্বলীদ বলতে ধর্মের নামে মুসলিম সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন মাযহাব ও তরীকার অন্ধ অনুসরণ বুঝায়। বিজাতীয় তাক্বলীদ বলতে বৈষয়িক ব্যাপারের নামে সমাজে প্রচলিত পুঁজিবাদ, সমাজবাদ, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ প্রভৃতি বিজাতীয় মতবাদের অন্ধ অনুসরণ বুঝায়)
৩. ইজতেহাদ বা শরী'আত গবেষণার দুয়ার উন্মুক্তকরণ
( ইজতিহাদ অর্থ- যুগ-জিজ্ঞাসার জওয়াব পবিত্র কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহ হতে বের করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো। এই অধিকার ক্বিয়ামত পর্যন্ত সকল যুগের সকল যোগ্য আলেমের জন্য খোলা রাখা)
৪. সকল সমস্যায় ইসলামকেই একমাত্র সমাধান হিসেবে পরিগ্রহণ
( এর অর্থ- ধর্মীয় ও বৈষয়িক জীবনের সকল সমস্যায় ইসলামকেই একমাত্র সমাধান হিসেবে গ্রহন করা)
৫.মুসলিম সংহতি দৃঢ়করণ
( এর অর্থ- পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আদেশ-নিষেধকে নিঃশর্তভাবে মেনে নেওয়ার ভিত্তিতে মুসলিম ঐক্য গড়ে তোলা এবং মুসলিম উম্মাহর সার্বিক স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া )
উপরোক্ত লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও মূলনীতি সমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে 'বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ' চায় এমন একটি ইসলামী সমাজ, যেখানে থাকবেনা প্রগতির নামে কোনো বিজাতীয় মতবাদ; থাকবেনা ইসলামের নামে কোনোরুপ মাযহাবী সংকীর্ণতাবাদ।
কর্মসূচীঃ
বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ- এর কর্মসূচী ৪টি। যথা- ১. তাবলীগ, ২. তানযীম, ৩. তারবিয়াত ও ৪. তাজদীদে মিল্লাত।
১. তাবলীগ বা প্রচারঃ
এ দফার করণীয় হলো, তরুণ ছাত্র ও যুবসমাজের নিকট নির্ভেজাল তাওহীদের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া। তাদেরকে যাবতীয় রকমের শিরক, বিদ'আত ও তাক্বলীদী ফির্কাবন্দীর বেড়াজাল হতে মুক্ত হয়ে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও খোলা মনে কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী নিজের জীবন ও পরিবার গঠনে উদ্বুদ্ধ করা। তাদের মধ্যে ইসলামের প্রকৃত জ্ঞান অর্জন এবং জীবনের সকল দিক ও বিভাগে উহার পূর্ণাঙ্গ অনুশীলনের দায়িত্বানুভূতি জাগ্রত করা।
২. তানযীম বা সংগঠনঃ
এ দফার করণীয় হলো, যেসকল যুবক নিজেদেরকে খাঁটি ইসলামী চরিত্রে গড়ে তুলতে এবং সমাজের বুকে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী জীবনবিধান কায়েমের আন্দোলনে অংশ নিতে প্রস্তুত, তাদেরকে এই সংগঠনের অধীনে সংঘবদ্ধ করা।
জনশক্তি স্তরঃ এ সংগঠনের জনশক্তি স্তর ৩টি। যথা- প্রাথমিক সদস্য, কর্মী ও কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সদস্য। অনধিক ৩২ বছরের যে সকল তরুণ ছাত্র ও যুবক ক) নিয়মিত ছালাত আদায় করেন খ) কুরআন ও সুন্নাহর সিদ্ধান্তকে বিনা শর্তে মেনে নেওয়ার স্বীকৃতি দেন গ) নির্ধারিত সিলেবাস অধ্যয়নপূর্বক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ঘ) সংগঠনের নির্দেশ পালনে প্রস্তুত থাকেন এবং ঙ) ব্যক্তিগত রিপোর্ট সংরক্ষনে রাযী থাকেন। তিনি নির্ধারিত ফরম পূরণের মাধ্যমে এই সংগঠনের 'প্রাথমিক সদস্য' হিসেবে গণ্য হবেন। এভাবে ধাপে ধাপে পরবর্তী স্তরে উত্তীর্ণ হবেন। এছাড়া শাখা, এলাকা, উপযেলা, যেলা ও কেন্দ্র এই পাঁচটি সাংগঠনিক স্তর রয়েছে।
৩. তারবিয়াত বা প্রশিক্ষনঃ
এ দফার উদ্দেশ্য, সংগঠনের অধীনে সংঘবদ্ধ যুবকদের নির্ভেজাল তাওহীদ ও ছহীহ সুন্নাহর আলোকে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে যিন্দাদিল মর্দে মুজাহিদ রুপে গড়ে তোলা এবং ধর্মের নামে প্রচলিত যাবতীয় কুসংস্কার ও জাহেলিয়াতের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুকাবিলায় ইসলামকে বিজয়ী করার মত যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মী তৈরি করার ব্যবস্থা গ্রহন করা।
৪. তাজদীদে মিল্লাত বা সমাজ সংস্কারঃ
এ দফার করণীয়, আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ অহি-র বিধান অনুযায়ী সমাজের বুকে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও অন্যায়ের প্রতিরোধের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো এবং এর মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সংশোধনের ব্যবস্থা করা। এ বিষয়ে আমরা নিম্নোক্ত তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিতে চাই--
(১) শিক্ষা সংস্কারঃ
(ক) দেশে প্রচলিত ধর্মীয় ও সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার দ্বি-মুখী ধারাকে সমন্বিত করে আমরা সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক একক ও পূর্ণাঙ্গ ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা চাই। যেখানে দেশের প্রচলিত বিভিন্ন ধর্ম ও ইসলামী মাযহাবী পাঠ্য বইসমূহ ঐচ্ছিক হিসেবে সিলেবাসভুক্ত হবে।
(খ) ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক শিক্ষার পরিবেশ অথবা একই প্রতিষ্ঠানে পৃথক শিফটিং পদ্ধতি চালু করে উভয়ের জন্য উচ্চ শিক্ষা ও পৃথক কর্মক্ষেত্র ও কর্মসংস্থান প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন করা যরুরী এবং
(গ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে যাবতীয় দলাদলি ও রাজনৈতিক ক্রিয়া-কলাপ নিষিদ্ধ করা উচিত এবং প্রয়োজনবোধে সেখানে বয়স, যোগ্যতা ও মেধাভিত্তিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন করা আশু যরুরী।
(২) অর্থনৈতিক সংস্কারঃ
হালাল রুযী ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। অথচ সূদ-ঘুষ, জুয়া-লটারী যা ইসলামে হারাম ঘোষিত হয়েছে এবং পুঁজিবাদী অর্থনীতির নোংরা হাতিয়ার হিসেবে যা সর্বযুগে সকল জ্ঞানী মহল কর্তৃক নিন্দিত হয়েছে, সেই প্রকাশ্য হারামী অর্থ ব্যবস্থাকে বাংলাদেশের মুসলিম সরকারগুলো সর্বদা চালু রেখেছে। এতে ধনীদের হাতে সম্পদ কুক্ষিগত হচ্ছে ও গরীবেরা আরও নিঃস্ব হচ্ছে। যার পরিণতি স্বরুপ সামাজিক অশান্তি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে যোগ হয়েছে দেশী ও বিদেশী পুঁজিবাদী সূদখোর এনজিও সমূহের অপতৎপরতা। যারা হিংস্র অক্টোপাসের মত সমাজদেহকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে সাধারণ জনগণের ঈমান ও নৈতিকতা হরণ করছে এবং সাথে সাথে এই দেশটাকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু ও পরমুখাপেক্ষী করে রেখেছে, যা সম্রাজ্যবাদীদের সুদূর প্রসারী রাজনৈতিক নীল-নকশারই অংশ বলে অনেকে মনে করেন। উপরোক্ত দুর্দশাগ্রস্থ অবস্থা হতে সমাজকে মুক্ত করার লক্ষ্যে আমরা নিম্নোক্ত কর্মসূচীসমূহ গ্রহন করতে চাই-
(ক) শহর ও গ্রামে বায়তুল মালের সুষ্ঠু সংগ্রহ ও বণ্টন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। (খ) সমাজকল্যাণমূলক ইসলামী প্রকল্পসমূহ গ্রহন ও বাস্তবায়ন করা। (গ) অনৈসলামী অর্থব্যবস্থার বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গঠন করা ও সরকারের নিকটে ইসলামী অর্থব্যবস্থা চালুর জন্য জোর দাবী পেশ করা। (ঘ) ব্যক্তি জীবনে যাবতীয় বিলাসিতা পরিহার করে 'অল্পে তুষ্ট থাকা'র ইসলামী নীতির বাস্তব অনুশীলন ও সকলের মধ্যে পরকালীন জওয়াবদিহির দায়িত্বানুভূতি তীব্র করা।
(৩) নেতৃত্বের সংস্কারঃ
অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসৎ নেতৃত্ব আজ সমাজ জীবনকে বিষময় করে তুলেছে। শান্তিপ্রিয় সৎ নেতৃত্ব সর্বত্র মুখ লুকিয়েছে। এ অবস্থা সৃষ্টির জন্য পূর্বে বর্ণিত শিক্ষাগত ও অর্থনৈতিক কারণ দুটি ছাড়াও নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে আমরা মৌলিক কারণ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি:
(ক) দল ও প্রার্থীভিত্তিক বর্তমান নেতৃত্ব ব্যবস্থা।
(খ) সৎ ও অসৎ সকলের ভোটের মূল্য ও নির্বাচনের অধিকার সমান গণ্য করা।
(গ) দলীয় প্রশাসন, দুর্নীতিগ্রস্থ আমলাতন্ত্র ও বিচার ব্যবস্থা।
(ঘ) সরকার ও বিরোধী দলীও রাজনৈতিক পদ্ধতি এবং হরতাল, ধর্মঘট ও মিছিলের যথেচ্চ ব্যবহার।
উপরোক্ত বিষয়গুলো সামনে রেখে নেতৃত্ব সংস্কারের লক্ষ্যে আমরা পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে নিম্নোক্ত প্রস্তাবসমূহ বিবেচনার জন্য জাতির নিকটে পেশ করতে চাই-
(ক) সর্বত্র দল ও প্রার্থীবিহীন নেতৃত্ব নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করা এবং নির্বাচক ও নির্বাচিতদের জন্য নির্দিষ্ট গুণাবলী নির্ধারণ করা।
(খ) প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা চালু করা এবং স্বাধীন ও ইসলামী বিচার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা।
(গ) বিরোধী দলীয় দ্বি-মুখী রাজনৈতিক পদ্ধতি বাতিল করা এবং সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সকল সদস্যকে একই পরিবারভুক্ত গণ্য করে ইসলামী শূরা পদ্ধতি অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করা।
(ঘ) জনগণ ও সংসদ নয়, বরং আল্লাহকে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক হিসেবে ঘোষণা করা এবং তাঁর প্রেরিত সর্বশেষ 'অহি'-র বিধান পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছকে সকল ক্ষেত্রে চুড়ান্ত সমাধান হিসেবে গ্রহন করা। মোটকথা মানুষের উপরে মানুষের প্রভুত্ব নয়, সবাই আমরা এক আল্লাহর গোলাম হিসেবে ভাই ভাই; এমন একটা সামাজিক মানসিকতা সৃষ্টি করতে এবং 'আমর বিল মা'রুফ ও নাহি আনিল মুনকার'(সৎ কাজের আদেশ, অসৎ কাজের নিষেধ) -এর মূলনীতি অনুযায়ী সমাজের বুকে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও অন্যায়ের প্রতিরোধে আমরা বদ্ধপরিকর। এজন্য সংগঠনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আমরা নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন একদল ঈমানদার ও যোগ্য কর্মীবাহিনী গড়ে তুলতে চাই।
আয়ের উৎসঃ
যাকাত, ফিতরা ও ওশর আদায়। প্রতি স্তরের সদস্যদের এবং শাখা সমূহের নিয়মিত এয়ানত যা কেন্দ্র কর্তৃক নির্ধারিত হয়। এছাড়া আছে উপদেষ্টা ও সুধীদের দান, যুবসংঘ প্রকাশনী এবং অন্যান্য বই, সাময়িকী, ক্যালেন্ডার ইত্যাদি বিক্রয়লব্ধ আয়।
ব্যয়ের খাতঃ
সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন খাতে ব্যয় হয়। এছাড়া পাঠাগারের বই ক্রয়, গরীব ও মেধাবী ছাত্রদের সাহায্য, বন্যা ত্রাণসহ সমাজ সেবামূলক কাজে অংশগ্রহন ও আন্দোলনের সহায়ক বিভিন্ন বই, বুকলেট, বিজ্ঞাপন, সাময়িকী, প্রকাশনা ইত্যাদি।
আমাদের দাওয়াতঃ
'বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ' এদেশে ইসলামের পূর্ণাঙ্গ বিজয় ও বাস্তবায়ন দেখতে চায়। এজন্য রাসূলুল্লাহ(সাঃ) এর তরীকা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ইমারতের অধীনে পূর্ণ ইখলাছের সাথে 'দাওয়াত ও জিহাদ'-এর কর্মসূচী নিয়ে জামা'আতবদ্ধভাবে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। অতএব কিতাব ও সুন্নাতের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে বিশ্বাসী মুমীন ভাইদেরকে এই জিহাদী কাফেলায় শামিল হয়ে জান ও মালের কুরবানী পেশ করার উদাত্ত আহ্বান জানাই
<আরো জানতে পড়ুন>
• গঠনতন্ত্র, কর্মপদ্ধতি
• আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও কেন?
• ইক্বামতে দ্বীনঃ পথ ও পদ্ধতি
• ইসলামী খেলাফত ও নেতৃত্ব নির্বাচন
• মাসিক আত-তাহরীক
• ত্রি-পাক্ষিক তাওহীদের ডাক
এছাড়াও যুবসংঘ প্রকাশনী, হাদীছ ফাউন্ডেশন ও আহলেহাদীছ আন্দোলনের অন্যান্য বই, বুকলেট, প্রচারপত্র এবং জুমুআর খুতবাসহ সংগঠনের বিভিন্ন প্রগ্রামের লেকচারসমূহ।
[কেন্দ্রীয় কার্যালয়ঃ
আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী (২য় তলা) নওদাপাড়া, পোঃ সপুরা, রাজশাহী, বাংলাদেশ] .
ওয়েবসাইটঃ

আল্লাহ কোথায় আছেন & কিভাবে আছেন?



আল্লাহর ব্যাপারে পূর্ণ ধারণা অর্জন করা আমাদের জন্য অতি আবশ্যক কাজ।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমরা সংখ্যায় বেশিরভাগ মানুষই আল্লাহর সম্পর্কে সঠিক ধারণা অর্জন করি না।

কেউ বলে আল্লাহ্‌ নিরাকার কেউ বলে আল্লাহর আকার আছে!
কেউ বলে আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান আবার কেউ বলছে আল্লাহ সাত আসমানের উপর আরশে আযীমে সমাসীন!

জন্মঅবধি এই বিতর্ক দেখে আসছি ।

তবে সত্য কোনটা? সত্য তো একটাই হবে, দুটো কখনোই হবে না। কেননা, দুটো সম্পূর্ণ বিপরীত।
চলুন দেখে নিই আল্লাহ নিজে তাঁর পরিচয় দিয়েছেন কি-না? তিনি কোথাও বলেছেন কি-না যে, তিনি কোথায় থাকেন!

আল্লাহ কোথায় থাকেন । আল্লাহ সম্পর্কে সঠিক ধারণা কোনটি?


উল্লিখিত বিষয়ে কথা বলার আগে এ কথা না বললেই নয় যে, "আল্লাহ সম্পর্কে যার বিশুদ্ধ ধারণা নাই, তার ঈমানও নাই। "

সৃষ্টিকর্তার ব্যাপারে ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে আপনি যতই ইবাদাত বন্দেগী করেন না কেন, তা কাজে আসবে না।

আপনার নামায আর পাশের জনের মন্দিরে ভক্তি দেওয়া, আপনার সাওম আর পাশের জনের উপবাস থাকা, আপনার কুরবানি আর পাশের জনের পাঁঠা বলির মাঝে কোন পার্থক্য থাকবে না।

ঈমাম বোখারি তার কিতাবুল বোখারির ৭১ নং পৃষ্টায় ইলম সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেনঃ-"কোন কাজ করার পূর্বে তার জ্ঞান অর্জন আবশ্যক।"

সেই অনুযায়ি আমরা আল্লাহ কে বিশ্বাস করার পূর্বে তাঁর ব্যাপারে জ্ঞান অর্জন করবো এটাই স্বাভাবিক।
অনেক হুজুর বলে থাকেন যে, আল্লাহ সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসা করা যাবে না।

কিন্তু আল্লাহ তায়ালা কুরআনে নিজেই বলেছেনঃ-"তিনি হলেন রহমান। তাঁর সম্পর্কে যার জ্ঞান আছে তাকে জিজ্ঞাসা করো।"

সূরা মুহাম্মদের ১৯ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেনঃ"জ্ঞান অর্জন করো সেই স্বত্তার ব্যাপারে, যিনি তোমাদের একমাত্র প্রতিপালক।"

আজ আমরা প্রথমেই আল্লাহ নিজ থেকে যে পরিচয় দিয়েছেন তা জানবো। তারপর দেখবো যুগে যুগে বিজ্ঞ জনরা কি বলে গেছেন।

আল্লাহর কি আকার আছে , নাকি তিনি নিরাকার?


ভারতবর্ষের অধিকাংশ ব্যক্তিকে যদি বলা হয় আল্লাহর আকার আছে নাকি নিরাকার?
তবে সরাসরি বলে দেয় আল্লাহ নিরাকার!!

আবার যদি বলা হয় তিনি আছেন কোথায় ? তবে সরাসরি বলেন , মুমিন বান্দার ক্বালবে(অন্তরে) এবং সেই সাথে আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান।

আল্লাহ কি নিরাকার?


তবে কি তিনি সত্যিই সর্বত্র বিরাজমান ? সত্যিই নিরাকার?

আল্লাহ তায়ালা সূরা ফুরকানের ৫৯ নং আয়াতে বলেছেনঃ-"আল্লাহ তো তিনিই,যিনি এই আসমান-জমিনের সবকিছুকে মাত্র ৬ দিনে তৈরি করেছেন। অতঃপর আমি আরশে আযীমের উপরে সমাসীন হয়েছি।"

সুরা ত্বহার ৫ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেনঃ"“দয়াময় আল্লাহ তায়ালা আরশের সমাসীন হয়েছেন"

উল্লিখিত আয়াতসমূহ থেকে আমরা সহজেই বুঝতে পারি আল্লাহ আরশে আযীমের উপর সমাসীন। তিনি স্বর্বত্র বিরাজমান নন। তিনি তাঁর কুদরতী দৃষ্টি দ্বারা সমস্ত কিছু দেখছেন একযোগে।

আল্লাহর আকার আছে তার প্রমাণ কি?


এবার আসি আল্লাহর আকারের ব্যাপারেঃ-
সূরা রাহমানের ২৭ নং আয়াতের মাঝে আল্লাহ বলেছেনঃ" এবং অবিনশ্বর শুধু আপনার প্রতিপালকের চেহারা । যিনি মহিমাময়, মহানুভব।

এই আয়াত থেকে আমরা আল্লাহ রাব্বুল আ'লামীনের চেহারার প্রমান পাই।
এরপর সূরা ছ্বদ এর ৭৫ নং আয়াতে আমরা আল্লাহর হাতের ব্যাপারে জানতে পারি।
উক্ত আয়াতে আল্লাহ বলেছেনঃ কিসে তোমাকে বাঁধা দিলো ঐ ব্যক্তিকে সিজদাহ্‌ করতে! যাকে আমি নিজ দুই হাত দ্বারা তৈরি করেছি।"

তিনি তাঁর আকারের প্রমাণ দিতে গিয়ে আরোও বলেন, এবং কিয়ামাত দিবসে আপনার প্রতিপালক আর ফেরেশতাগ্ণ কাতারবন্দী হয়ে আগমন করবেন। ( সূরা ফাজরঃ২২ নং আয়াত)
আল্লাহর আকারের প্রমাণ নিতে আরো দেখতে পারেন (সূরা মায়েদাহ্‌=৬৪, সাজদাহ্‌=৪, হাদীদ=৪, ইউনুস=৩, আল কিয়ামাহ্‌=২২,২৩) আয়াতসমূহ ।

আল্লাহর আকার প্রমাণ করতে অসংখ্যক হাদীস বর্ণিত হয়েছে। যা পোস্টের আকারের দিকটা বিবেচনা করে উল্লেখ করছি না।

আল্লাহ কোথায় আছেন?


এবার আসুন আমরা আল্লাহ সম্পর্কে জানতে উম্মাহর তাজ'দের সরণাপন্ন হইঃ-
 
তথাকথিত বড়পীর হিসেবে খ্যাত আব্দুল কাদের জীলানী তার গুনীয়াতুত ত্বালিবীন গ্রন্থে বলেনঃ- 

আল্লাহ পাক আরশে সমুন্নত রয়েছেন। রাজত্ব নিজ আয়ত্বে রেখেছেন। সমস্ত বস্তুকে বেষ্টন করে রেখেছেন।আর এভাবে তাঁর পরিচয় দেওয়া জায়েয নয় যে , তিনি স্বর্বত্র #বিরাজমজান। বরং বলতে হবে তিনি আরশের উপর রয়েছেন। যা তিনি সূরা ত্বহার ৫ নং আয়াতে বলেছেন।

এ কথা স্বাভাবিক ভাবেই বলতে হবে। কোন অপব্যাখ্যা করে নয়। তিনি আসমানে আছেন এ কথা নবী-রাসূলদের প্রতি নাযিলকৃত প্রত্যেক কিতাবেই আছে। তবে তিনি আরশে কিভাবে আছেন তা জানা নেই।"

ঈমাম আহমাদ বলেনঃ"আল্লাহ সপ্তাকাশের উপরে রয়েছেন,সৃষ্টিকূল একে পৃথক রয়েছেন এবং তাঁর কুদরত আর ইলম সর্বস্থানে পরিব্যপ্ত। "

শেষকথা


সম্মানীত পাঠকবৃন্দ, আমরা উপরোক্ত আলোচনা থেকে একথা বলিষ্ঠ কন্ঠে বলতে পারি, আল্লাহ নিরাকার নয়! তাঁর আকার আছে, তবে তিনি দেখতে কেমন তা আমরা জানি না।

আল্লাহ কোথায় অবস্থান করেন? তিনি আরশে আযীমের উপর রয়েছেন, কিভাবে আছেন তা জানি না।
আল্লাহ আমাদেরকে সত্য খুঁজে নেওয়া এবং সেই সাথে সত্যের পথে অবিচল থাকার তাওফীক দান করুন।
আল্লাহুম্মা আমীন।