Cute Orange Flying Butterfly নভেম্বর 2017 ~ ‎অচিনপুরের আইয়ুব‬
আস-সালামু আলাইকুম। আমি আইয়ুব আনসারি। আমার লেখাগুলো পড়তে প্রত্যহ ব্লগটি ভিজিট করুন

বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৭

ধানক্ষেত







    ধানক্ষেত

- আইয়ুব আনসারী 
 

দিগন্তের পাণে তাকাই যতদূর, 

সবুজ অপরূপ ধানক্ষেত; 

পাখির কলতান সু-মধুর! 

এপাশ-ওপাশ, চারিপাশ দোলে, 

দখিনা হাওয়ায় ইচ্ছে ঢেউ খেলে। 



দেখি ধানক্ষেত অপলক, 

সকাল বিকাল সূর্যালোক। 

হারাই সবুজের সমারোহের দুনিয়ায়, 

দেখি কৃষকের মুখে তৃপ্তির হাসি; 

আহা! কায়া ছন্ন মনে সুখ পায়।

. 

ছুটি মাঠে বারেবার-ছেড়ে শহুরে ধোঁয়া, 

বুক ভরে নিই শ্বাস, 

যেন পাই স্বর্গীয় ছোঁয়া।। 

শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৭

প্রেম করে বিয়ে বনাম ইসলাম- খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর


আমাদের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় প্রেম করে বিয়ে করা।
এটা কি বৈধ ?
যদি বৈধ না হয় তবে কি করতে হবে???
সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন স্যার D: খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর








বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৭

শিশুর কপালে টিপ পড়ানো, তাবিজ, সুতো ইত্যাদি বাঁধা বৈধ কি-না?





আসসালামু আলাইকুম। সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, কেমন আছেন সবাই?
আমি আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি।
আজ আমি আপনাদের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে অবগত করতে আসলাম।
শিরোনাম দেখে অবশ্যই বুঝে উঠেছেন। জ্বী, আমি শিশুর কপালে টিপ পড়ানোর কথা বলতে চাচ্ছি।

আমাদের মা বোনেরা শয়তান ( জ্বীন এবং মানুষ ) এর কু দৃষ্টি থেকে বাঁচানোর জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন।
আমরা প্রথমেই এর সত্যতা যাচাই করবো এবং তারপর এর বৈধতা / অবৈধতা নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।


সত্যতা যাচাইঃ-

বদনজর বাস্তব সত্য। বদ নজর দু প্রকারে আবির্ভূত হতে পারে।

১। মানুষের মাধ্যমে ও
২। জ্বীনের মাধ্যমে।


মানুষের ঈর্ষাদৃষ্টি অনেক ভয়াবহ। যদি কারো উপর বদনজর পড়ে তবে তার ফলাফল খুবই ভয়ানক হয়ে থাকে।
আর শিশুদের উপর এই বদ নজরের পরিমান টা বেশিই পড়ে।
অপরদিকে আরেক উপায় হচ্ছে জ্বীনের বদ নজর।
যদি কারো উপর জ্বীনের বদনজর পড়ে তাহলে তার বিপদাপদ যেন হাতের কাছে এসে যায়।
জ্বীনদের বদনজর অনেক প্রখর।

এই ধরণের বদনজর থেকে আমাদের বাঁচাটা জরুরি।
বদনজরের সত্যতা দিতে গিয়ে রাসূল সাঃ বলছেনঃ-

নযর বাস্তব সত্য। যদি কোনো কিছু তাকদীর লঙঘন করতে পারত তবে নযর তাকদীর উল্টাতে পারত"

★ মুসলিম (৩৯-কিতাবুস সালাম, ৩৫- তাহরীমিল কাহানাহ) ৪/১৭৫১ (ভারতীয় ২/২২০)।




অর্থাৎ এ থেকে ছোট বড় সবারই বেঁচে থাকা উচিত।

তবে এই ভয়াবহ কু নজর থেকে বাঁচার উপায় কি???

ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান। পৃথিবীতে এমন কোন সমস্যা নেই, যার সমাধান ক্বোরআন আর সুন্নাহের মাঝে নেই।
এ থেকে বাঁচার পথ উন্মুক্ত। কিন্তু, আমরা যে পথ বেছে নিয়েছি তাও শয়তানেরই শিখানো।
সচরাচর আমরা টিপ, তাবিজ, সুতো, গাছের ডাল ইত্যাদি শিশুর শরীরে বেঁধে দিই।
যা শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
তাবিজ বা ঝুলানো কিছু ব্যবহার করা ভয়াবহ শির্ক। যা আমরা পূর্বে আলোচনা করেছিলাম এসো আল্লাহর পথে ব্লগে।
এবার প্রশ্ন তো একটা এসেই যায়। তা হলো, তাবিজ সুতো আর টিপ সহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি যদি ব্যবহার করা নিষিদ্ধ হয় তবে এর থেকে বাঁচবো কিভাবে????

সম্মানিত পাঠক, আমি পূর্বেই বলেছি এর সমাধান আমরা কোরআন আর সুন্নাহ থেকে খুঁজে নেবো।

বদনজর থেকে রোগীকে বাঁচাতে রাসূল সাঃ আমাদের কিছু দোয়া শিখিয়েছেন।
তন্মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী দোয়া টি আমরা উল্লেখ করছি।
এ দোয়া পড়ার মাধ্যমে আমরা বদ নজর সহ সকল ক্ষরিকারক প্রাণির হাত থেকে আল্লাহর ইচ্ছায় রক্ষা পাবো।


দোয়া টি হচ্ছেঃ-

আঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিও ওয়া হা-ম্মাহ, ওয়া মিন কুল্লি আইনিল লা-ম্মাহ। ( নিজের ক্ষেত্রে)

উইযুকুম বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিও ওয়া হা-ম্মাহ, ওয়া মিন কুল্লি আইনিল লা-ম্মাহ। ( একাধিক জনের ক্ষেত্রে। )

উচ্চারণ করতে অসুবিধে হলে আপনি এখান থেকে শুনে নিতে পারেন।

দোয়াটির অর্থ :-
আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি আল্লাহর পরিপূর্ণ কথাসমূহের, সকল শয়তান থেকে সকল ক্ষতিকারক পোকামাকড় ও প্রাণি থেকে এবং সকল ক্ষতিকারক দৃষ্টি থেকে।

স্বয়ং রাসূল সাঃ তার দুই নাতীকে এই দোয়া পড়ে শোনাতেন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেন।
তিনি বলতেন, ইবরাহীম (আ:) এ বাক্যদ্বারা তার দু সন্তান ইসমাঈল এ ইসহাক (আ:) কে হিফাজাত করতেন।

বুখারী (৬৪-কিতাবুল আম্বিয়া, ১২ বাব- ইয়াযিফফুন) ৩/১২৩৩

সুতরাং,
মুসলিম মা ও বোনদের আহ্বান করবো ইসলামের পথে ফিরতে। শির্ক এর পথে না চলতে।
আসুন, আমরা শয়তানের পথ ছেড়ে আল্লাহর দেখানো পথে চলতে শুরু করি।
তিনি আমাদের সকল বালা মুছিবত থেকে আছান দিবেন ইনশাআল্লাহ।
প্রত্যেক পিতা-মাতার প্রতি উদার্ত আহ্বান জানাচ্ছি এই মর্মে,
আপনারা সকাল সন্ধ্যায় এই দোয়া গুলো পড়ে সন্তানদের শরীরে ফুঁক দিবেন আশাকরি।
আর সেই সাথে তাদের নিরাপত্তা প্রার্থনা করবেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে।
রাহমানুর রাহীম আমাদেরকে তার রহমতের ছায়া তলে আশ্রয় দান করুন।
আমীন।