Cute Orange Flying Butterfly সেপ্টেম্বর 2018 ~ ‎অচিনপুরের আইয়ুব‬
আস-সালামু আলাইকুম। আমি আইয়ুব আনসারি। আমার লেখাগুলো পড়তে প্রত্যহ ব্লগটি ভিজিট করুন

সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

সমালোচক মানেই কি ভয়ংকর অপরাধী?

১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে পাস হলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এই আইনের পক্ষে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ‘এই যুদ্ধে যদি রাষ্ট্রকে নিরাপত্তা দিতে না পারি, রাষ্ট্র যদি বিপন্ন হয়, তাহলে অপরাধটা আমাদেরই হবে।’ অতি উত্তম কথা। রাষ্ট্র নিয়ে তিনি এবং তাঁর সরকার খুবই চিন্তিত। আইনটি না করা গেলে রাষ্ট্রের ওপর গজব নেমে আসবে বলে তাঁদের আশঙ্কা।
গণমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যাঁরা, তাঁদের একটা বড় অংশ সরকারের সমর্থক। তাঁদের অনেকেই এই আইনের সমালোচনা করছেন। তাঁদের দাবি, এই আইন অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং মুক্তচিন্তার পথকে বাধাগ্রস্ত করবে। সবচেয়ে বড় বিপদ হলো, মামলা হলে থানায় দারোগার বিবেচনার ওপর ছেড়ে দিতে হবে বিষয়টি ‘অপরাধের’ পর্যায়ে পড়ে কি না, বা ‘অভিযুক্ত’ কত ভয়ংকর যে তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিতে হবে।
পাশের দেশ মিয়ানমার। সেখানে দশকের পর দশক ধরে চলছে কর্তৃত্ববাদী শাসন। মিয়ানমার রাষ্ট্রটি যে মারাত্মক রকম গণবিরোধী এবং মিয়ানমার সরকার যে নিরীহ মানুষের ওপর নির্বিচারে গণহত্যা চালাচ্ছে, এ ব্যাপারে বাংলাদেশের সরকার ও গণমাধ্যম মোটামুটি একমত। তো সে দেশের একটি সংবাদ খুব ছোট করে ছেপেছে এ দেশের একটি দৈনিক, ভেতরের পাতায়।
কিন্তু খবরটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ মনে হলো। খবরে প্রকাশ, মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য ফেসবুকে পোস্ট করার অভিযোগে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের সাবেক এক কলাম লেখককে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাজা পাওয়া এই লোকের নাম নাগার মিন সোয়ে। স্টেট কাউন্সেলর সু চির বিরুদ্ধে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট লেখার জন্য তিনি আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সু চি সম্পর্কে জনগণের মধ্যে খারাপ অনুভূতি তৈরি করতেই তিনি এ কাজ করেছেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ (সূত্র: এএফপি, ইয়াঙ্গুন)।
মিয়ানমারেও ৫৭ ধারা বা ৩২ ধারা অথবা এ–জাতীয় ব্যাপারস্যাপার আছে কি না, জানা নেই। তবে সে দেশে বাক্স্বাধীনতা আছে, এমন দাবি আমাদের দেশের কট্টর মিয়ানমারপ্রেমীও করবেন কি না সন্দেহ। কিছুদিন আগে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি প্রতিবেদন লেখায় রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে মিয়ানমারের একটি আদালত কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সরব হলেও আমাদের এখানে তা কোনো ঢেউ তুলতে পারেনি। মনে হয়, এই দুই দেশের গণমাধ্যমের অবস্থায় সাদৃশ্য হয়েছে। সরকারকে চটালে তার ফল ভালো হয় না।
এ দেশে এই আইন তৈরির শুরুটা কখন কীভাবে হয়েছিল, জানি না। অনেকেই বলাবলি করেন, ফেসবুকে নানান উসকানিমূলক তথ্য ও মন্তব্যের লাগাম টেনে ধরার জন্যই নাকি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় ফেসবুকে হত্যা ও ধর্ষণের গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আছে। এটা মানতেই হবে যে এসব গুজব যাঁরা ছড়ান, তাঁদের অন্য মতলব থাকতে পারে।
প্রশ্ন হলো, সবাই কি গুজবে বিশ্বাস করেন? সবাই কি ফেসবুক ঘেঁটে তথ্য নেন এবং সে অনুযায়ী রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়েন? গুজব ছড়ানো যেমন নিন্দনীয়, তেমনি এ নিয়ে অতি প্রতিক্রিয়া দেখানোর কোনো মানে হয় না।
পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই গণমাধ্যমের সঙ্গে সরকারের আড়াআড়ি। গণমাধ্যমকে তুমুল প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে টিকে থাকতে হয়। টিকে থাকার জন্যই তাকে ক্রমাগত পেশাদার হয়ে উঠতে হয়। মিথ্যা বা ভুল তথ্য ছেপে খুব বেশি পাঠক বা দর্শককে বেশি দিন ধরে রাখা যায় না। তা যদি যেত, তাহলে চটকদার সংবাদ পরিবেশনকারী ট্যাবলয়েড বা অনলাইন মাধ্যমগুলো আরও জনপ্রিয় হতো। কিন্তু তা হয়নি।
মিথ্যা বলব না, তবে অপ্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বহীন সংবাদ প্রচার করে আমাদের বিটিভি তার আবেদন হারিয়েছে অনেক দিন আগেই। বিটিভি অনেক মানসম্মত অনুষ্ঠান তৈরি ও প্রচার করে, যেখানে বেসরকারি চ্যানেলগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পিছিয়ে আছে। কিন্তু বিটিভির সংবাদ একেবারেই নীরস, একঘেয়ে এবং ক্লান্তিকর।
তবে সরকার যদি গণমাধ্যমের ‘অবাধ স্বাধীনতা’ না চায়, তাহলে বিটিভি ছাড়া অন্যদের সংবাদ প্রচার বন্ধ করে দিতে পারে। এ দেশে যখন বিটিভি ছাড়া অন্য কোনো টিভি চ্যানেল ছিল না, তখন সবাই কি বিটিভির সংবাদের জন্য মুখিয়ে থাকত? বিশ্বাস করত?
গণমাধ্যম যদি নিয়ন্ত্রিত হয়, কিংবা যদি এতে মনোপলি তৈরি হয়, তখন যোগাযোগের অনেক বিকল্প মাধ্যম ও প্রক্রিয়া তৈরি হয়ে যায়। আর এভাবেই এ দেশে সামরিক শাসন বা স্বৈরাচারবিরোধী জনমত তৈরি হয়েছিল। আন্দোলন গড়ে উঠেছিল।
আমরা যখন উপনিবেশ ছিলাম, আমাদের যখন গোলাম করে রাখা হয়েছিল, তখন আমাদের সবকিছু নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ছিল। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী শুরু থেকেই ছিল অসহিষ্ণু। সবকিছুর মধ্যেই তারা ষড়যন্ত্র দেখত। সরকারের সমালোচনা মাত্রই ছিল রাষ্ট্রদ্রোহ। ‘ডিফেন্স অব পাকিস্তান’ আইন বানিয়ে তারা বিরোধীদের দিনের পর দিন বিনা বিচারে জেলে আটকে রাখত। এর অন্যতম ভুক্তভোগী ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
এটা ১৯৫৬ সালের গোড়ার দিকের কথা। পাকিস্তান গণপরিষদে সংবিধান তৈরির তোড়জোড় চলছে। ৩ ফেব্রুয়ারির অধিবেশনে গণপরিষদ সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান স্পিকারের উদ্দেশে সংবিধানে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও বাক্স্বাধীনতার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে বলেছিলেন, ‘আপনারা বলে থাকেন যে বাক্স্বাধীনতা মানেই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা।
আপনি কি জানেন যে, পূর্ববঙ্গে সম্পাদকদের ডেকে বলা হয়, আপনারা এটা ছাপাতে পারবেন না; আপনারা ওটা ছাপাতে পারবেন না। স্যার, তাঁরা সত্য কথা পর্যন্ত লিখতে পারেন না এবং আমি সেটা প্রমাণ করে দিতে পারি। পূর্ব বাংলা সরকার লিখুক আর কেরানি লিখুক, সেটা বড় কথা নয়। নির্দেশটা যায় সচিবালয় থেকে যে আপনি বিষয়গুলো সম্পর্কে লিখতে পারবেন না। সরকারের তরফ থেকে একজন ইনসপেক্টর গিয়ে নির্দেশনা দেন যে, আপনি একটা নির্দিষ্ট বিষয়ে লিখতে পারবেন না।...
‘স্যার, আমরা সারা দেশের জন্য একটা সংবিধান তৈরি করতে যাচ্ছি। এখানে বসা ৮০ জন ব্যক্তির জন্য শুধু নয়। আমরা চাই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সুনির্দিষ্টভাবে নিশ্চিত করতে।...
‘এটা পরিষ্কারভাবে লিপিবদ্ধ থাকতে হবে যে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকবে, তাঁরা তাঁদের ইচ্ছামতো বক্তব্য লিপিবদ্ধ করতে পারবেন এবং জনমত গড়ে তুলতে পারবেন।’
বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তাঁর অনুগত সৈনিকদের আস্ফালন দেখে কি বিস্মিত হতেন? রাষ্ট্রকে হাতের মুঠোয় আনতে পারলে রাজনীতিবিদেরা কেমন বদলে যান!
মহিউদ্দিন আহমদ: লেখক ও গবেষক
mohi2005@gmail.com 
Source: prothom alo

রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ঢাকায় পছন্দের শীর্ষে ফ্যাশনেবল সাইকেল

গন্তব্যে ছুটছেন এক সাইকেল আরোহী। হাতিরঝিল, মধুবাগ, ঢাকা, ১৬ সেপ্টেম্বর। ছবি: প্রথম আলোগন্তব্যে ছুটছেন এক সাইকেল আরোহী। হাতিরঝিল, মধুবাগ, ঢাকা, ১৬ সেপ্টেম্বর। ছবি: প্রথম আলোকোরিয়ান একটি অনলাইন শপিং প্রতিষ্ঠান ঢাকায় পণ্য সরবরাহ করে। প্রতিষ্ঠানটির পণ্য সরবরাহকারী হিসেবে কাজ করেন তরুণ মুরসালীন। ঢাকার ক্রেতাদের দোরগোড়ায় পণ্য পৌঁছে দিতে নিজের ফ্যাশনেবল সাইকেলটি তাঁর নিত্যসঙ্গী। তিন বছর আগে ১১ হাজার টাকায় সাইকেলটি কেনেন তিনি। এই দ্বিচক্রযান মুরসালীনের রুটিরুজি ও নিরাপদ ভ্রমণের প্রধান বাহন। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন গাজীউর রহমান। ঢাকার যানজট আর পরিবহনের ঝুঁকি-ঝক্কি এড়াতে নিয়মিত তিনি সাইকেল চালিয়ে অফিস করেন।
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে প্রায় প্রতিনিয়ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে বাহারি ডিজাইনের সাইকেল চালিয়ে গন্তব্যে ছুটতে দেখা যায়। নিরাপদ ভ্রমণে স্টাইলিস্ট ও ফ্যাশনেবল সাইকেলে ঢাকায় বেশি চলে। সাইকেল বিক্রেতারা বলছেন, তিন-চার বছর ধরে রাজধানীতে সাইকেলের বিক্রি বেড়েছে। স্টাইলিস্ট বা ফ্যাশনেবল সাইকেলগুলোই সাইক্লিস্টদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে। এসব সাইকেলের প্রধান ক্রেতা তরুণ প্রজন্ম।
সাইকেলভিত্তিক কমিউনিটি ও ফেসবুকভিত্তিক সংগঠন বিডি সাইক্লিস্ট গ্রুপের অ্যাডমিন দ্রাবিড় আলম প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকার সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ও সড়কপথ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ২০১৩-১৪ সালে তুলনায় এখন অফিসগামী সাইক্লিস্টের সংখ্যা কমেছে। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে নিরাপদে সাইকেল চালাতে পছন্দ করেন—এমন সাইক্লিস্টের সংখ্যা অনেক বেড়েছে।
দুরন্ত সাইকেলের শো রুম। চৌধুরী পাড়া, মালিবাগ, ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর। ছবি: প্রথম আলোদুরন্ত সাইকেলের শো রুম। চৌধুরীপাড়া, মালিবাগ, ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর। ছবি: প্রথম আলোরাজধানীতে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাইকেল বিক্রি হয়। সাইকেলের বাজারে চীনা কোম্পানিগুলোর প্রভাব থাকলেও দেশীয় কোম্পানির ভেলোস, রিফ্লেক্স, দুরন্ত ব্র্যান্ডের সাইকেলের কদর বেশ নজর কাড়ার মতো। তবে ইলেকট্রিক বা ব্যাটারিচালিত সাইকেলও মাঝে মাঝে এই মহানগরে চলতে দেখা যায়। সাইকেলের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলো হচ্ছে জায়ান্ট, জিটি, সান্তা ক্রুজ, ট্রেক, স্পেশালাইজড, কোনা, মেরিডা, ক্যাননভেল, স্কট, মারিন ইত্যাদি।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর পুরান ঢাকার বংশাল সরেজমিনে কথা হয় ‘জে এস ইমপেক্স বাইসাইকেল’ নামে সাইকেল বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ এম রেহমানের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সার্বিক বিবেচনায় আগের চেয়ে সাইকেলের বিক্রি বেশি। চায়নিজ ব্র্যান্ডের সাইকেল বেশি বিক্রি হয়। দেশীয় ব্র্যান্ডের মধ্যে ভেলোস সাইকেল বিক্রিতে এগিয়ে। ঢাকায় সচরাচর ফ্যাশনেবল সাইকেলগুলোই বেশি চলে।
সাইকেলের উচ্চতা 
সাইকেলের চাকার ব্যাসার্ধের পরিমাণই হচ্ছে সাইকেলের আসল উচ্চতা। দেশের বাজারে সর্বনিম্ন ১২ থেকে সর্বোচ্চ ২৮ ইঞ্চি উচ্চতার সাইকেল পাওয়া যাচ্ছে। বয়স ও সাইকেল আরোহীর দেহের গড়ন অনুযায়ী ১২, ১৬, ২০, ২৪, ২৬ ও ২৮ ইঞ্চি উচ্চতার সাইকেল কেনার সুযোগ আছে।
বাজার
বংশালে সাইকেলের বাজার আছে। বংশালের কাজী আলাউদ্দীন রোডের আশপাশের এলাকায় রাস্তার দুপাশে চলে নানা ডিজাইন ও ফ্যাশনেবল সাইকেল বিকিকিনি। এখানে সাধারণ সাইকেল ও তরুণ প্রজন্মের পছন্দের ফ্যাশনেবল সাইকেল পাওয়া যায়। শুক্রবার ছুটির দিন বাদে এই এলাকায় প্রতিদিন হিরো রেঞ্জার, হিরো, মেরিডা, ফরমেট, ভেলোস, দুরন্ত, ফনিক্স, বেবি স্পেসসহ দেশি–বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাইকেল বেচাকেনা হয়। এ ছাড়া ঢাকার রামপুরা, গুলশান লিংক রোড, গুলশান-১–এর ডিএনসিসি মার্কেট, নিউমার্কেট, মৌচাকসহ বিভিন্ন স্থানে সুনির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের শোরুমে সাইকেল পাওয়া যাচ্ছে।গ্রিন টাইগার সাইকেলের শো রুম। বংশাল, পুরান ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর। ছবি: প্রথম আলোগ্রিন টাইগার সাইকেলের শো রুম। বংশাল, পুরান ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর। ছবি: প্রথম আলো
হেলমেট
সচেতন সাইক্লিস্টরা দুর্ঘটনায় সুরক্ষার জন্য হেলমেট ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাইকেলের হেলমেট পাওয়া যায়। দাম ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা মূল্যের বেশি সুবিধাসম্পন্ন হেলমেটও পাওয়া যায়।
দরদাম
সাইকেলের আকার-আকৃতি ও মানভেদে দাম ভিন্ন। সাধারণত শিশুদের সাইকেলের দাম ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৭ হাজার ৫০০ টাকা। কিশোর-তরুণদের সাইকেলের দাম ৭ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে ইলেকট্রিক বা ব্যাটারিচালিত সাইকেলের দাম ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা শুরু করে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। ছাড়ের অফার থাকলে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম দামেও কেনা সম্ভব।
বংশালের গ্রিন টাইগার সাইকেলের শো রুমে চীন থেকে আমদানি করা ব্যাটারিচালিত সাইকেল বিক্রি হয়। এখানে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের সাইকেল আছে। শো রুমটি ব্যবস্থাপক একরামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা দামের সাইকেল। কিছুদিন আগে তাঁদের শোরুম থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের সাইকেল বিক্রি হয়েছে। অর্ডারের ভিত্তিতে তাঁরা ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের গ্রিন টাইগার সাইকেল সরবরাহ করেন। তিনি বলেন, এসব সাইকেলের ব্যাটারি চার্জ হতে প্রায় চার ঘণ্টা সময় লাগে। প্রতি চার্জে ৩০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করা যায়। ঘণ্টায় গতি ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার। প্রতিবার চার্জে বিদ্যুৎ খরচ হয় ১০ টাকার মতো।১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা দামের গ্রিন টাইগার ব্র্যান্ডের সাইকেল। বংশাল, পুরান ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর। ছবি: প্রথম আলো১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা দামের গ্রিন টাইগার ব্র্যান্ডের সাইকেল। বংশাল, পুরান ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর। ছবি: প্রথম আলো
ব্যবসা-বাণিজ্য পর্যালোচনাবিষয়ক ওয়েবসাইট ফিন্যান্সেস অনলাইন জানিয়েছে, বর্তমানে বিশ্বে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি সাইকেল হচ্ছে ‘বাটারফ্লাই ট্রেক মেডোন’। মার্কিন সাইকেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘ট্রেক’ সাইকেলটি তৈরি করেছে। এটি দিয়ে ফ্রান্স সফর করেছেন নামকরা সাইক্লিস্ট লেন্স আর্মস্ট্রং। পরে সাইকেলটি নিলামে বিক্রি হয়েছে ৫ লাখ ডলার (৪ কোটি টাকা)।
রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার দুরন্ত সাইকেল শো রুমের ব্যবস্থাপক কামাল পারভেজ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের শো রুমে চারটি ক্যাটাগরির ফ্যাশনেবল দুরন্ত সাইকেল বিক্রি হয়। শিশুদের সাইকেলের দাম সর্বনিম্ন ৪ হাজার ৮৮০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৩২০ টাকা। কিশোর ও তরুণদের সাইকেলের মূল্য ৭ হাজার ৪৪০ টাকা থেকে ৪৩ হাজার ৯০০ টাকা পর্যন্ত। ঢাকায় ফ্যাশনেবল বা স্টাইলিশ সাইকেলগুলোই বেশি বিক্রি হয়। ফলে তাদের শো রুমে থাকা সব সাইকেলই ফ্যাশনেবল। ঢাকার বাইরে যেসব সাধারণত সাইকেল চলতে দেখা যায়, সে রকম সাইকেল তাঁদের শোরুমে নেই বলেও জানান তিনি।
ঢাকায় ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কিংবা কর্মক্ষেত্রে যেতে অনেকে সাইকেল ব্যবহার করেন। অনেকে শখের বশেও সাইকেল চালান। কেউ কেউ ব্যায়াম, শারীরিক কসরত ও ভ্রমণের অংশ হিসেবে সাইকেলে আরোহণ করেন দলগতভাবে। ঢাকার নটর ডেম কলেজের একাদশ শ্রেণির বাণিজ্য শাখার ছাত্র আতিক ইয়াসির প্রথম আলোকে বলে, প্রাইভেটকারে কলেজে যাতায়াত করে সে। আর মাঝেমধ্যে একাই কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে সাইক্লিং করে। কখনো কখনো দলবদ্ধ হয়ে সাইকেল ভ্রমণে বের হয়। স্টাইলিশ ও ফ্যাশনেবল সাইকেল ছাড়া সাইক্লিং জমে না বলেও জানায় এই শিক্ষার্থী।

সোর্সঃ প্রথম আলো 

জাবি শিক্ষক হলেন হাছান মাহমুদ

হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবিহাছান মাহমুদ। ফাইল ছবিজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে বৃহস্পতিবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাস নিয়েছেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনুরোধের কারণে হাছান মাহমুদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাসে ১০টি ক্লাস নেওয়ার অনুরোধ করলেও রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে সপ্তাহে একটি করে ক্লাস নেবেন হাছান মাহমুদ।
এর আগে পরিবেশ বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিষয়ে ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেন হাছান মাহমুদ। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। পরে বেলজিয়ামের ব্রিজ ইউনিভার্সিটি অব ব্রাসেলস থেকে হিউম্যান ইকোলজি ও ইউনিভার্সিটি অব লিবহা দু ব্রাসেলস থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেন। এরপর পরিবেশ রসায়ন বিষয়ে বেলজিয়ামের লিম্বুর্গ ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাম থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
সোর্সঃ প্রথম আলো 

প্রশিক্ষিত জনবল ছাড়া দক্ষ প্রশাসন সম্ভব নয়: প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনপ্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনপ্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগে একটি প্রশিক্ষিত ও প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জনবল ছাড়া কোনো দক্ষ প্রশাসন গঠন করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, দক্ষতা অর্জনের জন্য যুগোপযোগী ও বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই।
সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে আজ রোববার আয়োজিত এক সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।
আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল জাকির হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার বদরুল আলম ভূঞা। ইউএনডিপির সহযোগিতায় আপিল বিভাগে কর্মরত ৬০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর প্রশিক্ষণ কোর্স শেষে সনদ বিতরণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, আপিল বিভাগে কর্মরত ৬০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষণার্থীরা অত্যন্ত আন্তরিকতা এবং আনন্দের সঙ্গে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। প্রশিক্ষণ মডিউল যুগোপযোগীভাবে সাজানো হয়েছে। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একজন কর্মকর্তা/কর্মচারী আচরণ বিধিমালা, অফিস শৃঙ্খলা, আপিল বিভাগের বিদ্যমান জটিল বিধিমালা সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আইটি-সংক্রান্ত বিষয়ে তারা যে জ্ঞান অর্জন করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তাদের করণীয় সম্পর্কে বিদ্যমান আইন সম্পর্কেও তারা অনেক কিছু জেনেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এ প্রশিক্ষণ কোর্স তাদের আইটি সম্পর্কে ধারণাকে আরও বহুমাত্রিক ও বিস্তৃত করবে। এতে অফিসের কাজের গুণগত মান বেড়ে যাবে। প্রশিক্ষণার্থীরা তাদের এ অর্জিত জ্ঞানকে কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করলেই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য বহুলাংশে সার্থক হবে। কাজের গুণগতমান পূর্বের তুলনায় বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি।’ 
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীরা একটি সুবিন্যস্ত মামলা ব্যবস্থাপনা এবং দাপ্তরিক কর্মপরিকল্পনার সক্ষমতা অর্জনসহ সামগ্রিক দক্ষতা লাভ করে।
বিচারপতি ইমান আলী সভাপতির বক্তৃতায় বলেন, কর্মদক্ষতা অর্জনে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। এ প্রশিক্ষণ কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে। কোনো শিক্ষাই বিফলে যায় না, শিক্ষা কেউ চুরি করতে পারে না। তিনি বলেন, ‘একটা সময় ই-জুডিশিয়ারি বিষয় আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। এখন এটাই বাস্তবতা।’

সোর্সঃ প্রথম আলো 

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান যেভাবে বাড়বে

সারা বিশ্বে শিক্ষাব্যবস্থার মান নির্ধারণ করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক মানদণ্ড আছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)। অন্যান্য দেশে অনেক আগে থেকেই এটি প্রচলিত আছে। আমরা পিছিয়ে ছিলাম। বছর পাঁচেক আগে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইকিউএসি চালু করা হয়। এটি এত দিন ছিল সরকারের উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্পের (হেকেপ) তত্ত্বাবধানে। এ বছর রাজস্ব খাতে চলে এসেছে। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এর কার্যক্রম পুরোদমে শুরুর প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা আইকিউএসি চালু করেছি। প্রাথমিকভাবে কোর্স কারিকুলাম এই নিয়ম মেনে করতে বলেছি।
সব বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে একটি কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল। এই সেল উপাচার্যের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে একজন পরিচালক, উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালক দ্বারা। এতে শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী সবাইকে সম্পৃক্ত করা হবে। এই সেল মূলত তিনটি কাজ করবে: ১. শিক্ষাদান ও শিক্ষা গ্রহণ কতটা মানসম্মত ও কার্যকরী, তা দেখবে। শিক্ষক কীভাবে পড়াচ্ছেন, শিক্ষার্থীরা কতটুকু নিতে পারছে, এসব দেখবে। ২. বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হচ্ছে কি না, হলে গবেষণার গুণগত মান রক্ষা করা হচ্ছে কি না, তা দেখভাল করবে। ৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য কাজ করবে।
প্রতিষ্ঠানের গুণগত মান নিশ্চিত করার কিছু পদ্ধতি আছে। আগে ছিল সিলেবাস, এখন বলা হয় কারিকুলাম। সিলেবাস আর কারিকুলামের মধ্যে খানিকটা পার্থক্য আছে। কী পাঠদান হবে, তা–ই সিলেবাস। আর একটি বিষয় পড়ানো হবে, সেটি কেন পড়ানো হবে, পড়লে ছাত্রছাত্রীরা কী শিখবে, এর ব্যবহারিক দিক আছে কি না—এসবও দেখা হয় কারিকুলামে। সহপাঠক্রমিক কার্যক্রম, শারীরিক শিক্ষা কার্যক্রমও এর অন্তর্ভুক্ত। আগে এসব বিষয়ে তেমন কোনো গুরুত্ব ছিল না। শিক্ষক ক্লাসে এসে বক্তৃতা দিয়ে চলে যেতেন। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি কতটুকু আত্মস্থ করল, তা দেখার বালাই ছিল না। এখন আইকিউএসি এসব বিষয় মনিটর করবে।
শিক্ষকদের গবেষণার মান ঠিক আছে কি না, দেশে-বিদেশে মানসম্মত জার্নালে গবেষণা প্রকাশিত হচ্ছে কি না ইত্যাদি বিষয় যাচাই করে রিপোর্ট তৈরি করার জন্য কতগুলো কমিটি থাকবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা এসব দেখবেন। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। ক্লাসে গিয়ে দেখা হবে পাঠদানের পদ্ধতি ঠিক আছে কি না। ল্যাবরেটরিতে প্রয়োজনীয় উপকরণ আছে কি না, প্রশাসন ঠিকমতো চলছে কি না, তা-ও দেখা হবে।
কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে দেখা হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত আসছেন কি না, দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করছেন কি না। ডকুমেন্টেশন হচ্ছে কি না, তা–ও দেখা হবে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যেখানে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পর্যন্ত নেই। আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার নেই, ডিন নেই। এগুলো মানসম্মত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের মাপকাঠির মধ্যে পড়ে না। এসব বিষয়ও তদারকি করবে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল।
ছাত্রছাত্রীরাও বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত। টিচিং অ্যান্ড লার্নিংয়ের প্রথম ধাপেই তারা। কোর্স শেষে তাদের একটি ফরম পূরণ করতে দেওয়া হবে। ধরা যাক, কেউ দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে। প্রথম বর্ষে যা যা পড়ে এসেছে, এতে তার মধ্যে কী কী পরিবর্তন এসেছে, কতটুকু উন্নতি হয়েছে, প্রতিটি বিষয় ধরে ফরমে এসব তথ্য পূরণ করবে। ছাত্রছাত্রীরা জানাবে কোর্সটি কতটা কার্যকর ছিল, কিংবা এটি না থাকলেও চলত কি না। সহপাঠক্রমিক কার্যক্রম আছে কি না, খেলাধুলা, সংগীত, বিতর্ক ঠিকমতো হয় কি না, সেমিনার ঠিকমতো হয় কি না, প্রতিটি বিষয় দেখা হবে। ছাত্ররা ফিল্ড ভিজিট করছে কি না, ইন্ডাস্ট্রি ভিজিট করছে কি না—সবই এর অংশ। অ্যালামনাইদের মতামত নেওয়া হবে, চাকরিদাতাদের অভিমত চাওয়া হবে। সুতরাং সেলের কাজ বহুবিধ।
শিক্ষা গুণগত মানসম্পন্ন না হলে তা কাজে আসে না। বিশ্বমানের শিক্ষা দিতে হবে, সেই শিক্ষাপদ্ধতি ও কারিকুলাম তৈরি করতে হবে এবং সেটাই সেল নিশ্চিত করবে। ধরা যাক, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র রসায়নে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করল। কিন্তু রসায়নের আধুনিক উদ্ভাবন, নিত্যনতুন প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে তার ধারণা নেই। এমনটি হলে তো চলবে না। 
একটি প্রতিষ্ঠানকে আইএসও সার্টিফিকেট দেওয়ার আগে কর্তৃপক্ষ এসে দেখে সেটি সব নিয়ম মেনে চলছে কি না, সঠিক ফর্মুলা ও ইথিকস মানছে কি না, গুণগত মান ঠিক থাকছে কি না। এই রকমভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও আইএসও সার্টিফিকেটধারী হতে হবে। বাংলাদেশের দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইএসও সার্টিফায়েড। তাদের সনদ বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে গ্রহণযোগ্য। আমরা যেমন খাবার কিনতে গেলে বলি অমুক কোম্পানির খাবার ভালো। আবার বাজারে নতুন কিছু এলে চিন্তা করি, নেব কি না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেলায়ও বিষয়টি সে রকমই। অদূর ভবিষ্যতে চাকরির ইন্টারভিউতে বিশ্ববিদ্যালয় একটি বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। বলা হবে, বিশ্ববিদ্যালয়টি আইএসও সার্টিফায়েড, সুতরাং ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অগ্রগণ্য। আমরা যেভাবে এগোচ্ছি, তাতে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও বিভিন্ন ক্যাটাগরির র‍্যাঙ্কিংপ্রাপ্ত হবে। এ ধরনের সনদ প্রদানের জন্য সরকার ইতিমধ্যে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন করেছে এবং তা সম্প্রতি এর কার্যক্রমও শুরু করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলকে কার্যকর করার ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রতিবন্ধকতা আসতে পারে। সব বিশ্ববিদ্যালয়েই কিছু শিক্ষক আছেন, যাঁরা পাঠদানে সিরিয়াস নন। গবেষণাও করেন না। এতে তাঁদের ব্যক্তিগত ক্ষতির চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের।
আরেকটি চ্যালেঞ্জ আসবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে। বাংলাদেশে একটি কথা প্রচলিত আছে, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ না করলে চাকরি যায় না। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মমুখী করা সেলের কাজ। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঠিকমতো পরিচালনা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে। এ কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সকল পর্যায়েই অ্যানুয়াল প্ল্যান অব অ্যাকশন (এপিএ) কার্যকর করা অতি জরুরি।
আইকিউএসির প্রধান উদ্দেশ্য শিক্ষাব্যবস্থাকে বাস্তবমুখী করা, সনদপ্রাপ্তদের সমাজে ও চাকরির বাজারে যোগ্যতম ও অধিকতর গ্রহণযোগ্য করে তোলা এবং শিক্ষায়তনকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করা। উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য এসব জরুরি। আশা করি, আইকিউএসি সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা আমূল বদলে দেবে ।
ড. এস এম ইমামুল হক : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

সোর্সঃ প্রথম আলো

ঘুষ ছাড়া সেবা মেলে না মোংলা ও বুড়িমারীতে: টিআইবি

মোংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানিতে ঘুষ দিতে হয় ব্যবসায়ীদের। সব নথিপত্র ঠিকঠাক থাকার পরেও একেকটি গাড়ির শুল্কায়নে মোংলা কাস্টমস হাউসের ছয়টি বিভাগে ৪ হাজার টাকা এবং সেই গাড়ি ছাড় করতে বন্দরের ১০টি স্থানে ১ হাজার ৭১৫ টাকা ঘুষ দিতে হয়।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। আজ রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
টিআইবির গবেষণা বলছে, কেবল গাড়ি নয়, দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মোংলা দিয়ে যে কোনো পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে নিয়মবহির্ভূত অর্থ দিতে হয় ব্যবসায়ী কিংবা তাঁদের প্রতিনিধিদের। আমদানি পণ্যের প্রতি চালানের (বিল অব এন্ট্রি) বিপরীতে শুল্কায়নের জন্য কাস্টমসে ৩৫ হাজার ৭০০ টাকা ঘুষ দিতে হয়। সেই পণ্য বিকেল পাঁচটার মধ্যে ছাড় করতে হলে ৬ হাজার টাকা এবং এর পরে ছাড় করতে হলে বাড়তি ১ হাজার ২০০ টাকা ঘুষ দিতে হয়। এ ছাড়া বন্দরে প্রতিটি জাহাজ আগমন ও বহির্গমনে কাস্টমস হাউসে ৮ হাজার ৩৫০ টাকা ও বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ২১ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়।
মোংলার পাশাপাশি বুড়িমারী স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন নিয়েও গবেষণা করেছে টিআইবি। সেখানেও পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে নিয়মবহির্ভূত অর্থের লেনদেন বা ঘুষের প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটির গবেষকেরা। এখানে আমদানি পণ্যের প্রতিটি চালানের (বিল অব এন্ট্রি) বিপরীতে শুল্ক স্টেশনে ১ হাজার ৭৫০ টাকা ঘুষ দিতে হয়। রপ্তানির বেলায় এটি দেড় হাজার টাকা। আবার আমদানি করা পণ্য ছাড় করতে স্থলবন্দরের কর্মকর্তাদের ৩০০ টাকা ঘুষ দিতে হয়। রপ্তানিতে এই ঘুষ ২০০ টাকা।
‘মোংলা বন্দর ও কাস্টম হাউস এবং বুড়িমারী স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন: আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়ায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন টিআইবির কর্মকর্তা মনজুর ই খোদা ও মো. খোরশেদ আলম।
দেশে আমদানি হওয়া গাড়ির ৬০ শতাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে আসে। এ ছাড়া ক্লিনকার, সার, কয়লা, এলপি গ্যাস আমদানি করা হয় এই বন্দর দিয়ে। রপ্তানি হয় চিংড়ি, পাট, সিরামিক ইত্যাদি পণ্য। ২০১৬-১৭ অর্থবছর মোংলা বন্দর ২২৭ কোটি টাকা ও মোংলা কাস্টমস ৩ হাজার ৯৯ কোটি টাকা আয় করে। অন্যদিকে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও ভুটান থেকে বোল্ডার, সবজিবীজ, ভুট্টা, পেঁয়াজ ইত্যাদি পণ্য আমদানি হয়। তবে আমদানি পণ্যের ৯০ শতাংশের বেশি পাথর। ২০১৬-১৭ অর্থবছর বুড়িমারী স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন ৭২ কোটি ৫০ লাখ টাকা আয় করেছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘মোংলা বন্দর ও বুড়িমারী স্থলবন্দরে যোগসাজশে ও বলপূর্বক দুর্নীতি হচ্ছে। এটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে।’
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা দেখেছি, আধুনিকায়ন ও ডিজিটালাইজেশন করার মাধ্যমে সেবাগ্রহীতা ও দাতার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ কমানো গেলে দুর্নীতি কমে যায়। তবে সেই প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার কারণে সুফল পাওয়া যায় না।’

সোর্সঃ প্রথম আলো 

রাষ্ট্রপতি পাঁচ দিনের সফরে যাচ্ছেন হাওরে

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ । ফাইল ছবিরাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ । ফাইল ছবিরাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পাঁচ দিনের সফরে আগামীকাল সোমবার নিজ জেলা কিশোরগঞ্জ যাচ্ছেন। ২৪ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেখানে থাকবেন রাষ্ট্রপতি। এ সময় বেশ কিছু অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।
গত ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এটি হবে কিশোরগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাঁর গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় সফর।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি পাঁচ দিনের সফরে সোমবার কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকায় যাচ্ছেন। তিনি বেশ কিছু জনসভায় বক্তৃতা করবেন এবং অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইনে মতবিনিময় সভায় যোগ দেবেন।’
রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির সোমবার দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে। সোমবার রাষ্ট্রপতি হামিদ বেলা তিনটার দিকে অষ্টগ্রাম উপজেলা খেলার মাঠে এক জনসভায় যোগ দেবেন। পরে তিনি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মিলনায়তনে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন।
প্রেস সচিব বলেন, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাষ্ট্রপতি অষ্টগ্রাম-নওগাঁ ও অষ্টগ্রাম-কাস্তুল-বাঁশতলা সড়কের উন্নয়নকাজের অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করবেন। তিনি অষ্টগ্রামে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে অপর এক জনসভায়ও বক্তৃতা করবেন। পরে তিনি সন্ধ্যা সাতটায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মিলনায়তনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
সফরসূচি অনুযায়ী বুধবার বেলা ১১টায় রাষ্ট্রপতি ইটনা উপজেলার ইটনা-জিলা রোড প্রত্যক্ষ করবেন।
সফরের তৃতীয় দিনে রাষ্ট্রপতির মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক কলেজ মাঠে এক জনসভায় বক্তব্য দেবেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় মিঠামইন উপজেলায় বেশ কয়েকটি উন্নয়নকাজ পরিদর্শন করবেন রাষ্ট্রপতি। বিকেলে তিনি হাজী তৈয়ব উদ্দিন স্কুলের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। রাতে রাষ্ট্রপতি নিজ বাড়িতে অবস্থান করবেন।
শুক্রবার রাষ্ট্রপতি মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে অবস্থিত তাঁর পৈতৃক বাড়ি-সংলগ্ন মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করবেন। জুমার নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতি মসজিদ-সংলগ্ন তাঁর পিতা মো. তৈয়বউদ্দিন ও মা তমিজা খাতুনের কবর জিয়ারত করবেন। শুক্রবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির ঢাকা ফেরার কথা।

সোর্সঃ প্রথম আলো 

হত্যা মামলায় দুই ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন

আদালতশেরপুরের নকলায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে দুই সহোদরসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার ছত্রকোনা গ্রামের আজগর আলীর ছেলে বেলাল হোসেন (৩৬) ও ওয়াজকরনী (৩৩) এবং সেকান্দর আলীর ছেলে সবুজ (৩৩)। হত্যার শিকার ব্যক্তি হলেন নকলা উপজেলার ছত্রকোনা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে আবদুল মোতালেব।

আজ সোমবার বিকেলে শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন এ দণ্ডাদেশ দেন। মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত আসামি সেকান্দর আলী, আজগর আলী, আন্তাজ আলী, রেজাউল, মিজানুর রহমান, জালাল উদ্দিন ও রাজুকে বেকসুর খালাস দেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সন্ধ্যায় তাঁদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী শেখ ফরিদ আহমেদ দণ্ডাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে নকলা উপজেলার ছত্রকোনা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে খোরশেদ আলমের সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মামলা-মোকদ্দমা ও বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে ২০১০ সালের ২৩ অক্টোবর আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খোরশেদ আলমের বাড়িতে হামলা করেন। এ সময় হামলাকারীদের প্রতিরোধ করতে গেলে আসামিরা লোহার রড ও হকিস্টিক দিয়ে খোরশেদ আলমের ছোট ভাই আবদুল মোতালেবকে বেধড়ক মারপিট করেন। একপর্যায়ে তিনি (মোতালেব) ঘটনাস্থলেই মারা যান। হামলায় আরও দু-তিনজন আহত হন। এ ঘটনায় খোরশেদ আলম বাদী হয়ে নকলা থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) অচিন্ত্য দেবনাথ ২০১১ সালের ১৬ মার্চ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ শেষে আদালত আজ রায় ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মঞ্জুরুল ইসলাম রাষ্ট্রপক্ষে এবং সিরাজুল ইসলাম ও পঙ্কজ নন্দী আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন।

সোর্সঃ প্রথম আলো 

কুষ্টিয়ায় মাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলে আটক

হত্যাকুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে তাঁর ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে খলিশাকুন্ডি ইউনিয়নের আংদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই নারীর নাম বানু খাতুন (৪৫)। তিনি আংদিয়া গ্রামের আজিজুল ইসলামের স্ত্রী। আটক ছেলের নাম জুয়েল রানা (২৬)। এই ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে মায়ের কাছে জমি বিক্রির জন্য আবদার করেন জুয়েল রানা। কিন্তু মা এতে বাদ সাধেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। অভিযোগ উঠেছে, কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে উত্তেজিত জুয়েল ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাকে কোপাতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জুয়েলকে আটক করে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পারিবারিক জমি বিক্রির বিষয় নিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া মাদক কেনার টাকা চেয়ে না পেয়ে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলেও শোনা যাচ্ছে। সব বিষয়ই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। থানায় হত্যা মামলা নেওয়া হচ্ছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খান বলেন, থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল জানিয়েছেন, তাঁর মায়ের কিছু কর্মকাণ্ড তাঁর ভালো লাগেনি। এ জন্য তিনি এ কাজ করেছেন। 
সোর্সঃ প্রথম আলো

৬৪ জেলার মাটি দিয়ে মানচিত্র

৬৪ জেলার মাটি নিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র তৈরি করেছেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার শুভংকর পাল।  ছবি:  প্রথম আলো৬৪ জেলার মাটি নিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র তৈরি করেছেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার শুভংকর পাল। ছবি: প্রথম আলোবড় শখ ছিল শুভংকরের, সাইকেলে দেশের ৬৪টি জেলা ঘুরে দেখবেন। বাদ সাধলেন বাবা। বাধা পেলে বুদ্ধি খেলে! দেশের ৬৪ জেলার মাটি সংগ্রহ করে বাংলাদেশের মানচিত্র বানালে কেমন হয়। একসঙ্গে ৬৪ জেলার মাটি স্পর্শ করা যাবে। পাওয়া যাবে একসঙ্গে সারা বাংলার মাটির গন্ধও।
কিন্তু ৬৪ জেলার মাটি সংগ্রহ হবে কীভাবে? ফেসবুকের বন্ধুদের কাছে নিজ জেলার মাটি কুরিয়ারে পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানান শুভংকর। মাটির পরিমাণ বলে দিয়ে কুরিয়ারের খরচ পাঠানোর ইচ্ছেও প্রকাশ করেন। কিন্তু যাঁরা মাটি পাঠিয়েছেন, তাঁরা কেউ টাকা নিতে রাজি হননি।
শুভংকর পালশুভংকর পালকুরিয়ারে প্রথম মাটি আসে নাটোর থেকে। এক মাসের মধ্যেই ২০ জেলা থেকে মাটি চলে আসে শুভংকরের কাছে। ১২ জেলার মাটি নিজেই সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে মেহেরপুরের মুজিবনগরের, ঝিনাইদহের কবি গোলাম মোস্তফার বাড়ির, বাগেরহাটে ষাটগম্বুজ মসজিদ এলাকার, কক্সবাজারের হিমছড়ি পাহাড়ের, মাগুরায় সীতারাম রায়ের বাড়ির, পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মাটি সংগ্রহ করেন শুভংকর। নিজ জেলা ফরিদপুরের মাটি সংগ্রহের ক্ষেত্রে একটু পক্ষপাতিত্ব করেছেন তিনি। ফরিদপুরের মাটি তিনি সংগ্রহ করেছেন নিজ গ্রাম বারাংকুলা থেকে। তাঁর মতে, ‘যে মাটিতে পা রেখে আমি পৃথিবী দেখেছি, ৬৪ জেলার মাটি দিয়ে মানচিত্র বানানোর স্বপ্ন দেখেছি; সেই গ্রামকে বাদ দিব কোন যুক্তিতে?’ শেরপুর, মুন্সিগঞ্জ ও ঝালকাঠির মাটি সংগ্রহে তাঁকে সাহায্য করেছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া।

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুরাইচ ইউনিয়নের বারাংকোলা গ্রামের তরুণ শুভংকর পালের (২৩) বাবা পল্লিচিকিৎসক নিহার রঞ্জন পাল। মা অমৃতা পাল। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। বাড়িতে কাকা দিলীপ কুমার পাল মাটি দিয়ে বিভিন্ন মূর্তি গড়তেন। কাকার সঙ্গে মাটির কাজে হাত লাগাতেন শুভংকর। বললেন, ‘আমি যেকোনো মানুষের মুখ মাটি দিয়ে গড়ে দিতে পারি।’ এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্নাতক পাস করেছেন ‘ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া’ বিষয়ে।

শুভংকরের নির্মাণ করা বাংলাদেশের মানচিত্র দৈর্ঘ্যে ২৮, প্রস্থে ১৮ ইঞ্চি। মানচিত্রটি রাখা হয়েছে কাচঘেরা একটি কাঠের বাক্সে। মানচিত্রের প্রতিটি জেলা তৈরি হয়েছে সে জেলার মাটি দিয়ে।

শুভংকরের মা অমৃতা পাল বলেন, ‘ও যে কাজ করছে তা শুধু ওর নিজের জন্য নয়; আমাদের পরিবারের জন্য, এ দেশের জন্য গৌরবজনক।’
সোর্সঃ প্রথম আলো

গাজীপুরে শ্রমিকের মৃত্যুর গুজবে মহাসড়ক অবরোধ

গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। ছবি: প্রথম আলোগাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। ছবি: প্রথম আলোপানি খেয়ে অসুস্থ শ্রমিকদের মৃত্যুর গুজবে গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়কের দুই পাশে কয়েক কিলোমিটারজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে গাজীপুরে মালেকের বাড়ি থেকে টঙ্গী যাওয়ার পথে হারিকেন মোড় নামক স্থানে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন শ্রমিকেরা।
মহাসড়ক অবরোধ করলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ছবি: প্রথম আলোমহাসড়ক অবরোধ করলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ছবি: প্রথম আলোশ্রমিক, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মালেকের বাড়ি এলাকায় অবস্থিত নিট অ্যান্ড নিটেক্স প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানার বেশ কিছু শ্রমিক গতকাল শনিবার রাতে কারখানার পানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। আজ সকাল আটটার দিকে অন্য শ্রমিকেরা কাজে এসে কারখানার প্রধান ফটকে এ নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। হঠাৎ করে কে বা কারা কয়েকজন শ্রমিক মারা গেছেন বলে গুজব ছড়ালে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা মহাসড়কে গিয়ে অবস্থান নেন। তারা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। টায়ার জ্বালিয়ে সড়কের মাঝে রেখে বিক্ষোভ করা হয়। অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে গাজীপুর শিল্প পুলিশ সুপার গোলাম রউফ খান বলেন, গত রাতে কারখানার পানি খেয়ে ৩৮ জন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। কোনো শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। তবে সকালে অসুস্থ শ্রমিকদের কয়েকজন মারা গেছেন দাবি করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেন কারখানার অন্য শ্রমিকেরা। তাঁদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

Source: 

Prothom Alo

মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ভার্সিটি নাকি ভাতৃত্ব???



জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত এক ভাইয়ের সাথে আমার কিছুক্ষনঃ-
নবিনগর থেকে মানিকগঞ্জ যাচ্ছিলাম।
জানালার পাশের সীটেই বসেছিলাম। একটু বাতাস খাওয়ার জন্য। হটাত একজন ভদ্রলোক পাশের সীটে বসল।
বসেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল, কোথায় যাবা?
আমিঃ- জ্বী ভাইয়া, আমি মানিকগঞ্জ পর্যন্ত যাব।(কাউকে অতিরিক্ত প্রশ্ন করাটা আমার কাছে বিরক্তিকর বলে কিছু বললাম না, চুপ রইলাম।)
তিনি আবারোও প্রশ্ন করলেনঃ- কোথায় পড়াশোনা করো?
আমিঃ- _______ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে পড়াশোনা করছি।
(আমার কথা শুনেই তিনি কেমন জানি মুখটা বাঁকা করলেন।)
আবারোও বলতে লাগলেনঃ- কোন ডিপার্টমেন্টে কোন শিফটে  পড়ো?
আমিঃ- সিভিল ___ সেমিস্টার , ১ম শিফট।
তিনিঃ- এসব পড়ে কি করবা? পলিটেকনিকে তো যায় বলদ স্টুডেন্টরা।
ডিপ্লোমা করে কি হবে?
(এতক্ষণ শুনেই যাচ্ছিলাম)
আবারোও বলতে লাগলেনঃ- কিছু সাধারন জ্ঞান ধরলে পারবা?
আমিঃ- চেস্টা করব।
তিনিঃ- বলতো দেশে কয়টা বিভাগ রয়েছে?
আমিঃ- বর্তমানে দেশে ৮ টি বিভাগ রয়েছে। আরোও একটি প্রস্তাবিত।
তিনিঃ- ৭ টা থেকে ৮ টা ! শেষের টা কি তোমার বাবায় বানাইছে?
আমিঃ- সরি ভাইয়া। আপনি এ ব্যাপারে প্রথমে বিস্তারিত জানুন। তারপর বিতর্ক করুন।
তিনিঃ- এসব সাধারণ জ্ঞান আমার ঠোঠস্থ। এমনিতেই অ্যাডমিশন হয়নি।
পারলে ধরে আটকাও।
আমিঃ- না ভাইয়া। আমি প্রশ্ন করতে পারবো না।
তিনিঃ- জানা থাকলে তো করবা?
আমিঃ- আচ্ছা বলেন তো দেশের সবচেয়ে বড় বিল এর নাম কি এবং কোথায় অবস্থিত?
তিনিঃ- চলন বিল। দেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত।
আমিঃ- আমি জানতে চাচ্ছিলাম কোন জেলায় ?
তিনিঃ- এটা কোন প্রশ্ন হলো? আমি বলেই দিলাম যে উত্তরাঞ্চলে।
আমিঃ- আচ্ছা বুঝলাম। পলাশীর যুদ্ধ কোন নদীর তীরে হয়েছিল?
তিনিঃ- পলাশীর যুদ্ধ হয়েছিল পলাশীর প্রান্তরে। এখানে কোন নদীর নাম উল্লেখ নাই।
আমিঃ- ঠিক আছে ভাইয়া। আমি আর কিছু প্রশ্ন করতে পারবো না।
তিনিঃ- আমারোও নামার সময় হয়েছে। নয়তো তোমাকে কিছু শেখাতাম।
আমিঃ- ঠিক আছে ভাইয়া। দোয়া করবেন।

এখন দেখুনঃ-
আমি ডিপ্লোমা করি এটা আমার পছন্দ অনুযায়ি।
আর তিনি জাবিতে পড়েন তার পছন্দানুযায়ি।
কিন্তু তিনি যে পার্ট নিলেন সেই অনুপাতে তিনি কচু জানেন।
আসলে এখনোও এমন ব্যাক্তি আছে বলে জানতাম না।
যিনি নিজেই কিছু জানেন না। তিনিই অন্যকে জ্ঞান দিচ্ছেন।
কিন্তু গতকাল তার প্রমান পেয়েই গেলাম।
আসুন আমরা সকল স্তরের মানুষদেরকে ভালোবাসতে শিখি। 
তাদেরকে মূল্যায়ন করতে শিখি। 

প্রেমের শেষ পরিণতি...





রাতের আঁধারে একলা ঘরে চুপচাপ শুয়ে আছে অর্পিতা।
বালিশের সাথে মুখ লাগিয়ে বোবা-কান্না করছে।
শব্দ করে কান্না করার শক্তিটুকুও পাচ্ছে না।
এই ছোট্ট জীবনে যা কিছু অর্জন করেছিল তা নিমিষেই হারিয়ে ফেলেছে।
তার ভবিষ্যৎ এখন হাতের মুঠোয়।
এখন কি করবে সে? সকাল হলেই তো তার চরিত্র নিয়ে
মানুষেরা বলাবলি শুরু করবে।
সে সমাজে মুখ দেখাবে কি করে?
এসব প্রশ্ন ঘুরছে অর্পিতার মাথার ভেতরে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিতঃ-
সবেমাত্র কলেজ লাইফে পদার্পণ করেছে অর্পিতা।
মেয়ে টা মিশুক প্রকৃতির হওয়ার দরূণ সবার সাথেই ভাল সম্পর্ক তার।
তারপরেও সোহানের সাথে মাত্র কয়েকদিনেই তার গভীর ভাব
গড়ে উঠে।
এভাবেই কেটে গেল মাসের পর মাস।
অবশেষে তারা একে অপরের GF/BF এ পরিণত হলো।
এভাবেই চলল কিছুদিন। একে অপরের প্রতি অনেক বিশ্বস্ত।
এরই মাঝে চলে আসলো সোহানের জন্মদিন।
জন্মদিনের পার্টিতে অর্পিতা যেন উপস্থিত থেকে সে জন্য
খুব করে অনুরোধ করল সোহান।
অবশেষে অর্পিতাও রাজী হয়ে গেল।
৭ ই সেপ্টেম্বর সোহানের জন্মদিন। ৬ তারিখে বিকালেই
অর্পিতা সোহানের বাসার দিকে রওণা দিলো।
খুব করে আয়োজন চললো। এদিকে পার্টিতে আরোও উপস্থিত হলো
সোহানের কিছু ফ্রেন্ড। যাদের চেহারা দেখেই অর্পিতা ডর পেয়েছিল। কি
সে ভয়ঙ্কর চেহারা তাদের।
সে প্রথমেই তাদের উপরে সন্দেহ করেছিল।
তখন রাত ১১ টা ৫৯ মিনিট। শুরু হলো কেক কাটা।
কার্যক্রম প্রায় শেষের পথে। সবাই চলে গেল যার যার মত।
শুধু তারা ২ জনে এক রুমের ভেতরে অবস্থান করলো।
শুয়ে শুয়ে ২ জনে গল্প করছিল।
সোহানের হাত কিছুক্ষন পরপর অর্পিতার বুকে ঘেঁষ খাচ্ছিল।
যদিও অর্পিতা টের পাচ্ছিল, কিন্তু কিছু বলার সাহস পায়নি।
একসময় তো সোহান অর্পিতাকে পুরোপুরি জড়িয়েই ধরলো।
অবশেষে শুরু হলো তার উপর নির্যাতন।
কিছুক্ষণ পর আরোও কয়েকজন নরপিশাচ যোগ দিল সোহানের সাথে।
কিছু করতে চেয়েও বাধা দিতে পারল না সে।
রক্ষা করতে পারলো না নিজের সতীত্ব।
সে তো ভাবতেও পারেনি যে আজ তার সাথে এমন আচরণ করবে
একজন বিশ্বস্ত ব্যাক্তি।

( একটি অসমাপ্ত জীবন ও তার গল্প। )
#অচিনপুরের_আইয়ুব