Cute Orange Flying Butterfly 2018-09-09 ~ ‎অচিনপুরের আইয়ুব‬
আস-সালামু আলাইকুম। আমি আইয়ুব আনসারি। আমার লেখাগুলো পড়তে প্রত্যহ ব্লগটি ভিজিট করুন

মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ভার্সিটি নাকি ভাতৃত্ব???



জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত এক ভাইয়ের সাথে আমার কিছুক্ষনঃ-
নবিনগর থেকে মানিকগঞ্জ যাচ্ছিলাম।
জানালার পাশের সীটেই বসেছিলাম। একটু বাতাস খাওয়ার জন্য। হটাত একজন ভদ্রলোক পাশের সীটে বসল।
বসেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল, কোথায় যাবা?
আমিঃ- জ্বী ভাইয়া, আমি মানিকগঞ্জ পর্যন্ত যাব।(কাউকে অতিরিক্ত প্রশ্ন করাটা আমার কাছে বিরক্তিকর বলে কিছু বললাম না, চুপ রইলাম।)
তিনি আবারোও প্রশ্ন করলেনঃ- কোথায় পড়াশোনা করো?
আমিঃ- _______ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে পড়াশোনা করছি।
(আমার কথা শুনেই তিনি কেমন জানি মুখটা বাঁকা করলেন।)
আবারোও বলতে লাগলেনঃ- কোন ডিপার্টমেন্টে কোন শিফটে  পড়ো?
আমিঃ- সিভিল ___ সেমিস্টার , ১ম শিফট।
তিনিঃ- এসব পড়ে কি করবা? পলিটেকনিকে তো যায় বলদ স্টুডেন্টরা।
ডিপ্লোমা করে কি হবে?
(এতক্ষণ শুনেই যাচ্ছিলাম)
আবারোও বলতে লাগলেনঃ- কিছু সাধারন জ্ঞান ধরলে পারবা?
আমিঃ- চেস্টা করব।
তিনিঃ- বলতো দেশে কয়টা বিভাগ রয়েছে?
আমিঃ- বর্তমানে দেশে ৮ টি বিভাগ রয়েছে। আরোও একটি প্রস্তাবিত।
তিনিঃ- ৭ টা থেকে ৮ টা ! শেষের টা কি তোমার বাবায় বানাইছে?
আমিঃ- সরি ভাইয়া। আপনি এ ব্যাপারে প্রথমে বিস্তারিত জানুন। তারপর বিতর্ক করুন।
তিনিঃ- এসব সাধারণ জ্ঞান আমার ঠোঠস্থ। এমনিতেই অ্যাডমিশন হয়নি।
পারলে ধরে আটকাও।
আমিঃ- না ভাইয়া। আমি প্রশ্ন করতে পারবো না।
তিনিঃ- জানা থাকলে তো করবা?
আমিঃ- আচ্ছা বলেন তো দেশের সবচেয়ে বড় বিল এর নাম কি এবং কোথায় অবস্থিত?
তিনিঃ- চলন বিল। দেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত।
আমিঃ- আমি জানতে চাচ্ছিলাম কোন জেলায় ?
তিনিঃ- এটা কোন প্রশ্ন হলো? আমি বলেই দিলাম যে উত্তরাঞ্চলে।
আমিঃ- আচ্ছা বুঝলাম। পলাশীর যুদ্ধ কোন নদীর তীরে হয়েছিল?
তিনিঃ- পলাশীর যুদ্ধ হয়েছিল পলাশীর প্রান্তরে। এখানে কোন নদীর নাম উল্লেখ নাই।
আমিঃ- ঠিক আছে ভাইয়া। আমি আর কিছু প্রশ্ন করতে পারবো না।
তিনিঃ- আমারোও নামার সময় হয়েছে। নয়তো তোমাকে কিছু শেখাতাম।
আমিঃ- ঠিক আছে ভাইয়া। দোয়া করবেন।

এখন দেখুনঃ-
আমি ডিপ্লোমা করি এটা আমার পছন্দ অনুযায়ি।
আর তিনি জাবিতে পড়েন তার পছন্দানুযায়ি।
কিন্তু তিনি যে পার্ট নিলেন সেই অনুপাতে তিনি কচু জানেন।
আসলে এখনোও এমন ব্যাক্তি আছে বলে জানতাম না।
যিনি নিজেই কিছু জানেন না। তিনিই অন্যকে জ্ঞান দিচ্ছেন।
কিন্তু গতকাল তার প্রমান পেয়েই গেলাম।
আসুন আমরা সকল স্তরের মানুষদেরকে ভালোবাসতে শিখি। 
তাদেরকে মূল্যায়ন করতে শিখি। 

প্রেমের শেষ পরিণতি...





রাতের আঁধারে একলা ঘরে চুপচাপ শুয়ে আছে অর্পিতা।
বালিশের সাথে মুখ লাগিয়ে বোবা-কান্না করছে।
শব্দ করে কান্না করার শক্তিটুকুও পাচ্ছে না।
এই ছোট্ট জীবনে যা কিছু অর্জন করেছিল তা নিমিষেই হারিয়ে ফেলেছে।
তার ভবিষ্যৎ এখন হাতের মুঠোয়।
এখন কি করবে সে? সকাল হলেই তো তার চরিত্র নিয়ে
মানুষেরা বলাবলি শুরু করবে।
সে সমাজে মুখ দেখাবে কি করে?
এসব প্রশ্ন ঘুরছে অর্পিতার মাথার ভেতরে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিতঃ-
সবেমাত্র কলেজ লাইফে পদার্পণ করেছে অর্পিতা।
মেয়ে টা মিশুক প্রকৃতির হওয়ার দরূণ সবার সাথেই ভাল সম্পর্ক তার।
তারপরেও সোহানের সাথে মাত্র কয়েকদিনেই তার গভীর ভাব
গড়ে উঠে।
এভাবেই কেটে গেল মাসের পর মাস।
অবশেষে তারা একে অপরের GF/BF এ পরিণত হলো।
এভাবেই চলল কিছুদিন। একে অপরের প্রতি অনেক বিশ্বস্ত।
এরই মাঝে চলে আসলো সোহানের জন্মদিন।
জন্মদিনের পার্টিতে অর্পিতা যেন উপস্থিত থেকে সে জন্য
খুব করে অনুরোধ করল সোহান।
অবশেষে অর্পিতাও রাজী হয়ে গেল।
৭ ই সেপ্টেম্বর সোহানের জন্মদিন। ৬ তারিখে বিকালেই
অর্পিতা সোহানের বাসার দিকে রওণা দিলো।
খুব করে আয়োজন চললো। এদিকে পার্টিতে আরোও উপস্থিত হলো
সোহানের কিছু ফ্রেন্ড। যাদের চেহারা দেখেই অর্পিতা ডর পেয়েছিল। কি
সে ভয়ঙ্কর চেহারা তাদের।
সে প্রথমেই তাদের উপরে সন্দেহ করেছিল।
তখন রাত ১১ টা ৫৯ মিনিট। শুরু হলো কেক কাটা।
কার্যক্রম প্রায় শেষের পথে। সবাই চলে গেল যার যার মত।
শুধু তারা ২ জনে এক রুমের ভেতরে অবস্থান করলো।
শুয়ে শুয়ে ২ জনে গল্প করছিল।
সোহানের হাত কিছুক্ষন পরপর অর্পিতার বুকে ঘেঁষ খাচ্ছিল।
যদিও অর্পিতা টের পাচ্ছিল, কিন্তু কিছু বলার সাহস পায়নি।
একসময় তো সোহান অর্পিতাকে পুরোপুরি জড়িয়েই ধরলো।
অবশেষে শুরু হলো তার উপর নির্যাতন।
কিছুক্ষণ পর আরোও কয়েকজন নরপিশাচ যোগ দিল সোহানের সাথে।
কিছু করতে চেয়েও বাধা দিতে পারল না সে।
রক্ষা করতে পারলো না নিজের সতীত্ব।
সে তো ভাবতেও পারেনি যে আজ তার সাথে এমন আচরণ করবে
একজন বিশ্বস্ত ব্যাক্তি।

( একটি অসমাপ্ত জীবন ও তার গল্প। )
#অচিনপুরের_আইয়ুব