Cute Orange Flying Butterfly 2018 ~ ‎অচিনপুরের আইয়ুব‬
আস-সালামু আলাইকুম। আমি আইয়ুব আনসারি। আমার লেখাগুলো পড়তে প্রত্যহ ব্লগটি ভিজিট করুন

সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

বাংলাদেশে নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি পূর্ব পরিকল্পিত : Chandan Nandy




Chandan Nandy, the Executive Editor of South Asian Monitor and also an official observer in the 2018 parliamentary elections in Bangladesh, has tweeted saying that:   


1. The vote was rigged;

2. There was a plan to rig the vote;

3. Shashi Bhushan Singh Tomar, head of the Indian #RAW station in Dhaka, was an integral part of the rigging plan!


ভারতের বিখ্যাত সাউথ এশিয়া মনিটরের নির্বাহী সম্পাদক এবং বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন - ২০১৮ তে পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী চন্দন নন্দী তার টুইট বার্তায় বলেছেন:
১/ নির্বাচনে ভোট ডাকাতি হয়েছে;
২/ ভোট ডাকাতি ছিল পূর্ব পরিকল্পিত; এবং
৩/ ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা 'র' এর ঢাকা ব্যুরো প্রধান, শশি ভূষণ সিং তমার এই পূর্ব পরিকল্পিত ভোট ডাকাতির সাথে জড়িত ছিলেন।


সোমবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮

Some lesser-known sights to see when visiting Dhaka, Bangladesh

Some lesser-known sights to see when visiting Dhaka, Bangladesh are given below:


  1. Ahsan Manzil: (Museum and culture) Ahsan Manzil was the official residential palace and seat of the Nawab of Dhaka. The building is situated at Kumartoli along the banks of the Buriganga River in Dhaka, Bangladesh.Ahsan_Manjil_in_Pink
  2. Lalbagh Fort:( History, architecture, and museum) Lalbagh Fort is an incomplete 17th century Mughal fort complex that stands before the Buriganga River in the southwestern part of Dhaka, Bangladesh. The construction was started in 1678 AD.Lalbager_Kella.jpg
  3. Dhakeshwari Temple: (Temple) Dhakeshwari National Temple is a Hindu temple in Dhaka, Bangladesh. It is state-owned, giving it the distinction of being Bangladesh’s ‘National Temple’. The name “Dhakeshwari” means “GoddessShiva_temples_Dhakeshwari_Mandir.jpg
  4. Jatiya Sangsad Bhaban: (Architecture and museum) Jatiya Sangsad Bhaban or National Parliament House, is the house of the Parliament of Bangladesh, located at Sher-e-Bangla Nagar in the Bangladeshi capital of Dhaka. Designed by architect LouisJatiya_Sangsad_Bhaban.jpg
  5. Liberation War Museum: (Museum) The Liberation War Museum is a museum in Segun Bagicha, Dhaka, the capital of Bangladesh, which commemorates the Bangladesh Liberation War that led to the independence of Bangladesh from Pakistan
  6. Bangladesh National Museum: (Museum)The Bangladesh National Museum, originally established on 20 March 1913, albeit under another name, and formally inaugurated on 7 August 1913, was accorded the status of the national museum of
  7. Jatiyo Sriti Shoudho: (Monument) National Martyrs’ Memorial is the national monument of Bangladesh, set up in the memory of the valour and the sacrifice of all those who gave their lives in the Bangladesh Liberation War of 1971
  8. Bangladesh National Zoo: (Zoo) Bangladesh National Zoo, is a Zoo located in the Mirpur section of Dhaka, the capital city of Bangladesh. The Zoo contains many native and non-native animals and wild life, and hosts about three
  9. New Market, Dhaka: (Shopping/Market Place) New Market is a commercial shopping market in north of Azimpur, Dhaka.
  10. Hussaini Dalan: The Hussaini Dalan was originally built during the later half of the Mughal rule in Dhaka. It was built as the Imambara or house of the imam of the Shia community. Hussaini Dalan serves as the
  11. National Museum of Science and Technology: (Science museum and museum) National Museum of Science and Technology in Dhaka, Bangladesh was founded on April 26, 1965 by the Pakistani government and became a part of Bangladesh’s Ministry of Science and Technology following
  12. Sixty Dome Mosque: The Sixty Dome Mosque, a UNESCO World Heritage Site, is a mosque in Bangladesh, the largest in that country from the Sultanate period. It has been described as “the most impressive Muslim monuments
  13. Shishu Park: (Park/Amusement Park) Shishu Park is the only public sector children’s amusement park in Shahbag, Dhaka, Bangladesh. Established in 1979 on 15 acres of land, it is the first children’s amusement park in Bangladesh
  14. Museum of Independence, Dhaka: The Museum of Independence in Dhaka, Bangladesh depicts the struggle for independence of Bangladesh. It shows the history of the nation since Mughal tenure to independence in 1971. It is the
  15. Kakrail Mosque: Kakrail Mosque is a mosque located near Ramna Park, Dhaka, Bangladesh. It is the center of Tablighi activities in Bangladesh.
  16. Baitul Mukarram National Mosque: Baitul Mukarram, also spelled as Baytul Mukarrom is the national mosque of Bangladesh. Located at the center of Dhaka, capital of Bangladesh, the mosque was completed in 1968. The mosque has
  17. Shaheed Minar, Dhaka: (Monument and history) The Shaheed Minar is a national monument in Dhaka, Bangladesh, established to commemorate those killed during the Bengali Language Movement demonstrations of 1952 in then East Pakistan. On 21
  18. Baldha Garden: (Garden and botanical garden) Baldha Garden is a botanical garden which spans 3.15 acres of land located at Wari in the old part of the city of Dhaka, the capital of Bangladesh. It has a collection of 672 species of plants
  19. Bahadur Shah Park: (Park) Bahadur Shah Park, formerly known as Victoria Park, is a park located in Old Dhaka, Bangladesh. It has a memorial dedicated to the soldiers killed by the British in the aftermath of the Indian
  20. Ramna Park: (Park) Ramna Park (Bengali: রমনা উদ্যান Rômna Uddan) is a large park and recreation area situated at the heart of Dhaka, the capital city of Bangladesh. This park is one of the most beautiful areas in Dhaka with lots of trees and a lake near its center.
  21. Gulshan Lake: (Park)
  22. Mirpur Botanical: (Garden) Botanical garden and garden
  23. Chandrima Uddan: (Park) Chandrima Uddan or Chandrima Udyan also, Zia Uddan is a park situated across the road of the national parliament house, in Dhaka, Bangladesh. The park is notable for being the place where the
  24. Victoria Park
  25. Tomb of Pori Bibi: (Tomb)
  26. Bangladesh Air Force Museum
  27. Shadhinata Tower: Swadhinata Stambha (Bengali: স্বাধীনতা স্তম্ভ) or Independence Monument is a national monument in Bangladesh to commemorate the historical events that took place in the Suhrawardy Udyan, previously known as Ramna Race Course ground regarding the Liberation War of BangladeshGovernment of Bangladesh took the initiative to build the monument in 1996. The construction began in 1999. Kashef Mahboob Chowdhury and Marina Tabassum designed the project. The main attraction of the project is a 50-meter high tower composed of stacked glass panels, which stands at the place where the Pakistani Instrument of Surrender was signed at the end of the war.
  28. Dhaka Gate: Dhaka Gate also known as Mir Jumla’s Gate or Ramna Gate is a monument believed to be built by Mir Jumla II and enlisted as one of the oldest Mughal architectures in Dhaka. This gate is considered
  29. DNCC Wonderland, Dhaka (Gulsan)
  30. Coin Museum
  31. Gurudwara, Dhaka University
  32. Language Movement Museum (ভাষা আন্দোলন জাদুঘর)
  33. Lalbagh Fort Museum: (Museum)
  34. Bangladesh Military Museum
  35. Postal Museum
  36. Dhanmondi Lake Bridge
  37. Bangladesh Police Liberation War Museum, Dhaka
  38. Kobi Kazi Nazrul Institute, Dhanmondi-28
  39. Ramna Park Avenue

শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮

সালাত ইচ্ছাকৃতভাবে ত্যাগকারী এবং অস্বীকারকারী-উভয়ই কাফির হয়ে যায়।


সালাত ইচ্ছাকৃতভাবে ত্যাগকারী এবং অস্বীকারকারী-উভয়ই কাফির হয়ে যায়।

মুলঃ ইমাম ইবনে উসাইমীন রাহিমাহুল্লাহ।
অনুবাদঃ শাইখ মতিউর রহমান মাদানী।
যারা সালাত (নামায) কে ইসলামের স্তম্ভ হিসেবে স্বীকার করে কিন্তু তা আদায়ের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কারণ ছাড়াই অনিয়ম করে, তারা মুসলিম থাকে না।
সৌদি আরবের বিখ্যাত ইমাম আল্লামা ইবনে উসাইমীন রাহিমাহুল্লাহ এর ‘হুকুম তারিকুস সালাত’ অর্থাৎ ‘নামায ত্যাগকারীর বিধান’ বই থেকে এই বিষয়ে আলোচনা সংক্ষেপে এখানে তুলে ধরা হল।
খুব ভালো করে বোঝার চেষ্টা করুন।
​কুর’আন হতেঃ
১) সূরা আত-তাওবাহ-১১—“তবে এখন যদি তারা তাওবাহ করে, সালাত আদায় করে, যাকাত প্রদান করে, তাহলে তারা তোমাদের দ্বীনি ভাই।”
এই আয়াতে দ্বীনি ভাই হওয়ার জন্য আল্লাহ তা’আলা কিছু শর্তারোপ করেছেন–
১ম শর্তঃ যেন তারা শিরক হতে তাওবাহ করে।
২য় শর্তঃ যেন তারা সালাত প্রতিষ্ঠা করে।
৩য় শর্তঃ আর যেন তারা যাকাত প্রদান করে।
অতএব, তারা যদি শিরক হতে তাওবাহ করে কিন্তু সালাত কায়েম না করে ও যাকাত প্রদান না করে তবে তারা আমাদের দ্বীনি ভাই নয়।
আর দ্বীনি ভ্রাতৃত্ব তখনই পুরোপুরিভাবে লোপ পায় যখন মানুষ ইসলাম থেকে সম্পূর্ণরূপে বহিস্কৃত হয়। ফাসেকী বা ছোট কুফরীর কারণে দ্বীনি ভ্রাতৃত্ব নষ্ট হয়ে যায় না।
২) সূরা মারইয়ামঃ আয়াত ৫৯–“তাদের পরে সেই অপদার্থগণ তাদের স্থলাভিষিক্ত হল যারা সালাতকে বিনষ্ট করলো আর মনের লালসা-বাসনার অনুসরণ করলো। সুতরাং অচিরেই তারা তাদের অপকর্মের শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে।”
আয়াতঃ৬০—“কিন্তু তারা নয় যারা তাওবাহ করেছে, ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে; তারা তো জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের উপর কোন প্রকার যুলুম করা হবে না।”
এই আয়াত সালাত ত্যাগকারীর কুফরী স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে। আল্লাহ তা’আলা সালাত নষ্টকারী এবং লালসা-বাসনার অনুসরণ কারীদের সম্বন্ধে ৬০ নং আয়াতে বলেন যে তাদের মধ্যে তাওবাহকারী এবং ঈমান আনয়নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে।
এখান থেকে একথা স্পষ্ট বুঝা যায় যে, তারা সালাত বিনষ্ট করার সময়কালে মু’মিন ছিল না। (যদি মু’মিন থাকতো তাহলে আল্লাহ পাক পুনরায় ঈমান আনার কথা বলতেন না।)
হাদীস হতে প্রমাণঃ
১) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন—“নিশ্চয়ই মানুষ ও কুফরীর (শিরক) মাঝে পৃথককারী বিষয় হচ্ছে সালাত ত্যাগ করা।” (সহীহ মুসলিম)
২) আমাদের ও তাদের (কাফিরদের) মাঝে চুক্তি হচ্ছে সালাতের, অতএব, যে ব্যক্তি সালাত ত্যাগ করল সে কুফরী করল।”
(মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ)
আর এখানে কুফরীর অর্থ হলো, এমন কুফরী যা মানুষকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সালাতকে মু’মিন ও কাফিরদের মাঝে পার্থক্যকারী বলে ঘোষণা করেছেন।
৩) সহীহ মুসলিমে আরো কিছু হাদীস আছে যেখানে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন কিছু মুসলিম শাসকের ভবিষ্যদ্বাণী করেন যাদের কিছু কার্যকলাপ ভাল হবে আর কিছু হবে মন্দ। সাহাবারা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুম এই সকল শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন কি না জানতে চাইলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-“না, যতদিন তারা সালাত প্রতিষ্ঠিত করবে।”
অতএব, সালাত ত্যাগকারী মুসলিম নামধারী শাসকের উপর থেকে আনুগত্য উঠিয়ে নিয়ে তাদের সাথে লড়াই করা যাবে এই হাদীসের আলোকে। সুতরাং, এটা সুস্পষ্ট যে, সালাত ত্যাগকারী অবশ্যই কাফির কেননা কোন মুসলিমের বিরুদ্ধে লড়াই করা জায়েয নয়।
বিশিষ্ট সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন—“সালাত ছেড়ে দেয়া তো কুফরী”
সূত্রঃ তাফসীর ইবনে কাসীর; ১৪ নং খন্ড; ১৭৩ পৃষ্ঠা।
স্বর্ণযুগের ইমামদের বক্তব্যঃ
১) ইমাম ইসহাক বিন রাহবিয়া রাহিমাহুল্লাহ বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, সালাত ত্যাগকারী কাফির। আর এটাই হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগ থেকে আজ পর্যন্ত ইমামগণের মত যে, ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত ত্যাগকারী কোন কারণ ব্যতীত সালাতের ওয়াক্ত অতিক্রম করে দিলে সে কাফির।
২) ইমাম ইবনে হাযম রাহিমাহুল্লাহ উল্লেখ করেন যে, (সালাত ত্যাগকারী কাফির) একথা উমর ফারুক, আবদুর রহমান, মু’য়ায ইবনে জাবাল, আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুম প্রমুখ সাহাবাগণ হতে বর্ণিত হয়েছে। (আল্লামা মুনযেরীও রাহিমাহুল্লাহ তার তারগীব ও তারহীবে এটি উল্লেখ করেছেন।)
৩) ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রাহিমাহুল্লাহ বলেন- সালাত ত্যাগকারী কাফির হয়ে যায়, আর এমন কুফরীতে নিমজ্জিত হয়, যা দ্বীন ইসলামের সীমানা হতে বহিস্কার করে দেয়। তাকে হত্যা করা হবে যদি সে তাওবাহ করতঃ সালাত না প্রতিষ্ঠা করে।
এছাড়াও ইমাম ইবনুল মুবারক, নাখয়ী, হাতাম বিন উতায়বা, আইয়ূব, যোহায়রা বিন হারব প্রমুখ ইমামগণ সালাত ত্যাগকারীকে কাফির বলেছেন।
কিছু ইমাম বলেছেন, সালাত ত্যাগকারী মুরতাদের জানাযা পড়া যাবে না, তাকে মুসলিমদের কবরস্থানে দাফন করা যাবে না, তাকে সালাম দেয়া যাবে না এবং তার সালামের উত্তরও দেয়া যাবে না, তাকে সম্পত্তির ভাগ দেয়া যাবে না।

রবিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৮

মুন্সিগঞ্জে চালু হলো হোন্ডার কারখানা

বাংলাদেশে চালু হলো জাপানের হোন্ডা মোটর করপোরেশনের কারখানা। আজ রোববার মুন্সিগঞ্জের আবদুল মোনেম ইকোনমিক জোনে ২৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত কারখানাটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

দেশে হোন্ডা বাংলাদেশ লিমিটেড (বিএইচএল) নামে যৌথ উদ্যোগে কোম্পানি খুলে কারখানা করেছে হোন্ডা মোটর করপোরেশন। এর অংশীদার সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি)। নতুন কারখানায় আপাতত বছরে এক লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদনের সক্ষমতা তৈরি করেছে হোন্ডা, যা ২০২১ সালে দুই লাখে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। এখন নতুন কারখানায় উৎপাদিত মোটরসাইকেলে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ বা বাংলাদেশে তৈরি কথাটি লিখতে সরকারের কাছে আবেদন জানাবে হোন্ডা। এ স্বীকৃতি পেলে কর ছাড় পাওয়া যাবে। এতে মোটরসাইকেলের দামও কমবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
কারখানার উদ্বোধন উপলক্ষে রোববার সকালে আবদুল মোনেম ইকোনমিক জোনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হোন্ডা বাংলাদেশ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এ ছাড়া সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এবং হোন্ডার মূল কার্যালয় ও স্থানীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের কারখানার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। তাঁরা জানান, এখন নতুন কারখানায় মোটরসাইকেলের কাঠামো বা বডি ফ্রেম ও সুইচ আর্ম তৈরি করা হবে। ঝালাই ও রঙ করার কাজও হবে কারখানায়। বাকি যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ এনে সংযোজন করা হবে। তবে শিগগিরই একে একে যন্ত্রাংশ তৈরিতে যাবে হোন্ডা।
বিএইচএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইওচিরো ইশি বলেন, বাংলাদেশে নতুন কারখানার মাধ্যমে স্থানীয়করণের শুরু হলো। ভবিষ্যতে এ দেশেই বেশির ভাগ যন্ত্রাংশ তৈরি হবে। দাম কমবে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারের কাছে এখন তারা কর ছাড়ের জন্য আবেদন করবেন। কর ছাড় পেলে সে অনুযায়ী দাম কমবে। কতটা কমবে, তা এখন বলা যাচ্ছে না।
এর আগে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সময়মতো নির্মাণকাজ শেষ কারখানা চালু করায় হোন্ডাকে অভিনন্দন জানান। তিনি দেশে গাড়ি তৈরিতে বিনিয়োগ করার জন্য জাপানি কোম্পানিগুলোকে অনুরোধ করেন।
ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু ইজুমি বলেন, হোন্ডার কারখানা জাপানি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, দেশে জাপানিদের জন্য একটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ চলছে। আরেকটি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সরকার ইতিবাচক।
বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ২০১২ সালে হোন্ডার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে হোন্ডা বাংলাদেশ নামে কোম্পানি করে বিএসইসি। নতুন কারখানায় হোন্ডার বিনিয়োগ ১৯০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আর বিএসইসির বিনিয়োগ ১০৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। ভবিষ্যতে মোট বিনিয়োগ বেড়ে ৬৮০ কোটিতে উন্নীত হবে। কর্মসংস্থান হবে দুই হাজার মানুষের।
হোন্ডা মোটর করপোরেশনের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়োশি ইয়ামানে বলেন, হোন্ডা বিশ্বব্যাপী গত বছর ১ কোটি ৯৫ লাখ মোটরসাইকেল বিক্রি করেছে। কোথাও মানের ক্ষেত্রে হোন্ডা কোনো ছাড় দেয় না।
অনুষ্ঠানে সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী, বেজার নির্বাহী সদস্য মো. হারুনুর রশিদ, হোন্ডা মোটরসের মোটরসাইকেল বিভাগের প্রধান নোরিয়াকি আবে, এশিয়া ও ওশেনিয়ার প্রধান মাসায়াকি ইগারাশি, বিএইচএলের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ আশিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সোর্সঃ প্রথম আলো 

ইয়ামাহা মোটরসাইকেল পছন্দ করে ৯০ শতাংশ তরুণ

জাপানের ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল বাজারজাতকরণে দুই বছর পার করল এসিআই মোটরস। আজ রোববার তারা তিন বছরে পা দেবে। এই দুই বছর ব্যবসা কেমন গেল ও আগামীর পরিকল্পনা কী, প্রথম আলোকে তা জানিয়েছেন এসিআই মোটরসের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাজীব আহমেদ
প্রথম আলো: দুই বছর আগে অন্য একটি প্রতিষ্ঠান দেশে ইয়ামাহা মোটরসাইকেল বাজারজাত করত। এরপর একক পরিবেশ হলো এসিআই। বিক্রি কতটুকু বেড়েছে?
সুব্রত রঞ্জন দাস: আমরা এখন বছরে ১৮ হাজার মোটরসাইকেল বিক্রি করি। এটা আগের প্রতিষ্ঠানের ঠিক তিন গুণ। বার্ষিক প্রবৃদ্ধি প্রায় ৩৫ শতাংশ। আপনি যদি তরুণদের পছন্দের কথা বিবেচনা করেন, তাহলে ইয়ামাহা সবার ওপরে। আমরা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে জরিপ করে দেখেছি, মোটরসাইকেল চালাতে আগ্রহী ব্যক্তিদের মধ্যে ৯০ শতাংশ তরুণ আর্থিক দিক দিয়ে সক্ষম হলে ইয়ামাহা কিনতে চায়। কারণ, তারা ইয়ামাহা ব্র্যান্ড পছন্দ করে।
প্রথম আলো: তরুণেরা ইয়ামাহা কেন পছন্দ করে, আপনার কী মত?
সুব্রত রঞ্জন: ইয়ামাহা উচ্চপ্রযুক্তির ও সেরা মানের মোটরসাইকেল বিক্রি করে। আমরাই একমাত্র ফুয়েল ইনজেকশন মডেলের মোটরসাইকেল বিক্রি করি। এর সুফল হলো, এটি জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব। পাশাপাশি এর পারফরম্যান্স অনেক ভালো। বাংলাদেশের রাস্তায় ব্রেক কষা ও ভারসাম্য রক্ষার বিষয়টি খুবই জরুরি। ইয়ামাহা এই দুই দিক দিয়ে অত্যন্ত ভালো। আর যদি নকশা ও দেখার সৌন্দর্যের কথা বলেন, ইয়ামাহা অনেক আকর্ষণীয়।
প্রথম আলো: পণ্যের মানের পাশাপাশি বিপণন কৌশল কি গুরুত্বপূর্ণ নয়?
সুব্রত রঞ্জন: ইয়ামাহা আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর বাইকারদের সঙ্গে সংযোগ তৈরিতে আমরা সবচেয়ে বেশি কাজ করেছি। আমরা আধা ঘণ্টার মধ্যে মেরামত সেবা দিই। এর মানে হলো আমাদের সার্ভিসিং সেন্টারে গেলে আধা ঘণ্টার মধ্যে কেউ না কেউ আপনার মোটরসাইকেল সার্ভিসিংয়ের কাজ শুরু করবে। ৮০ শতাংশ গ্রাহকের ক্ষেত্রে আমরা সেটা করতে পারি। আমাদের প্রত্যেকটি সার্ভিসিং সেন্টারে কম্পিউটারের সাহায্যে সমস্যা শনাক্ত করার ব্যবস্থা আছে।
প্রথম আলো: আপনি তরুণদের সংযুক্ত করার কথা বলছিলেন।
সুব্রত রঞ্জন: সারা পৃথিবীতে বাইকিং একটি সংস্কৃতি। আমরা সেটা তৈরি করার চেষ্টা করছি। আমরা তরুণদের সঙ্গে ব্যাপকভাবে সংযুক্ত। বাইকার গ্রুপগুলো ও বর্তমান গ্রাহকদের আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাই। ফেসবুকে আমাদের লাইকের সংখ্যা ১১ লাখ, যা এ খাতে সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি আমরা সবচেয়ে বেশি মানুষের সমাবেশ করে ইয়ামাহার লোগো তৈরি করে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছি। আমরা বাইকারদের প্রশিক্ষণ দিই।
প্রথম আলো: আপনাদের মোটরসাইকেলগুলো ইয়ামাহার কোন দেশের কারখানা থেকে আসে?
সুব্রত রঞ্জন: আমরা মূলত ভারত থেকে বেশি আমদানি করি। এ ছাড়া একটি মডেল ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা হয়। এটি হলো, ইয়ামাহা আর১৫ভি৩। ভবিষ্যতে আমরা থাইল্যান্ড থেকেও ইয়ামাহার মোটরসাইকেল আনব। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী ইয়ামাহার জনপ্রিয় অ্যানম্যাক্স নামের একটি স্কুটার আমরা ইন্দোনেশিয়া থেকে আনছি। জানুয়ারিতে বাজারে পাওয়া যাবে।   
প্রথম আলো: আপনারা দেশে এনে মোটরসাইকেল সংযোজন করেন?
সুব্রত রঞ্জন: না, আমরা পুরোপুরি যুক্ত (সিবিইউ) অবস্থায় মোটরসাইকেল নিয়ে আসি। এ কারণে করের হার বেশি পড়ে। আমরা মোট কর দিই ১৫৩ শতাংশ। এ কারণে দাম বেশি। বিযুক্ত অবস্থায় আনলে (সিকেডি) মোট করভার দাঁড়ায় ১২১ শতাংশ। দেশে তৈরি করলে কর ৩৮ শতাংশ।
প্রথম আলো: মোটরসাইকেল সংযোজনে কারখানা করার কথা ছিল এসিআইয়ের।
সুব্রত রঞ্জন: গাজীপুরে ১০ একর জমিতে আমাদের কারখানার কাজ এগিয়ে চলছে। আগামী এপ্রিল-মে মাসে দেশে সংযোজিত ইয়ামাহা মোটরসাইকেলের কিছু মডেল বাজারে ছাড়া যাবে বলে আশা করছি। এরপর জুলাই থেকে আমরা ইয়ামাহা মোটরসাইকেলের একটি মডেল উৎপাদন শুরু করব, যেখানে বাংলাদেশে তৈরি কথাটি লেখা যাবে। ইয়ামাহা বিশ্বে প্রথমবারের মতো তার কোনো পরিবেশকের সঙ্গে কারিগরি সহযোগিতা চুক্তি করেছে।
প্রথম আলো: বাংলাদেশে মোটরসাইকেলের বাজার কতটুকু? সম্ভাবনাই বা কেমন?
সুব্রত রঞ্জন: দেশে এখন বছরে ৪ লাখ 

সোর্সঃ    প্রথম আলো 

নির্বাচন করছেন না সাকিব


সাকিব আল হাসানসাকিব আল হাসানআসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নেওয়ার ব্যাপারে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আগামীকাল রোববার তাঁর দলীয় মনোনয়নপত্র কেনার কথা ছিল।
এর আগে সাকিব নিজেই আজ প্রথম আলোর এই প্রতিবেদককে তাঁর নির্বাচন করার আগ্রহের কথা জানিয়ে বলেছিলেন, তিনি মাগুরা-১ আসনের জন্য তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেবেন।
সাকিব আল হাসান শনিবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি। নির্বাচন করব না।’ আগে নির্বাচন করার কথা জানিয়ে এখন কেন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন—এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাকিব আল হাসান কোনো মন্তব্য করেননি।
নড়াইল থেকে ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজারও আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করার কথা শোনা যাচ্ছে। গুঞ্জন রয়েছে, তিনিও আগামীকাল সকালে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন। 
মাশরাফির পক্ষ থেকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা না হলেও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, সাকিব-মাশরাফি দুজনই রোববার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন।
এর আগে চলতি বছরের ২৯ মে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসানের নির্বাচন করার বিষয়ে আভাস দিয়েছিলেন। পরদিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘আগামী বিশ্বকাপের আগে সাকিব ও মাশরাফি রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন না।’ 

সোর্সঃ প্রথম আলো 

নির্বাচনের আগে নমনীয় আ.লীগ


এক সপ্তাহ আগেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানুষের চিন্তাভাবনা অন্য রকম ছিল। অনেকেই মনে করছিল, আগামী নির্বাচনে খুব বেশি ভোট পড়বে না। নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবারও যেভাবেই হোক নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করতে চাইবে। কিন্তু হঠাৎ করেই দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। পরিবর্তিত এই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মানুষ আশা করছে, ডিসেম্বরের নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হতে পারে। যদিও ভোট সুষ্ঠু হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।

গত অক্টোবর মাস দুটি বড় চমক নিয়ে এসেছে। মাসের মাঝামাঝি সময়ে বড় দুই রাজনৈতিক দলের একটি বিএনপি তাদের দীর্ঘদিনের ডানপন্থী মিত্রদের বাদ দিয়ে তুলনামূলক উদার ছোট দলগুলোর সঙ্গে জোট করে। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন এই জোটের নাম জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এর চেয়েও বড় চমকটি আসে পরে। কঠোর অবস্থানে থাকা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ হঠাৎ করেই নমনীয় হয়। তারা ঐক্যফ্রন্টসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করে। ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দুই দফায় সংলাপ হয়। এই জোটের দাবিগুলোর অন্যতম হলো দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন এবং নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সংলাপের পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঐক্যফ্রন্টের দাবিগুলো বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে সংবিধান লঙ্ঘন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা সম্ভব নয়।
ঐক্যফ্রন্ট ইঙ্গিত দিয়েছে, দাবি আদায় না হলে তারা আন্দোলন-বিক্ষোভ করবে। তবে জোরালো আন্দোলন কিংবা নির্বাচন বয়কট, কোন পথে এগোবে তা নিয়ে তারা এখনো দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছে। এর আগে নির্বাচন বয়কট করে তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসন কিংবা দলটির কর্মী-সমর্থকদের। সংসদে দলটির অনুপস্থিতি ক্ষমতাসীনদের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে মামলা-হয়রানির শিকার হয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। বিএনপির হিসাবমতে, দলটির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় ৯০ হাজার মামলা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরেই দলটির সাড়ে চার হাজারের বেশি সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ৩৪টি। তাঁর ছেলে ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয়েছে।
তবে ক্ষমতাসীনদের কঠোরতার ওপর নির্ভর না করলেও চলবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নানা দিক থেকেই বাংলাদেশে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। গত এক দশকে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল গড়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হারে। গত বছর তা ভারত ও পাকিস্তানকেও ছাড়িয়ে গেছে, ৭ দশমিক ৩। মোট দেশজ উৎপাদনেও (জিডিপি) বাংলাদেশ অনেকখানি এগিয়ে গেছে। শিশুমৃত্যুর হার কমানো এবং মাধ্যমিকে ভর্তির হার ও গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ অনেক দিক দিয়ে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ।
কিন্তু উন্নয়নের এই চিত্র যেন রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে যায় না। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মূল বৈশিষ্ট্য হলো ‘পেলে সব পেতে হবে, নইলে মোটেই না’ । কোনো বিরোধই সংসদে আলোচনা বা ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে সমাধান হয় না, তা হয় দেশ অচল করে দেওয়া হরতাল–অবরোধে । ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক সহিংসতায় শুধু ভোট গ্রহণের দিন নিহত হয় ১৮ জন। এক শর বেশি ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করা হয়। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। বিরোধীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত হরতাল বা অবরোধ ডাকার লক্ষণ দেখা যায়নি। বরং রাজনৈতিক পরিবেশ উন্নয়নে সরকারি দল বিরোধী জোটের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে।
রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হলে বাংলাদেশের জন্যই তা মঙ্গলজনক। এর মাধ্যমেই এ দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি আরও ত্বরান্বিত হতে পারে।

সোর্সঃ- প্রথম আলো 

বি চৌধুরীর বাসায় কাদের সিদ্দিকী

এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, কাদের সিদ্দিকীএ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, কাদের সিদ্দিকীকৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী আজ শনিবার সন্ধ্যায় বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাসায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন।
যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা সভাপতির প্রেস সচিব জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর হঠাৎ করেই কাদের সিদ্দিকী আসেন। চা খেয়ে কিছুক্ষণ পরেই তিনি চলে যান।
এ ব্যাপারে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, বি চৌধুরীকে জাতীয় ঐক্যে আসার জন্য অনুরোধ করতেই তিনি গিয়েছিলেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন ও বি চৌধুরীকে নিয়ে কাদের সিদ্দিকী একসঙ্গে কাজ করতে চান। তবে যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান কী বলেছেন, সে ব্যাপারে তিনি জানেন না বলে জানান।
বি চৌধুরীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হওয়ার সময় কাদের সিদ্দিকী তাদের সঙ্গে থাকলেও ওই জোটে যোগ দেননি। আর বি চৌধুরীসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে ছাড়াই ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। আর সেখানে গত ৫ নভেম্বর কাদের সিদ্দিকী যোগ দেন।
তবে যোগ দেওয়ার আগে থেকেই কাদের সিদ্দিকী বি চৌধুরী ও কামাল হোসেনকে এক মঞ্চে হাজির করার চেষ্টা করেছেন। ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়ার দিনও তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘এখন তিনি আসছেন না, পরে হয়তো আসবেন।’
source:- prothom alo

শুক্রবার, ২ নভেম্বর, ২০১৮

বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর

ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর তৈরিতে প্রথম ধাপে খরচ হয়েছে ৫১০ কোটি ডলারের বেশি। ছবি: এএফপিইস্তাম্বুল বিমানবন্দর তৈরিতে প্রথম ধাপে খরচ হয়েছে ৫১০ কোটি ডলারের বেশি। ছবি: এএফপিবিশ্বের সবচেয়ে বড় ও ব্যস্ত বিমানবন্দরের উদ্বোধন হয়ে গেল তুরস্কে। দেশটির জনবহুল শহর ইস্তাম্বুলের নামে এ বিমানবন্দরের নাম হবে ‘ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর’। সোমবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এই বিমানবন্দর উদ্বোধন করেন৷ এদিন দেশটির ৯৫তম স্বাধীনতা দিবস। কয়েক মাসের মধ্যেই ইস্তাম্বুলের প্রধান বিমানবন্দর আতাতুর্কের পরিবর্তে এই বিমানবন্দর দিয়েই যাত্রীরা বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে যাবে।
৭ হাজার ৬০০ হেক্টর আয়তনের এই বিমানবন্দরই এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর। ছবি: এএফপি৭ হাজার ৬০০ হেক্টর আয়তনের এই বিমানবন্দরই এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর। ছবি: এএফপিতুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরকেই ট্রানজিট বিমানবন্দর হিসেবে অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন৷ এই বিমানবন্দরে যাত্রীর সংখ্যাও বাড়ছে দিন দিন৷ ইস্তাম্বুলের এই বিশাল নতুন বিমানবন্দর তৈরি করতে প্রথম ধাপে খরচ হয়েছে ৫১০ কোটি ডলারের বেশি৷ ৭ হাজার ৬০০ হেক্টর আয়তনের এই বিমানবন্দরই এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর৷
এ বিমানবন্দরের নকশা পুরস্কারও জিতেছে। ২০১৬ সালে বার্লিনে ওয়ার্ল্ড আর্কিটেকচারাল ফেস্টিভ্যালে ‘ফিউচার প্রজেক্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর।এ বিমানবন্দরের নকশা পুরস্কারও জিতেছে। ২০১৬ সালে বার্লিনে ওয়ার্ল্ড আর্কিটেকচারাল ফেস্টিভ্যালে ‘ফিউচার প্রজেক্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর।আপাতত দুটি রানওয়ে ও একটি টার্মিনাল চালু হয়েছে। এ সুযোগ–সুবিধা দিয়ে বছরে ৯ কোটি যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। এর সঙ্গে একটি প্রধান এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার, একটি কার্গো হাউসও চালু হয়েছে। চালু হওয়া দুই রানওয়ের একটি ৪ দশমিক ১ কিলোমিটার এবং অপরটি ৩ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার লম্বা। এ বিমানবন্দরে আপাতত ৩৪৭টি বিমান অবস্থান করতে পারবে। ২০২৩ সাল নাগাদ এ বিমানবন্দরের কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হবে। তত দিনে এই বিমানবন্দরে যুক্ত হবে আরও ৬টি রানওয়ে। ৫০০টি বিমান তখন একসঙ্গে এ বিমানবন্দরে অবস্থান করতে পারবে এবং বছরে ২০ কোটি যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারবে। একই সঙ্গে তখন এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় করমুক্ত শপিং কমপ্লেক্সেও পরিণত হবে, যার আয়তন হবে ৫৩ হাজার বর্গমিটার।
ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরের রানওয়ে। ছবি: এএফপিইস্তাম্বুল বিমানবন্দরের রানওয়ে। ছবি: এএফপিএ বিমানবন্দর পুরোদমে চালু হয়ে গেলে কামাল আতাতুর্ক বিমানবন্দরে বাণিজ্যিক বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।
ইস্তাম্বুলের এই বিমানবন্দরকে তুরস্কের পক্ষ থেকে গ্রিন বা সবুজ বিমানবন্দর বলা হচ্ছে। এই বিমানবন্দরে বৃষ্টির পানি ব্যবহারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যদিও এ বিমানবন্দর বানাতে গিয়ে পরিবেশের ক্ষতি করতে হয়েছে। কারণ অনেক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
আপাতত দুটি রানওয়ে ও একটি টার্মিনাল চালু হয়েছে। চালু হওয়া দুই রানওয়ের একটি ৪ দশমিক ১ কিলোমিটার এবং অপরটি ৩ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার লম্বা। ছবি: ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরআপাতত দুটি রানওয়ে ও একটি টার্মিনাল চালু হয়েছে। চালু হওয়া দুই রানওয়ের একটি ৪ দশমিক ১ কিলোমিটার এবং অপরটি ৩ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার লম্বা। ছবি: ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর
এই বিমানবন্দরের নকশা পুরস্কারও জিতেছে। ২০১৬ সালে বার্লিনে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড আর্কিটেকচারাল ফেস্টিভ্যালে ‘ফিউচার প্রজেক্টস ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর।
ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে আপাতত ৩৪৭টি বিমান অবস্থান করতে পারবে। ২০২৩ সাল নাগাদ এ বিমানবন্দরের কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হবে। তত দিনে এই বিমানবন্দরে যুক্ত হবে আরও ৬টি রানওয়ে। ৫০০টি বিমান তখন একসঙ্গে এ বিমানবন্দরে অবস্থান করতে পারবে এবং বছরে ২০ কোটি যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারবে। ছবি: রয়টার্সইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে আপাতত ৩৪৭টি বিমান অবস্থান করতে পারবে। ২০২৩ সাল নাগাদ এ বিমানবন্দরের কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হবে। তত দিনে এই বিমানবন্দরে যুক্ত হবে আরও ৬টি রানওয়ে। ৫০০টি বিমান তখন একসঙ্গে এ বিমানবন্দরে অবস্থান করতে পারবে এবং বছরে ২০ কোটি যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারবে। ছবি: রয়টার্সগত সোমবারই আঙ্কারার উদ্দেশে প্রথম ফ্লাইট উড়ে গেছে এ বিমানবন্দর থেকেই। ইন্টারন্যাশনাল রুটে প্রথম ফ্লাইট যায় ইস্তাম্বুল থেকে সাইপ্রাস পর্যন্ত৷ এ বছর মূলত আজারবাইজান এবং সাইপ্রাসে বিমান চলবে এ বিমানবন্দর থেকে। আগামী জানুয়ারিতে পুরোদমে চালু হবে এ বিমানবন্দর। তখন নতুন এ বিমানবন্দর থেকে ৩৫০টি গন্তব্যে বিমান যাতায়াত করতে পারবে৷
অনিন্দ্য সুন্দর এই বিমানবন্দরটিতে আছে সব ধরনের সুবিধা। ছবি: এএফপিঅনিন্দ্য সুন্দর এই বিমানবন্দরটিতে আছে সব ধরনের সুবিধা। ছবি: এএফপিইস্তাম্বুলে এ বিশাল বিমানবন্দর তৈরি করাটা যেমন তুরস্কের কাছে খুব গর্বের বিষয়৷ তেমনি বিমানবন্দরকে ঘিরে বেশ কিছু বিতর্কও রয়েছে৷ কারণ শ্রমিকেরা এখানে কাজ করতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়েছেন বলে অভিযোগ৷ খারাপ মানের খাবারের পাশাপাশি আরও অনেক অত্যাচারও শ্রমিকদের সহ্য করতে হয়েছে বলে অভিযোগ৷ ২৭ শ্রমিকের মৃত্যুও হয়েছে এই বিমানবন্দর তৈরি করতে৷ যদিও তুরস্কের সরকার এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছে৷ 

তথ্যসূত্র: ইকোনমিক টাইমস ও সিএনএন