Cute Orange Flying Butterfly 2017 ~ ‎অচিনপুরের আইয়ুব‬
আস-সালামু আলাইকুম। আমি আইয়ুব আনসারি। আমার লেখাগুলো পড়তে প্রত্যহ ব্লগটি ভিজিট করুন

বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৭

ধানক্ষেত







    ধানক্ষেত

- আইয়ুব আনসারী 
 

দিগন্তের পাণে তাকাই যতদূর, 

সবুজ অপরূপ ধানক্ষেত; 

পাখির কলতান সু-মধুর! 

এপাশ-ওপাশ, চারিপাশ দোলে, 

দখিনা হাওয়ায় ইচ্ছে ঢেউ খেলে। 



দেখি ধানক্ষেত অপলক, 

সকাল বিকাল সূর্যালোক। 

হারাই সবুজের সমারোহের দুনিয়ায়, 

দেখি কৃষকের মুখে তৃপ্তির হাসি; 

আহা! কায়া ছন্ন মনে সুখ পায়।

. 

ছুটি মাঠে বারেবার-ছেড়ে শহুরে ধোঁয়া, 

বুক ভরে নিই শ্বাস, 

যেন পাই স্বর্গীয় ছোঁয়া।। 

শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৭

প্রেম করে বিয়ে বনাম ইসলাম- খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর


আমাদের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় প্রেম করে বিয়ে করা।
এটা কি বৈধ ?
যদি বৈধ না হয় তবে কি করতে হবে???
সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন স্যার D: খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর








বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৭

শিশুর কপালে টিপ পড়ানো, তাবিজ, সুতো ইত্যাদি বাঁধা বৈধ কি-না?





আসসালামু আলাইকুম। সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, কেমন আছেন সবাই?
আমি আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি।
আজ আমি আপনাদের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে অবগত করতে আসলাম।
শিরোনাম দেখে অবশ্যই বুঝে উঠেছেন। জ্বী, আমি শিশুর কপালে টিপ পড়ানোর কথা বলতে চাচ্ছি।

আমাদের মা বোনেরা শয়তান ( জ্বীন এবং মানুষ ) এর কু দৃষ্টি থেকে বাঁচানোর জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন।
আমরা প্রথমেই এর সত্যতা যাচাই করবো এবং তারপর এর বৈধতা / অবৈধতা নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।


সত্যতা যাচাইঃ-

বদনজর বাস্তব সত্য। বদ নজর দু প্রকারে আবির্ভূত হতে পারে।

১। মানুষের মাধ্যমে ও
২। জ্বীনের মাধ্যমে।


মানুষের ঈর্ষাদৃষ্টি অনেক ভয়াবহ। যদি কারো উপর বদনজর পড়ে তবে তার ফলাফল খুবই ভয়ানক হয়ে থাকে।
আর শিশুদের উপর এই বদ নজরের পরিমান টা বেশিই পড়ে।
অপরদিকে আরেক উপায় হচ্ছে জ্বীনের বদ নজর।
যদি কারো উপর জ্বীনের বদনজর পড়ে তাহলে তার বিপদাপদ যেন হাতের কাছে এসে যায়।
জ্বীনদের বদনজর অনেক প্রখর।

এই ধরণের বদনজর থেকে আমাদের বাঁচাটা জরুরি।
বদনজরের সত্যতা দিতে গিয়ে রাসূল সাঃ বলছেনঃ-

নযর বাস্তব সত্য। যদি কোনো কিছু তাকদীর লঙঘন করতে পারত তবে নযর তাকদীর উল্টাতে পারত"

★ মুসলিম (৩৯-কিতাবুস সালাম, ৩৫- তাহরীমিল কাহানাহ) ৪/১৭৫১ (ভারতীয় ২/২২০)।




অর্থাৎ এ থেকে ছোট বড় সবারই বেঁচে থাকা উচিত।

তবে এই ভয়াবহ কু নজর থেকে বাঁচার উপায় কি???

ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান। পৃথিবীতে এমন কোন সমস্যা নেই, যার সমাধান ক্বোরআন আর সুন্নাহের মাঝে নেই।
এ থেকে বাঁচার পথ উন্মুক্ত। কিন্তু, আমরা যে পথ বেছে নিয়েছি তাও শয়তানেরই শিখানো।
সচরাচর আমরা টিপ, তাবিজ, সুতো, গাছের ডাল ইত্যাদি শিশুর শরীরে বেঁধে দিই।
যা শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
তাবিজ বা ঝুলানো কিছু ব্যবহার করা ভয়াবহ শির্ক। যা আমরা পূর্বে আলোচনা করেছিলাম এসো আল্লাহর পথে ব্লগে।
এবার প্রশ্ন তো একটা এসেই যায়। তা হলো, তাবিজ সুতো আর টিপ সহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি যদি ব্যবহার করা নিষিদ্ধ হয় তবে এর থেকে বাঁচবো কিভাবে????

সম্মানিত পাঠক, আমি পূর্বেই বলেছি এর সমাধান আমরা কোরআন আর সুন্নাহ থেকে খুঁজে নেবো।

বদনজর থেকে রোগীকে বাঁচাতে রাসূল সাঃ আমাদের কিছু দোয়া শিখিয়েছেন।
তন্মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী দোয়া টি আমরা উল্লেখ করছি।
এ দোয়া পড়ার মাধ্যমে আমরা বদ নজর সহ সকল ক্ষরিকারক প্রাণির হাত থেকে আল্লাহর ইচ্ছায় রক্ষা পাবো।


দোয়া টি হচ্ছেঃ-

আঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিও ওয়া হা-ম্মাহ, ওয়া মিন কুল্লি আইনিল লা-ম্মাহ। ( নিজের ক্ষেত্রে)

উইযুকুম বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিও ওয়া হা-ম্মাহ, ওয়া মিন কুল্লি আইনিল লা-ম্মাহ। ( একাধিক জনের ক্ষেত্রে। )

উচ্চারণ করতে অসুবিধে হলে আপনি এখান থেকে শুনে নিতে পারেন।

দোয়াটির অর্থ :-
আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি আল্লাহর পরিপূর্ণ কথাসমূহের, সকল শয়তান থেকে সকল ক্ষতিকারক পোকামাকড় ও প্রাণি থেকে এবং সকল ক্ষতিকারক দৃষ্টি থেকে।

স্বয়ং রাসূল সাঃ তার দুই নাতীকে এই দোয়া পড়ে শোনাতেন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেন।
তিনি বলতেন, ইবরাহীম (আ:) এ বাক্যদ্বারা তার দু সন্তান ইসমাঈল এ ইসহাক (আ:) কে হিফাজাত করতেন।

বুখারী (৬৪-কিতাবুল আম্বিয়া, ১২ বাব- ইয়াযিফফুন) ৩/১২৩৩

সুতরাং,
মুসলিম মা ও বোনদের আহ্বান করবো ইসলামের পথে ফিরতে। শির্ক এর পথে না চলতে।
আসুন, আমরা শয়তানের পথ ছেড়ে আল্লাহর দেখানো পথে চলতে শুরু করি।
তিনি আমাদের সকল বালা মুছিবত থেকে আছান দিবেন ইনশাআল্লাহ।
প্রত্যেক পিতা-মাতার প্রতি উদার্ত আহ্বান জানাচ্ছি এই মর্মে,
আপনারা সকাল সন্ধ্যায় এই দোয়া গুলো পড়ে সন্তানদের শরীরে ফুঁক দিবেন আশাকরি।
আর সেই সাথে তাদের নিরাপত্তা প্রার্থনা করবেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে।
রাহমানুর রাহীম আমাদেরকে তার রহমতের ছায়া তলে আশ্রয় দান করুন।
আমীন।

শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৭

কালো জাদু ও তার প্রতিকার ( ভূমিকা পর্ব )



আসসালামু আলাইকুম। সম্মানীত পাঠকবৃন্দ, কেমন আছেন আপনারা? আমি আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীনের কুদরতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
পাঠকবৃন্দ, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্রামের পর টনক নড়লো বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা Black Magic বা কালো জাদু সম্পর্কে।
সময়ের পরিবর্তে এটি এতটাই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে যে, সামান্য ঝামেলায় জড়ালেই একে অপরকে ঠেকিয়ে দেওয়ার জন্য সরাসরি এই বস্তুর আশ্রয় গ্রহণ করে থাকে।
বর্তমানে রাস্তার ধারের অর্থাৎ ফুটপাতের বই বিক্রেতার কাছেও জাদু শেখার বই পাওয়া যাচ্ছে।
আর ইউটিউব সহ ব্লগ আর ফোরামেও এই নিয়ে একদল দুষ্কৃতিমনা ব্যক্তি কাজ করে যাচ্ছে।


সময়ের ব্যবধানেই এর প্রচার প্রসার ঘটছে তড়িৎ গতিতে।
এই কালো জাদু কি আজ নতুন কোন জিনিষ??
আর নেই কি এর কোন প্রতিকার??
আজ আমি আপনাদের এর শারয়ী সমাধান দেখাবো।
তারপূর্বে এ ব্যাপারে একটু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো...

কারা জাদু করে?

কিভাবে করে?

যদি কাউকে জাদু করা হয় তবে কি কি ক্ষতি হতে পারে?

জাদুগ্রস্থ হলে তা বোঝার উপায় কি??

এটা ইসলামী শরীয়তে বৈধ কি-না??

এবং

জাদুর শারয়ী প্রতিকার।

এই ৬টি পয়েন্টের উপর সংক্ষেপে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ
আপনাদের সুবিধার্থে পুরোটা একবারে না লিখে পর্ব আকারে লিখতে যাচ্ছি...!!
আশাকরি আপনারা ধৈর্য সহকারে এই বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করবেন।
আর তা দ্বারা নিজেদের এবং সমাজের জাদুগ্রস্থ ব্যক্তিদের উপকার করবেন ।।



শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৭

বিজ্ঞান ও নাস্তিকতা

আজ আমরা বিজ্ঞানের আলোকে দেখব, কোন কিছুর পেছনে সৃস্টিকর্তার প্রয়োজন আছে কি-না??
এবং নাস্তিকেরা যে যুক্তি প্রদান করে তা সঠিক কি না??? 


.
আমরা জানি, নাস্তিকেরা বিজ্ঞান মনষ্ক।
তাই আসুন তাদের দেওয়া যুক্তি বিজ্ঞানের আলোকে তুলনা করি।
এ ব্যাপারে আমরা rational method অনুসরন করব।
.
র‍্যাশনাল পদ্ধতি হলোঃ-
যা দ্বারা মানুষ তার চারপাশের বস্তুসমুহকে তার ইন্দ্রিয় দ্বারা উপলব্ধি করে।
সেই বস্তু সম্পর্কে তার কাছে কিছু
Previous information থাকে। সেই previous information কে ব্যাবহার করে সে কোন বিষয়ে
সিদ্ধান্ত নেয়। সব মানুষই এই পদ্ধতিতে চিন্তা করে থাকে।
Scientific method আর logical method
কে rational method এর শাখা বলা যেতে পারে।
.
মানুষ কিভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহন করে, তার একটা উদাহরণ দেই,
যখন আপনার দরজায় কেউ knock করে, তখন আপনি কিন্তু মাপতে বসেন না যে, কত frequency তে
Sound wave টা আসলো, তারপর হিসাব করেন না যে একজন মানুষ কত জোরে বা কত
Frequency তে আঘাত করতে পারে….
তারপর দরজা খোলেন???
নাহ্‌,
আমরা কেউই এইভাবে সিদ্ধান্ত নিইনা। বরং দরজায় knock করলে তা আমরা ইন্দ্রিয় (শ্রবণ) দ্বারা
উপলব্ধি করি।
আমাদের মস্তিষ্কে এর ব্যপারে previous information আছে যে, knock করা মানে কেউ এসেছে,
এবং তখন আমরা দরজা খোলার সিদ্ধান্ত নিই।
তার মানে দাঁড়ায় যে, rational method এ সিদ্ধান্ত
গ্রহণ করতে নিম্নোক্ত জিনিষ সমূহ লাগে।
আর তা হল ঃ-
১. বাস্তবতা
২.ইন্দ্রিয় দ্বারা বাস্তবতাকে উপলব্ধি করা
৩.বাস্তবতা সম্পর্কে previous information
4. Previous information এর সাথে link করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অর্থাৎ sound mind…
.
প্রশ্ন আসতে পারে স্রষ্টার কোনো বাস্তবতা আমাদের সামনে নেই যে আমরা তাকে ইন্দ্রিয় দ্বারা
উপলব্ধি করবো, তাহলে স্রষ্টার অস্তিত্ব এই পদ্ধতিতে বুঝবো কিভাবে?
জ্বি, আমিও এই ব্যাপারে দেখাব স্রস্টার কোন অস্ত্বিত্ব আমরা দেখতে পাই কি-না???
.
আপনার দরজায় নক করলে আপনি দরজার বাইরে কারো অস্তিত্ব বুঝতে পারেন, কিন্তু যিনি নক করছে
, তিনি কি পুরুষ না মহিলা, ফর্সা নাকি কালো তা কিন্তু বুঝতে পারেন না।
তবে তার অস্তিত্ব বোঝা যায়।
আমাদের সামনে স্রষ্টার বাস্তবতা না থাকলেও সমস্যা নেই।
আমাদের চারপাশে যে বস্তুসমুহ আছে,
যাদেরকে আমরা ইন্দ্রিয় দ্বারা উপলব্ধি করতে পারি, চলুন সেগুলোকে rational study করে দেখি।
আমরা আমাদের আশপাশের প্রকৃতিকে পর্যবেক্ষণ করবো, এবং দেখব আদৌ কোন স্রষ্টার প্রয়োজন
আছে কিনা?
এখানে মনে রাখতে হবে এই পদ্ধতিতে আমরা দেখব মহাবিশ্বের স্রষ্টা আছে কিনা?
কিন্তু তিনি দেখতে কেমন, কিভাবে কাজ করেন তা rationally জানা সম্ভব নয়।
কারণ উনি
আমাদের ইন্দ্রিয়ের বাইরে, তাঁকে জানার উপায় একটাই, আর তা হল উনি যদি নিজে থেকে
আমাদেরকে জানান।(আগের পোস্টে আমরা তাঁর আকার আকৃতি তাঁর নিজ কথা অর্থাৎ কোরআন
থেকে প্রমান করেছি।
কারোও দেখার ইচ্ছা থাকলে তা দেখে নিতে পারেন।)
.
আমাদের চারপাশের প্রত্যেকটি বস্তুর মধ্যেই ২ টি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।
এরা প্রত্যেকেই সীমাবদ্ধ এবং
নির্ভরশীল।
যেমনঃ- গাছ আকার আকৃতি দ্বারা সীমাবদ্ধ এবং নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য সূর্য,
পানি এগুলোর উপর নির্ভরশীল।
মানুষ নানা দিক দিয়ে সীমাবদ্ধ এবং নির্ভরশীল।
আলো তরঙ্গদৈর্ঘ্য
গতি দ্বারা সীমাবদ্ধ, নির্ভরশীল উৎস কিংবা রুপান্তর প্রক্রিয়ার উপর।
প্রত্যেকটি বস্তু নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য অন্য কিছুর উপর নির্ভরশীল এবং এরা কেউই
নিজেরা নিজেদের অস্তিত্তের জন্য দায়ী নয়।
যদি নিজেরা নিজেদেরকে অস্তিত্তে আনত
তাহলে সীমাবদ্ধতা আর দুর্বলতার উর্ধ্বে থাকতো।
যদি ধরে নিই যে, নির্ভরশীলতার দিক থেকে একে অপরের উপর নির্ভরশীল এবং কোনো
স্রষ্টার দরকার নেই, তাহলে আদিকাল থেকে চলে আসা ঘটনা বা বস্তুসমুহের স্বরূপ দাঁড়ায়,
(Y<--X<--X <--X) অর্থাৎ কোন শুরু ছাড়াই অনন্তকাল থেকে এক বস্তু অন্য বস্তুর উপর
নির্ভর করে বেঁচে আসছে।
একটার পর অন্য আরেকটায় রুপান্তরিত হচ্ছে, এবং অনন্তকাল
পর্যন্ত তা হতে থাকবে। আমরা ঘটনাক্রমে Y তে আছি।
এটা অসম্ভব।
কারণ কোন শুরু না থাকলে, v, w, x, y এদের কারো অস্তিত্তে আসা সম্ভব নয়।
.
একটা উদাহরণ দেই,
আপনি একটা ক্রিকেট দলের ১০ নাম্বার ব্যাটসম্যান।
আপনি নামবেন ৯ জনের পর।
আপনি কোনো দলের ১০০ তম ব্যাটসম্যান হলে নামবেন ৯৯ জনের পর।
আপনার দলে যদি অসীম
সংখ্যক ব্যাটসম্যান থাকে, তাহলে আপনি কবে নামবেন???
.
কখনই নামবেন না, কারন আপনার পূর্বে অসীম সংখ্যক ব্যাটসম্যান আছে।
আপনার পরেও অসীম
সংখ্যক ব্যাটসম্যান আছে।
(অর্থাৎ আপনার জন্য শুরুও নেই, শেষ ও নেই)...
আপনার আগেরজনের
পূর্বেও অসীম সংখ্যক, তার আগের জনের পূর্বেও অসীম সংখ্যক............
সুতরাং কোন ব্যাটসম্যানই নামতে পারবেনা, কারণ প্রত্যেকের পূর্বেই আছে অসীম সংখ্যক......
অর্থাৎ কোনো শুরু যদি না থাকে তাহলে কেউই exist করতে পারবে না।
অসীম এই শব্দটা শুধু mathematical ব্যপারে ব্যাবহার করা হয়।
বাস্তবতায় কোন কিছুই অসীম
নয় (আমাদের চেনা বাস্তবতায়)।
সুতরাং একটা শুরু আছে।
আরেকটা সহজ উদাহরণ দেই, আপনাকে যদি বলি ১০ থেকে শুরু করে ৯৯ পর্যন্ত য় আসেন,
আপনি গনণা করতে পারবেন।
কিন্তু যদি বলা হয়, অসীম থেকে শুরু করে ৯৯ পর্যন্ত গনণা করেন।
it’s impossible ….. আপনি শুরুই করতে পারবেন না এবং ৯৯ তেও আসতে পারবে্ন না।
৯৯ তে আসতে হলে শুরু আপনাকে করতেই হবে।
সুতরাং মহাবিশ্বের শুরু আছে, এবং
সে নিজে নিজে তা শুরু করেনি।
.
নাস্তিকদের যুক্তিঃ-
তারা বলছে z<--y<--x<--w<--v<--z অর্থাৎ এটা একটা বৃত্তাকার চক্র।
অর্থাৎ Z থেকে শুরু হয়ে আবার Z এ এসে মিশেছে এবং Z হল INITIATOR.
অর্থাৎ চক্রটাকে ছোট করলে হয় যে Z<--> Y….(প্রথম আর শেষ বস্তু)...
সুতরাং
Z, Y এর উপর নির্ভরশীল, আর y, z এর উপর নির্ভরশীল।
কিন্তু Z না থাকলে তো
Y existence এ আসতে পারেনা।
আবার Y না থাকলে Z আসতে পারেনা।
তাহলে হয় দুইজন একইসাথে exist করে অথবা দুইজনই তাদের অস্তিত্বে আসার
জন্য এই বৃত্তের বাইরে তাদের কোনো স্রষ্টার উপর নির্ভরশীল।
দুইজন একসাথে exist করলে সমস্যা আছে।
তাহলে পৃথিবীর তথা মহাবিশ্বের সব
ঘটনাকে একসাথে exist করতে হবে...
অর্থাৎ আমি , আমার দাদা, আমার দাদার দাদার দাদার দাদা,
আমার নাতি, আমার নাতির নাতির নাতি সবাইকে একসাথে exist করতে হবে। কিন্তু আমরা
বাস্তবতায় এটা দেখিনা।
উপরন্তু Z যেহেতু Y এর উপর নির্ভরশীল, সেহেতু Y এর এমন কিছু
বৈশিষ্ট্য আছে যা INITIATOR Z এর নেই। তার মানে Y তার অস্তিত্বের জন্য Z এর উপর নির্ভরশীল নয়।
#বিবর্তনবাদ এই পয়েন্টে যুক্তিহীন প্রমানিত হয়।
একইভাবে Z এর কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যার কারণ Y নয়। তাই Z ও Y এর উপর নির্ভরশীল নয়।
এরা প্রত্যেকেই এদের অস্তিত্তের জন্য এদের চক্রের বাইরের কারো উপর নির্ভরশীল।
.
সুতরাং মহাবিশ্ব নিজেকে নিজে অস্তিত্তে আনেনি, এবং এর পুরো অস্তিত্ব অন্য কারো উপর নির্ভরশীল।
অর্থাৎ মহাবিশ্বের অবশ্যই একজন স্রষ্টা আছে এবং সেই স্রষ্টা মহাবিশ্বের উপর dependent নন,
কারণ তাহলে তিনিও চক্রের মধ্যে ঢুকে পড়েন এবং তিনিও অস্তিত্তের জন্য অন্যের উপর নির্ভরশীল
হয়ে পড়েন। সুতরাং মহাবিশ্বের অস্তিত্তের জন্য একজন স্রষ্টা থাকা অপরিহার্য।
স্রষ্টা ছাড়া মহাবিশ্বের সৃষ্টি অসম্ভব.
.
বিজ্ঞানের এই বর্ণনা হতে আমরা আজ স্রস্টার প্রমান পেলাম।
সুতরাং একজন স্রস্টা অবশ্যই আছে।
এর দ্বারা আমরা আবারোও প্রমানিত করলাম যে , নাস্তিকেরা যেই যুক্তি
দিয়ে সৃস্টিকর্তা নেই বলে প্রমাণ করে তা বিজ্ঞান অনুযায়িও ভুল...
সুতরাং নাস্তিকতা করার কোন অপশন অন্তত বিবেকবোধ সম্পন্ন মানুষের নাই, থাকতেও পারে না।
সত্য উন্মুচিত হবার পোরেও যারা অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে, তাদেরকে মানষিক রোগি ছাড়া অন্য কিছু বলে বিবেচনা করার
সুযোগ নাই।
.
পরিশেষে সকল কে উদার্ত আহ্বান জানাব , সেই সৃস্টিকর্তার পথে ফিরে আসতে।
তাঁর নাযিল কৃত বিধানের প্রতি ফিরে আসতে।
যার মধ্যেই রয়েছে আমাদের জন্য উত্তম সফলতা।

Facebook:- Ayub Ansary

বৃষ্টি শেষে নীল আকাশ


বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৭

পদ্মার বুকে সন্ধ্যার আকাশ


ফেসবুক কভার ফটো কালেকশন


শুকনো পাতার উপর বৃষ্টির ফোটা


বাবুই পাখির বাসা


বাবুই পাখির বাসা

 










গ্রামে মাছ ধরার এক অপরূপ দৃশ্য

গ্রামের পথের ধারের নালায় মাছ ধরছেন এক কিশোর

পদ্মার বুকে সূর্যাস্ত

গোধূলী লগনে পদ্মার বুকে ঢলে পড়া সূর্যের বিদায়ী হাসি। 



রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৭

চট্টগ্রাম ভ্রমণ



২০৪১ সাল।
সকলপ্রকার কর্ম ছেড়ে একেবারে বেকার জীবনযাপন করছি। অন্যের অধীনস্থ কাজ করার স্পৃহা একদম নেই।
ক্যামেরা টা নিয়ে এদিক ওদিক ঘুরেফিরে বাংলার রূপ যৌবন দেখে বেড়ালাম কিছুদিন। এরপর ভাবলাম কিছু একটা করা দরকার।
কলেজ জীবনে একবার সাংবাদিকতার উপর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। ভাবলাম সাংবাদিকটাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করি। এতে আমার
একইসাথে মনের শখ আর জীবিকা দুটোই ঠিকঠাক চলবে।
একপর্যায়ে নিজ উদ্দোগে অনলাইন নিউজ পোর্টাল খুললাম। নিয়োগ দিলাম আমার কিছু বেকার বন্ধুদেরকে। ওদের তেমন একটা
মাইনে দিই না।
নাহ! এতেও চলছে না। মন বসছে না কিছুতেই। যারা টিভি চ্যানেল পরিচালনা করে তাদের দিকে তাকালে আমার বর্তমান কাজগুলোকে
কাজই মনে হয় না।
আর দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিকদের দিকে তাকালেই তো হিংসে হয়।
তবুও শখ হিসেবে চালিয়ে যাচ্ছি রিপোর্ট সংগ্রহের কাজ। এমন সময় দেশের পূর্বাঞ্চল প্লাবিত হলো।
চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলের অবস্থা বেহাল। এরই মাঝে কয়েকটা গ্রামের অবস্থা এক্কেবারে শংকাজনক।
কোনদিন চট্টগ্রাম যাওয়া হয়নি। বাবার মুখে শুনেছিলাম চট্টগ্রামের রূপের বর্ণনা। যেখানে উত্তরবঙ্গের মানুষেরা সামান্য মাটির ঢিঁবি দেখলেই
তার সাথে আত্মিয়তা শুরু করে সেখানে আকাশছোঁয়া পাহাড়ের কথা শুনলেই কেমন যেন ভাললাগা কাজ করে।
ছুটলাম ওদিকে...
গাড়িতে গেলাম কিছুদূর। তারপর দেখি রাস্তাঘাট অচল।
আমি একটা নৌকায় উঠলাম। নৌকার মাঝি ঝিম মেরে বৈঠা ধরে বসে আছে। হয়তো দু-একজন যাত্রীর জন্যই অপেক্ষা করছেন ।
আরও দুজন মানুষ উঠলো। নৌকা ছাড়ছে না! আমার ভালই উপলব্ধী হচ্ছে। কি প্রশস্ত নদী!
কি মনোরম চতুর্দিক। তারমাঝে আবার ঝিরিঝিরি হাওয়া। আনমনে প্রকৃতির সাথে কথা বলছিলাম।
আচমকা ভটভট শব্দ কানে আসলো। অনেকটা ভয় পেয়ে এদিকওদিক তাকালাম। নৌকায় অনেক যাত্রী উঠেছে।
নৌকা চলছে...
নৌকার নাম সাম্পান আর নদীর নাম কর্ণফুলী।
কর্ণ মানে যদি কান হয় তবে কর্ণফুলী মানে তো কানের ফুল হবার কথা। কোন কালে গাঁয়ের বধুর কানের ফুল এই নদীর জলে হারাবার ফলে
নদীর নাম কর্ণফুলী হয়েছে কি-না আমার জানা নেই।
মাঝি পাশের লোকদের সাথে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলছে অনর্গল; আমি তার সিঁকিও বুঝছিনা।
কানাকানিতে বুঝতে পারছি আমাকে নিয়ে কথা হচ্ছে। চট্টগ্রামের মানুষ নিজেদের আঞ্চলিকতা নিয়ে খুব গর্ব করে। তাচ্ছিল্যের স্বরে আমাদের মতো
বহিরাগত মানুষদের বলে বহিঙ্গা। আর নিজেদের বলে চুইঙ্গা।
এখানেও আমাকে বহিঙ্গা বলছে ফিসফিস করে। ভাবলাম, হয়তো এই "ইঙ্গা" থেকেই রোহিঙ্গা নামের উৎপত্তি। অদ্যকার লোকেরা সম্প্রদায়ের
নামের সাথে "ইঙ্গা" কেন লাগায় তা আল্লাহ মালুম!
তখন ছিলো সন্ধ্যাবেলা। লোকজনের গোলমাল শুনে অনেকটা শঙ্কাও হচ্ছিলো। হটাৎ মনে পড়লো মহাকবি আলাওলের কথা। ইতিহাস থেকে আমরা জানি এই এলাকাতে
জলদস্যু আছে। তবে আজ তো সেই যুগ আর নেই। তবুও ভয় হচ্ছিলো। আমার বুকে একটা ব্যাজ বাঁধা ছিলো, সেখানে আমার পরিচয় লিপিবদ্ধ ছিলো।
কানাকানিতে কেউ কেউ আমাকে পুলিশ বলে সম্বোধন করছে। মনোবল ফিরলো একটু করে। চোখ লেগে আসছিলো, এমন সময় দেখা মিললো চাঁদ মামার।
চাঁদের আলোকচ্ছটা কিছুটা নদীর জলে পড়েছে। হালকা আভায় সেটাকে একটা মুক্তো মনে হচ্ছে, সে কি লোভনীয়।
মনের অজান্তেই চাঁদকে ছোঁয়ার জন্য পানিতে নামতে গেছিলাম। এক পা পানিতে পড়ার সাথে সাথেই এক ঝলক পানি লাগলো গায়ে।
পাশের লোকজন বলতে লাগলো , এ-কি করছেন স্যার?
আমি উঠে দাঁড়িয়ে নিজের হুঁশ ফিরালাম। উপস্থিত লোকজনের মন মানষিকতা দেখে বুঝলাম ওরা আমাকে যথেষ্ট সম্মান করছে। মাঝবয়সী একটা ছেলে আমাকে বলছে,
আপনার বুঝি চোখ লেগে আসছে। দাঁড়ান পানি দিচ্ছি।
কথা শুনে মনে হচ্ছিলো ছেলেটা শিক্ষিত বটে। হাতে একটা পানির বোতল দিয়ে বললো , স্যার! এই নিন আপনার পানি।
- এ-কি! দেখছি তো বিশুদ্ধ খাবার পানি।
ঃ- সরকার তো আমাদের দিকে তাকায় না। আমরা যদি সরকারের লোকদের একটু সেবা করতে পারি তবেই শান্তি মিলবে মনে।
( দেখছি ওরা আমাকে সরকারের কথা শোনাচ্ছে। দূর্গতদের মাঝে সরকার প্রচুর ত্রাণ সরবরাহ করেছে। তবে কি ওনাদের মাঝে এখনো পৌঁছায়নি!)
ভাবতে ভাবতে নৌকার একপাশে গিয়ে হাত নদীর জলে ঠেকিয়ে জল উঠিয়ে চোখমুখ ধুয়ে নিলাম।
এবার পানির বোতল খুলে এক গাল পানি নিয়ে বোতল টা ওর হাতে দিলাম।
চতুর্দিক ঘনকালো ছায়ায় ঢেকে গেলো। ঝড় উঠলো মাঝ নদীতে। মনে মনে দোয়া দরূদ পাঠ করতে শুরু করলাম।
এখন আমি কোথায় আছি? কোনদিকে মুখ ফিরিয়ে তাকিয়ে আছি তার কিছুই বুঝছি না।
নাহ! আমি কারো গল্পেও অংশ নিতে পারছিনা। ওনাদের ভাষা আমার বোধগম্য নয়। মনে হচ্ছে আমি কত্তগুলো ভূতের সাথে আছি।
এমন সময় শূকতারা দেখা দিলো। একটু পরেই ভোর আকাশে সূয্যিমামা হাসিমুখে উদিত হয়েছে।
তার হাসির কিছু অংশ পড়েছে কর্ণফুলীর পানিতে।
যেদিকে তাকাই সেদিকেই শুধু জল আর জল। ওরা দূর গগণের সাথে মিলে গেছে।
 কি অপরূপ দৃশ্য! ভাবছি, যদি এভাবেই কর্ণফুলীর বুকে বাঁকি জীবন ভেঁসে বেড়াতে পারতাম।
এমন সময় কে যেন বলে উঠলো , অল্প সময়ের মাঝে নৌকা থামবে। যদিও ওনাদের আঞ্চলিক ভাষায় বলছিল।
টের পেলাম এমন কিছুই বলছিলো ওরা। ঐতো দেখা যাচ্ছে, দূর থেকেই দেখা যাচ্ছে দুর্যোগ কবলিত গ্রামগুলো। দেখতে দেখতে নৌকা ঘাটে ভিড়লো।
হুড়োহুড়ি করে ঘাটে নামছে সবাই। সবার শেষে আমি নামলাম, দেখা হলো কিছু মানুষের সাথে।
জানতে চাচ্ছিলাম তাদের পরিস্থিতি। হায়! আমি মানুষ নাকি এলিয়েন?
আমি দূর কোন দেশে ঢুকে পড়িনি তো! স্বপ্ন দেখছি নাকি বাস্তব!
উফফ! আমার কথা কেউ কেউ বুঝলেও আমি কারো কথাই বুঝছি না। যা হোক, তাদের সাক্ষাৎকার না নিতে পারলেও অন্তত তাদের চলাফেরা দেখে একটা রিপোর্ট তৈরি করতে
পারবো।
ঢাকা থেকে রওণা হয়েছিলাম দুইদিন আগে। গত সন্ধ্যায় নৌকায় উঠার আগে কর্ণফুলীর তাজা ইলিশ দিয়ে দুমুঠো ভাত খেয়ে এসেছিলাম।
কিন্তু, জানতাম না যে আমাকে ইলিশ খাওয়ানো হয়েছে। খাওয়ার পরে জানতে পারলাম আমি ইলিশ খেয়েছি।
একবার বাড়ি থেকে কলেজে যাওয়ার পথে দৌলতদিয়া ঘাটে ইলিশের গন্ধে বমি করেছিলাম। যতই ভাল করে রান্না করুক না কেনো আমি কখনো ইলিশের ঘ্রাণ সহ্য করতে পারিনি।
অনেকেই আমাকে তিরস্কার করে বলতো আমি নাকি বাঙ্গালী না।
ইলিশ খেয়েছি ভাবতেই মাথার মাঝে কেমন জানি করে উঠলো।
উয়াক! উয়াক! বমি করলাম আবারো। অথচ সারারাত কিছুই হয়নি। যেহেতু আমার সাথে কারো কথা হচ্ছেনা এখানকার সেহেতু একা একা ক্যামেরা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করছিলাম।
এমন সময় নৌকার সেই ছেলেটির দেখা মিললো। যদিও আমি ওর দিকে খেয়াল করিনি।
আমাকে স্যার বলে সম্বোধন করলো। আর আমি সুযোগ বুঝে আমার মনের কথাগুলো খুলে বললাম। ও একটু মুচকি হেসে বললো, সমস্যা নেই আমি আপনার ডাবিং মেশিনের কাজ
করে দেবো।
দেখছিলাম ওনাদের দুঃখ কষ্টগুলো। এদিকে প্রতিবেদনগুলো পাচার করছিলাম ইথারনেটে।
এই এলাকায় অন্য কোন প্রতিবেদক আসেনি, তাই আমার ডাক আসলো সমস্ত চ্যানেল থেকে।
ছেলেটা আমাকে নিয়ে সবকিছু ঘুরেঘুরে দেখাচ্ছিলো। একটা সময় আমি ওনাদের আপন হয়ে উঠলাম।
সন্ধ্যা লাগার উপক্রম! ভাবলাম রওণা দেবো ঢাকার পথে।
এমন সময় কয়েকজন প্রবীণ আমাকে ডেকে অভিযোগ জানালো তাদের খাবার সংকট চলছে। আমাকে সরকারী দলের লোক ভেবে বললো ত্রাণের ব্যবস্থা করতে।
আমি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে জানলাম ঐ এলাকার জন্য প্রচুর ত্রাণের বাজেট ছিলো। আর তা হস্তান্তরও হয়েছে।
হতচকিয়ে উঠলাম! এত্ত এত্ত বাজেট, এসব গেলো কৈ?
আরো ত্রাণের আবেদন করলাম।
রাত হয়েছে! এলাকার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে থাকার আমন্ত্রণ জানালো।
পরদিন দুপুর নাগাদ আসলো ত্রাণ সামগ্রী।
এলাকার চেয়ারম্যানের সহায়তায় তা বিলিয়ে দিলাম সবার মাঝে। আমার যাবার বেলা হয়েছে।
হটাৎ শুনছি পানি বেড়েছে নদীতে। নৌকা চলবে না আগামী তিন দিন।
এই জায়গাতে আমার একটুও মন বসছিলো না। বাধ্য হলাম থাকতে। শুনলাম নৌকা চলছে...
আমার বিদায়ের ক্ষণ এসেছে। সবকিছু গুছিয়ে চলেছি ঢাকার পথে। অনেকদিন হলো ঢাকার ব্যস্ত রূপ দেখিনা।
শহরের যান্ত্রিক ব্যস্ততা হাতছানি দিয়ে ডাকছে আমায়।
পথ আগলে বসেছে এলাকার সবাই। আমারো অনেক মায়া জমেছে ওদের উপর।
যেতে ইচ্ছে করছেনা একদম। তবুও পা রাখলাম নৌকার চাটায়। পেছনে ফিরে দেখি সবাই পিছুপিছু এসেছে ঘাটে আমায় বিদায় জানাতে।
নৌকা চলছে, আমি তাকিয়ে আছি ঘাটের দিকে। চলে এসেছি অনেক পথ ছাড়িয়ে, তাকিয়েই আছি ঘাটের দিকে।
আবছা চোখেও দেখছি লোকগুলো আমার পানে তাকিয়ে আছে ।।

শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০১৭

Untitled

ঃ-দাদাভাই...। কেমন আছ ?
ঃ- দাদাভাই, দিদির উপর রাগ করেছ ?
( ম্যাসেজ টি ছিল কলিকাতা'র একটা মাসিক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদীকার। দীর্ঘদিন অফলাইনে ছিলাম । অনলাইনে আসতাম মাত্র ২/৩ জনের সাথে ম্যাসেজিং করার জন্য । অনেক ম্যাসেজ জমা থাকতো। শুধু নির্দিষ্ট কজন এর ম্যাসেজের দিকেই তাকাতাম।
আজ হটাৎ করেই দিদি'র ম্যাসেজ পেয়ে হতবাক হলাম )
- দিদি !! কি বলেন এসব!! আমি কেন রাগ করবো? অনলাইনে ছিলাম না বলে রিপ্লে দিতে পারিনি। আপনি কেমন আছেন ?
ঃ- সৃষ্টিকর্তার কৃপায় ভাল আছি। তুমি কি কোন কাজে খুব ব্যস্ত ?
- ব্যস্ততা তো আমাদের সবার নিত্যসঙ্গী । তবে আমাদের পরিক্ষা নিয়ে ব্যস্ততা একটু বেশিই। আর সেই সাথে একটু একটু অসূস্থও ছিলাম । সব মিলিয়ে এখন সূস্থ এবং স্বাভাবিক আছি ।
ঃ- আমি কিছুদিন ধরেই তোমার শূণ্যতা বোধ করছিলাম । দুটো সংখ্যা প্রকাশ হলো , কিন্তু সেখানে তুমি নেই ।
ব্যস্ততা থাকবে জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত।
বিচলিত না হয়ে আবারোও লেখালেখিতে ফিরে আসো।
- দিদি, ফেসবুকে কি লিখব?
ঃ- ফেসবুকে লিখতে হবে না। লিখবা অন্য উদ্দেশ্য নিয়ে আর সেটা ফেসবুকেও দিবা। এতে অন্তত একজন হলেও পড়বে।
আগ্রহ উদ্দীপনা দিবে।
- ঠিক আছে । এখন থেকে তাহলে এখানেও পোস্ট করবো।
ঃ- অবশ্যই করবা। আর সেইসাথে আগামী সংখ্যায় তোমার লেখা অবশ্যই থাকা চাই ।
- ঠিকাছে দিদি। আশীর্বাদ করতে ভুলবেন না।
ঃ- প্রাণ ভরে আশীর্বাদ করবো ।
.
 আমার ভাবতেও অবাক লাগছে যে একজন সম্পাদীকা আমাকে এভাবে অনুপ্রেরণা প্রদান করছেন ।

রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

ওয়েব ডিজাইন শিখুন খুব সহজেই



আমরা যারা ওয়েব্ ডিজাইন শিখতে চাই তাদের জন্য এক বিশাল সুখবর। 
আমরা সবাই চেষ্টা করি কোন IT center এ গিয়ে ওয়েব ডিজাইন শিখতে। 
কিন্তু বর্তমানে IT center গুলো খুব প্রোফেসনাল হয়ে গেছে। 
তাই আপনি যদি নিজে নিজে ওয়েব ডিজাইন শিখতে চান তাহলে আজ একটা ওয়েবসাইট এর ঠিকানা দিচ্ছি যেখান থেকে আপনি নিজে নিজে ওয়েব ডিজাইন শিখতে পারেন। 
আমার দেখা সবচেয়ে ভাল একটা ওয়েবসাইট। 
এখানে রয়েছে অনেক tutorial যা দেখে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারেন। 
এখানে সব tutorial বাংলা করা। তাই আপনি খুব সহজেই ওয়েব ডিজাইন এর অনেক কিছু শিখতে পারেন। 
এখানে রয়েছে CSS, HTML, PSD to HTML, WordPress, PHP সহ অনেক কিছুর বাংলায় tutorial। 
আমিও অনেক কিছু এখান থেকে শিখেছি এবং এখনো শিখছি।

ওয়েবসাইট rrfoundation.net  

আহলে হাদীস যুবসংঘের সংক্ষিপ্ত পরিচয়!

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম।
"কুল হা-যিহী সাবীলী আদ'ঊ ইলাল্লা-হি 'আলা বাছীরাতিন আনা ওয়া মানিত্তাবা'আনী; ওয়া সুবহা-নাল্লা-হি ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন"।
অর্থঃ বলুন ইহাই আমার পথ। আমি ও আমার অনুসারীগণ ডাকি আল্লাহর দিকে জাগ্রত জ্ঞান সহকারে। আল্লাহ পবিত্র এবং আমি অংশীবাদীদের অন্তর্ভুক্ত নই। (সুরা ইউসুফ-১০৮)


'আহলেহাদীছ' অর্থ কুরআন ও হাদীছের অনুসারী। দুনিয়ার মানুষকে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের মর্মমূলে জমায়েত করার জন্য ছাহাবায়ে কেরামের যুগ হতে চলে আসা নির্ভেজাল ইসলামী আন্দোলনই 'আহলেহাদীছ আন্দোলন'। 'আহলেহাদীছ' কোনো মাযহাব বা মতবাদের নাম নয়; এটি একটি পথের নাম। সে পথ আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ অহি-র পথ; পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের পথ। ছাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈনে ইযাম ও সালফে ছালেহীন সর্বদা এ পথেই দাওয়াত দিয়ে গেছেন। মানুষের ধর্মীয় ও বৈষয়িক জীবনের যাবতীয় হেদায়েত এ পথেই মওজুদ রয়েছে। 'আহলেহাদীছ আন্দোলন সেই পথেই ডাকে। এই আন্দোলন মুমিনের ইহকালীন মঙ্গল ও পরকালীন মুক্তির আন্দোলন।
সংগঠনের নামঃ
বাংলাতে- বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ
আরবীতে- জমঈয়তে শুব্বানে আহলিল হাদীছ বাংলাদেশ
ইংলিশ- Bangladesh Ahlehadeeth Youth Association
প্রতিষ্ঠাকালঃ ৫ই ফেব্রুয়ারী ১৯৭৮ খৃঃ, রবিবার
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
নির্ভেজাল তাওহীদের প্রচার ও প্রতিষ্ঠা এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে কিতাব ও সুন্নাতের যথাযথ অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জন করা। আক্বীদা ও আমলের সংশোধনের মাধ্যমে সমাজের সার্বিক সংস্কার সাধন আহলেহাদীছ আন্দোলনের সামাজিক ও রাজনৈতিক লক্ষ্য।
মূলনীতিঃ বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘের প্রধান মূলনীতি ৫টি।
১. কিতাব ও সুন্নাতের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা
( এর অর্থ- পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে বর্ণিত আদেশ-নিষেধকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া এবং তাকে নিঃশর্তভাবে ও বিনা দ্বিধায় কবুল করে নেওয়া ও সে অনুযায়ী আমল করা)
২. তাক্বলীদে শাখছী বা অন্ধ ব্যক্তিপূজার অপনোদন
( তাক্বলীদ অর্থ- শারঈ বিষয়ে বিনা দলীলে কারো কোনো কথাকে চোখ বুঁজে মেনে নেওয়া। তাক্বলীদ দু'প্রকার- জাতীয় ও বিজাতীয়। জাতীয় তাক্বলীদ বলতে ধর্মের নামে মুসলিম সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন মাযহাব ও তরীকার অন্ধ অনুসরণ বুঝায়। বিজাতীয় তাক্বলীদ বলতে বৈষয়িক ব্যাপারের নামে সমাজে প্রচলিত পুঁজিবাদ, সমাজবাদ, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ প্রভৃতি বিজাতীয় মতবাদের অন্ধ অনুসরণ বুঝায়)
৩. ইজতেহাদ বা শরী'আত গবেষণার দুয়ার উন্মুক্তকরণ
( ইজতিহাদ অর্থ- যুগ-জিজ্ঞাসার জওয়াব পবিত্র কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহ হতে বের করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো। এই অধিকার ক্বিয়ামত পর্যন্ত সকল যুগের সকল যোগ্য আলেমের জন্য খোলা রাখা)
৪. সকল সমস্যায় ইসলামকেই একমাত্র সমাধান হিসেবে পরিগ্রহণ
( এর অর্থ- ধর্মীয় ও বৈষয়িক জীবনের সকল সমস্যায় ইসলামকেই একমাত্র সমাধান হিসেবে গ্রহন করা)
৫.মুসলিম সংহতি দৃঢ়করণ
( এর অর্থ- পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আদেশ-নিষেধকে নিঃশর্তভাবে মেনে নেওয়ার ভিত্তিতে মুসলিম ঐক্য গড়ে তোলা এবং মুসলিম উম্মাহর সার্বিক স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া )
উপরোক্ত লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও মূলনীতি সমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে 'বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ' চায় এমন একটি ইসলামী সমাজ, যেখানে থাকবেনা প্রগতির নামে কোনো বিজাতীয় মতবাদ; থাকবেনা ইসলামের নামে কোনোরুপ মাযহাবী সংকীর্ণতাবাদ।
কর্মসূচীঃ
বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ- এর কর্মসূচী ৪টি। যথা- ১. তাবলীগ, ২. তানযীম, ৩. তারবিয়াত ও ৪. তাজদীদে মিল্লাত।
১. তাবলীগ বা প্রচারঃ
এ দফার করণীয় হলো, তরুণ ছাত্র ও যুবসমাজের নিকট নির্ভেজাল তাওহীদের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া। তাদেরকে যাবতীয় রকমের শিরক, বিদ'আত ও তাক্বলীদী ফির্কাবন্দীর বেড়াজাল হতে মুক্ত হয়ে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও খোলা মনে কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী নিজের জীবন ও পরিবার গঠনে উদ্বুদ্ধ করা। তাদের মধ্যে ইসলামের প্রকৃত জ্ঞান অর্জন এবং জীবনের সকল দিক ও বিভাগে উহার পূর্ণাঙ্গ অনুশীলনের দায়িত্বানুভূতি জাগ্রত করা।
২. তানযীম বা সংগঠনঃ
এ দফার করণীয় হলো, যেসকল যুবক নিজেদেরকে খাঁটি ইসলামী চরিত্রে গড়ে তুলতে এবং সমাজের বুকে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী জীবনবিধান কায়েমের আন্দোলনে অংশ নিতে প্রস্তুত, তাদেরকে এই সংগঠনের অধীনে সংঘবদ্ধ করা।
জনশক্তি স্তরঃ এ সংগঠনের জনশক্তি স্তর ৩টি। যথা- প্রাথমিক সদস্য, কর্মী ও কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সদস্য। অনধিক ৩২ বছরের যে সকল তরুণ ছাত্র ও যুবক ক) নিয়মিত ছালাত আদায় করেন খ) কুরআন ও সুন্নাহর সিদ্ধান্তকে বিনা শর্তে মেনে নেওয়ার স্বীকৃতি দেন গ) নির্ধারিত সিলেবাস অধ্যয়নপূর্বক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ঘ) সংগঠনের নির্দেশ পালনে প্রস্তুত থাকেন এবং ঙ) ব্যক্তিগত রিপোর্ট সংরক্ষনে রাযী থাকেন। তিনি নির্ধারিত ফরম পূরণের মাধ্যমে এই সংগঠনের 'প্রাথমিক সদস্য' হিসেবে গণ্য হবেন। এভাবে ধাপে ধাপে পরবর্তী স্তরে উত্তীর্ণ হবেন। এছাড়া শাখা, এলাকা, উপযেলা, যেলা ও কেন্দ্র এই পাঁচটি সাংগঠনিক স্তর রয়েছে।
৩. তারবিয়াত বা প্রশিক্ষনঃ
এ দফার উদ্দেশ্য, সংগঠনের অধীনে সংঘবদ্ধ যুবকদের নির্ভেজাল তাওহীদ ও ছহীহ সুন্নাহর আলোকে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে যিন্দাদিল মর্দে মুজাহিদ রুপে গড়ে তোলা এবং ধর্মের নামে প্রচলিত যাবতীয় কুসংস্কার ও জাহেলিয়াতের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুকাবিলায় ইসলামকে বিজয়ী করার মত যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মী তৈরি করার ব্যবস্থা গ্রহন করা।
৪. তাজদীদে মিল্লাত বা সমাজ সংস্কারঃ
এ দফার করণীয়, আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ অহি-র বিধান অনুযায়ী সমাজের বুকে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও অন্যায়ের প্রতিরোধের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো এবং এর মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সংশোধনের ব্যবস্থা করা। এ বিষয়ে আমরা নিম্নোক্ত তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিতে চাই--
(১) শিক্ষা সংস্কারঃ
(ক) দেশে প্রচলিত ধর্মীয় ও সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার দ্বি-মুখী ধারাকে সমন্বিত করে আমরা সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক একক ও পূর্ণাঙ্গ ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা চাই। যেখানে দেশের প্রচলিত বিভিন্ন ধর্ম ও ইসলামী মাযহাবী পাঠ্য বইসমূহ ঐচ্ছিক হিসেবে সিলেবাসভুক্ত হবে।
(খ) ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক শিক্ষার পরিবেশ অথবা একই প্রতিষ্ঠানে পৃথক শিফটিং পদ্ধতি চালু করে উভয়ের জন্য উচ্চ শিক্ষা ও পৃথক কর্মক্ষেত্র ও কর্মসংস্থান প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন করা যরুরী এবং
(গ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে যাবতীয় দলাদলি ও রাজনৈতিক ক্রিয়া-কলাপ নিষিদ্ধ করা উচিত এবং প্রয়োজনবোধে সেখানে বয়স, যোগ্যতা ও মেধাভিত্তিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন করা আশু যরুরী।
(২) অর্থনৈতিক সংস্কারঃ
হালাল রুযী ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। অথচ সূদ-ঘুষ, জুয়া-লটারী যা ইসলামে হারাম ঘোষিত হয়েছে এবং পুঁজিবাদী অর্থনীতির নোংরা হাতিয়ার হিসেবে যা সর্বযুগে সকল জ্ঞানী মহল কর্তৃক নিন্দিত হয়েছে, সেই প্রকাশ্য হারামী অর্থ ব্যবস্থাকে বাংলাদেশের মুসলিম সরকারগুলো সর্বদা চালু রেখেছে। এতে ধনীদের হাতে সম্পদ কুক্ষিগত হচ্ছে ও গরীবেরা আরও নিঃস্ব হচ্ছে। যার পরিণতি স্বরুপ সামাজিক অশান্তি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে যোগ হয়েছে দেশী ও বিদেশী পুঁজিবাদী সূদখোর এনজিও সমূহের অপতৎপরতা। যারা হিংস্র অক্টোপাসের মত সমাজদেহকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে সাধারণ জনগণের ঈমান ও নৈতিকতা হরণ করছে এবং সাথে সাথে এই দেশটাকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু ও পরমুখাপেক্ষী করে রেখেছে, যা সম্রাজ্যবাদীদের সুদূর প্রসারী রাজনৈতিক নীল-নকশারই অংশ বলে অনেকে মনে করেন। উপরোক্ত দুর্দশাগ্রস্থ অবস্থা হতে সমাজকে মুক্ত করার লক্ষ্যে আমরা নিম্নোক্ত কর্মসূচীসমূহ গ্রহন করতে চাই-
(ক) শহর ও গ্রামে বায়তুল মালের সুষ্ঠু সংগ্রহ ও বণ্টন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। (খ) সমাজকল্যাণমূলক ইসলামী প্রকল্পসমূহ গ্রহন ও বাস্তবায়ন করা। (গ) অনৈসলামী অর্থব্যবস্থার বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গঠন করা ও সরকারের নিকটে ইসলামী অর্থব্যবস্থা চালুর জন্য জোর দাবী পেশ করা। (ঘ) ব্যক্তি জীবনে যাবতীয় বিলাসিতা পরিহার করে 'অল্পে তুষ্ট থাকা'র ইসলামী নীতির বাস্তব অনুশীলন ও সকলের মধ্যে পরকালীন জওয়াবদিহির দায়িত্বানুভূতি তীব্র করা।
(৩) নেতৃত্বের সংস্কারঃ
অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসৎ নেতৃত্ব আজ সমাজ জীবনকে বিষময় করে তুলেছে। শান্তিপ্রিয় সৎ নেতৃত্ব সর্বত্র মুখ লুকিয়েছে। এ অবস্থা সৃষ্টির জন্য পূর্বে বর্ণিত শিক্ষাগত ও অর্থনৈতিক কারণ দুটি ছাড়াও নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে আমরা মৌলিক কারণ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি:
(ক) দল ও প্রার্থীভিত্তিক বর্তমান নেতৃত্ব ব্যবস্থা।
(খ) সৎ ও অসৎ সকলের ভোটের মূল্য ও নির্বাচনের অধিকার সমান গণ্য করা।
(গ) দলীয় প্রশাসন, দুর্নীতিগ্রস্থ আমলাতন্ত্র ও বিচার ব্যবস্থা।
(ঘ) সরকার ও বিরোধী দলীও রাজনৈতিক পদ্ধতি এবং হরতাল, ধর্মঘট ও মিছিলের যথেচ্চ ব্যবহার।
উপরোক্ত বিষয়গুলো সামনে রেখে নেতৃত্ব সংস্কারের লক্ষ্যে আমরা পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে নিম্নোক্ত প্রস্তাবসমূহ বিবেচনার জন্য জাতির নিকটে পেশ করতে চাই-
(ক) সর্বত্র দল ও প্রার্থীবিহীন নেতৃত্ব নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করা এবং নির্বাচক ও নির্বাচিতদের জন্য নির্দিষ্ট গুণাবলী নির্ধারণ করা।
(খ) প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা চালু করা এবং স্বাধীন ও ইসলামী বিচার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা।
(গ) বিরোধী দলীয় দ্বি-মুখী রাজনৈতিক পদ্ধতি বাতিল করা এবং সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সকল সদস্যকে একই পরিবারভুক্ত গণ্য করে ইসলামী শূরা পদ্ধতি অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করা।
(ঘ) জনগণ ও সংসদ নয়, বরং আল্লাহকে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক হিসেবে ঘোষণা করা এবং তাঁর প্রেরিত সর্বশেষ 'অহি'-র বিধান পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছকে সকল ক্ষেত্রে চুড়ান্ত সমাধান হিসেবে গ্রহন করা। মোটকথা মানুষের উপরে মানুষের প্রভুত্ব নয়, সবাই আমরা এক আল্লাহর গোলাম হিসেবে ভাই ভাই; এমন একটা সামাজিক মানসিকতা সৃষ্টি করতে এবং 'আমর বিল মা'রুফ ও নাহি আনিল মুনকার'(সৎ কাজের আদেশ, অসৎ কাজের নিষেধ) -এর মূলনীতি অনুযায়ী সমাজের বুকে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও অন্যায়ের প্রতিরোধে আমরা বদ্ধপরিকর। এজন্য সংগঠনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আমরা নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন একদল ঈমানদার ও যোগ্য কর্মীবাহিনী গড়ে তুলতে চাই।
আয়ের উৎসঃ
যাকাত, ফিতরা ও ওশর আদায়। প্রতি স্তরের সদস্যদের এবং শাখা সমূহের নিয়মিত এয়ানত যা কেন্দ্র কর্তৃক নির্ধারিত হয়। এছাড়া আছে উপদেষ্টা ও সুধীদের দান, যুবসংঘ প্রকাশনী এবং অন্যান্য বই, সাময়িকী, ক্যালেন্ডার ইত্যাদি বিক্রয়লব্ধ আয়।
ব্যয়ের খাতঃ
সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন খাতে ব্যয় হয়। এছাড়া পাঠাগারের বই ক্রয়, গরীব ও মেধাবী ছাত্রদের সাহায্য, বন্যা ত্রাণসহ সমাজ সেবামূলক কাজে অংশগ্রহন ও আন্দোলনের সহায়ক বিভিন্ন বই, বুকলেট, বিজ্ঞাপন, সাময়িকী, প্রকাশনা ইত্যাদি।
আমাদের দাওয়াতঃ
'বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ' এদেশে ইসলামের পূর্ণাঙ্গ বিজয় ও বাস্তবায়ন দেখতে চায়। এজন্য রাসূলুল্লাহ(সাঃ) এর তরীকা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ইমারতের অধীনে পূর্ণ ইখলাছের সাথে 'দাওয়াত ও জিহাদ'-এর কর্মসূচী নিয়ে জামা'আতবদ্ধভাবে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। অতএব কিতাব ও সুন্নাতের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে বিশ্বাসী মুমীন ভাইদেরকে এই জিহাদী কাফেলায় শামিল হয়ে জান ও মালের কুরবানী পেশ করার উদাত্ত আহ্বান জানাই
<আরো জানতে পড়ুন>
• গঠনতন্ত্র, কর্মপদ্ধতি
• আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও কেন?
• ইক্বামতে দ্বীনঃ পথ ও পদ্ধতি
• ইসলামী খেলাফত ও নেতৃত্ব নির্বাচন
• মাসিক আত-তাহরীক
• ত্রি-পাক্ষিক তাওহীদের ডাক
এছাড়াও যুবসংঘ প্রকাশনী, হাদীছ ফাউন্ডেশন ও আহলেহাদীছ আন্দোলনের অন্যান্য বই, বুকলেট, প্রচারপত্র এবং জুমুআর খুতবাসহ সংগঠনের বিভিন্ন প্রগ্রামের লেকচারসমূহ।
[কেন্দ্রীয় কার্যালয়ঃ
আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী (২য় তলা) নওদাপাড়া, পোঃ সপুরা, রাজশাহী, বাংলাদেশ] .
ওয়েবসাইটঃ