Cute Orange Flying Butterfly 2016-09-11 ~ ‎অচিনপুরের আইয়ুব‬
আস-সালামু আলাইকুম। আমি আইয়ুব আনসারি। আমার লেখাগুলো পড়তে প্রত্যহ ব্লগটি ভিজিট করুন

শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ফেসবুক আইডি হ্যাক থেকে বাঁচানোর উপায়

Ayub Ansary
অচিনপুরের আইয়ুবের ব্লগ



হ্যাকারদের হামলায় অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ফেসবুক। 
যার ফলে আতঙ্কিত সকল ফেসবুক ইউজার। 
সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেও হ্যাকারের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। 
আইডির সিকিউরিটি থাকা স্বত্তেও সামান্য অসতর্কতার জন্য ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে অনেকেই।
প্রতিদিন অসংখ্য ফেসবুক আইডি হ্যাক হচ্ছে। 
বিষয়টি স্বীকার করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ পরিসংখ্যান দিয়ে বলেছে, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬ লাখ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হচ্ছে।

যেভাবে হ্যাক হচ্ছেঃ-


ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং এর প্রায় ৭ ধরনের পদ্ধতি আছে।
তবে, বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ফেসবুক হ্যাকিংয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে কিলগার নামক একটি সফটওয়্যার।

সম্প্রতি কিলগার ছাড়াও ফেসবুক হ্যাকিং নামে একটি বিশেষ ধরনের 'জিপ ফোল্ডার' ব্যবহার করছেন হ্যাকাররা।
যা ফিশিং নামে পরিচিত।
ফেসবুক হ্যাকিংয়ের দ্বিতীয় পদ্ধতিটি অনেক সহজ এবং মারাত্মক।

জীপ ফোল্ডার ব্যাবহারে যেভাবে হ্যাক হচ্ছেঃ-


যারা ওয়েব ডেভলোপিং করেন তারা বিষয় টি সহজেই বুঝবেন।
এ ফোল্ডারে দুটি ফাইল থাকে।
এ দুটি ফাইল হ্যাকার তার ওয়েব হোস্টিং সাইটের FTP File Manager এ আপলোড করে।
তারপর সেই ফাইলের লিংক নিয়ে যার একাউন্ট হ্যাক করবে তার কাছে পাঠানোর ব্যাবস্থা করে।
এক্ষেত্রে হ্যাকার সাধারণত ম্যাসেজের ম্যাধ্যমে সেই একাউন্টে লিংক পাঠায়।
হ্যাকার তার কাঙ্ক্ষিত অ্যাকাউন্টধারীর ফেসবুক বন্ধু হলে তার ওয়ালেও পোস্ট  করে দেয় অথবা
কমেন্টের মাধ্যমে লিংক শেয়ার করে থাকে।
সেই সাথে বিভিন্ন প্রলোভন দেখায়।
ভিকটিম যখন আগ্রহ নিয়ে সেই লিংকে ক্লিক করবে তখনই  ফেসবুক আইডির
 ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড চলে যাবে হ্যাকারের File Manager এ।
ফলে সহজেই ফেসবুক আইডির এক্সেস গ্রহন করবে হ্যাকার।
একই প্রক্রিয়ায় ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাকাউন্টও হ্যাকারদের দখলে চলে যাচ্ছে।

 অনেক হ্যাকার আবার বিভিন্ন ব্লগে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের ট্রিকস হিসেবে বিশেষ জিপ ফোল্ডারটি আপলোড
 করছেন।
আর বলছেন যে, এটি ডাউনলোড করে আপনিও ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করতে পারবেন।
কিন্তু এখানেও হ্যাকার তার জাল পেতে রেখেছে।
এই ফাইলের মাঝেও হ্যাকার স্প্যাম প্রোগ্রাম সাজিয়ে রেখেছে।

আপনি যখন এই ফাইল টি নিয়ে কাজ করবেন তখন স্প্যামটি সরাসরি আপনার কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমের
সাথে যুক্ত হবে।
যার মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারের পূর্ণ এক্সেস চলে যাবে হ্যাকারের হাতে।
আপনার ব্যক্তিগত ফাইল, ফোল্ডার এবং অনলাইনে যত সাইটে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন, তার সবকিছু
হ্যাকারের দৃষ্টিসীমার ভেতর পাঠিয়ে দেবে।

স্প্যাম লিংকগুলো যেভাবে শেয়ার হচ্ছেঃ- 


 প্রথমে হ্যাকার কারো অ্যাকাউন্ট এর এক্সেস হাত নিচ্ছে।
তারপর ঐ অ্যাকাউন্ট থেকে তার সকল গুরুত্বপূর্ণ ফ্রেন্ডদের ওয়াল এ স্প্যাম লিংক টি পোস্ট করে দিচ্ছে।
যারাই লিঙ্কে ক্লিক করছে তাদের ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড চলে যাচ্ছে হ্যাকারের কাছে।

মজার ব্যপার হলো, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন আইডি হ্যাক করার হ্যাকার সেই আইডির পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করছেন না।
ফলে, ভিকটিম বুঝতেই পারছেন না তার অ্যাকাউন্ট তিনি ছাড়াও অন্য কেউ পরিচালনা করছেন।

হ্যাকার তার জীপ ফোল্ডার কিভাবে তৈরি করছে? 


জিপ ফোল্ডার এর সাহায্যে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে হ্যাকাররা নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করছেঃ


অনলাইনে প্রায় ১০০+ ওয়েবসাইট আছে যারা ফ্রি Web Hosting Account সার্ভিস দিয়ে থাকে।
হ্যাকাররা প্রথমে যেকোনো ফ্রি ওয়েব হোষ্টিং সাইটে একটি ফ্রি অ্যাকাউন্ট তৈরি করছেন।
এরপর তারা একটি নকল লগিন পেইজ তৈরি করছে।
এজন্যে, প্রথমে যে পেজের নকল লগিন
পেজ তৈরি করা হবে (যেমন, ফেসবুক) সেটিতে গিয়ে View page source করে
 এইচটিএমএল কোডগুলো একটি নোটপ্যাডে কপি করে তা facebook.html নামে সেভ করে নিচ্ছে।

তারপর, ডাটাগুলো একটি টেক্সট ফাইলে সেভ করার জন্য তারা একটি PHP Code তৈরি করছে (code.php)
এরপর,
একটি ফাকা টেক্সট ফাইল নিচ্ছে যেখানে ভিকটিমের ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ডগুলো সেভ করা হবে (password.txt)।

পরবর্তী ধাপে তারা facebook.html code.php এই ফাইল দুটিকে লিঙ্কআপ করে দিচ্ছে।
ফলে,
password.txt ফাইলটি code.php ফাইলের সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লিঙ্কড হয়ে যাচ্ছে।

এরপর হ্যাকার সেই  ফাইলগুলো একটি জিপ ফোল্ডারে পরিনত করে তার ফ্রি হোষ্টিং এর C pannel  এ আপলোড করে লিঙ্কটি
ভিকটিমের ওয়াল এ পোস্ট করে দিচ্ছে।
যখনই ভিকটিম উক্ত লিঙ্কটিতে ক্লিক করবে, তখনই তার  ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ডটি হ্যাকারের
তৈরি করা password.txt ফাইলে গিয়ে সেভ হবে।

এবার প্রশ্ন হলো, কিভাবে হ্যাকারের নজর থেকে নিরাপদে থাকবো???

আমরা সামান্য সতর্কতা অবলম্বন করলেই হ্যাকারের নজর থেকে নিরাপদ থাকতে পারি।
এক্ষেত্রে ১ম কাজ হচ্ছে সকল প্রকার অযাচিত লিংক উপেক্ষা করে যেতে হবে।
সেটা যতো বিশ্বস্ত ব্যাক্তিই হোক।
কেননা, এসব কাজ বিশ্বস্ত ব্যাক্তিরাই করে থাকে।

এরপর আপনি দেখে নিন, আপনার ফেসবুক আইডির প্রোটেকশন স্ট্যাটাস কততুকু।

এজন্য,  এই লিঙ্কে গিয়ে (অবশ্যই কম্পিউটার অথবা এন্ড্রয়েডের ডেস্কটপ ভার্সন থেকে)
  উপরে ডান প্রান্তে Overall protection এ লক্ষ্য করুন।
যদি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তাব্যবস্থা সবল হয়, তাহলে High (সবুজ রং চিহ্নিত) থাকবে।
যদি নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল হয়, তাহলে low লেখাটি থাকবে।

এরকম নিরাপত্তাব্যবস্থা সবল করার জন্য আপনি তিনটি অপশন পাবেন।
প্রথম অপশন থেকে আপনি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একাধিক মেইল যোগ করবেন।
দ্বিতীয় অপশনে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আপনার ফোন নাম্বার যোগ করবেন।
তৃতীয় অপশনে নিরাপত্তা প্রশ্ন যোগ করুন।

মনে রাখবেন, এটি সেটিং করার পর আপনি যখনি প্রথমবার কোন পিসি অথবা ব্রাউজার ওপেন করবেন
তখনি আপনার ফোনে ৫ সংখ্যার একটি ভেরিফিকেশন কোড পৌছেঁ যাবে।
আপনি আপনার ফোন হতে প্রাপ্ত কোডটি ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট এ লগিন করতে পারবেন।

মনে রাখবেন,
হ্যাকাররা সাধারণত প্রথমে ই-মেইল আইডি হ্যাক করার চেষ্টা করে।
আপনার ফেসবুক ইমেইল আইডি ও অন্যান্য পারসোনাল ইনফরমেশন যাতে কেউ দেখতে না পায়,
সেজন্য Edit profile এ গিয়ে Contact information এ সেন্সেটিভ ইনফরমেশনের প্রাইভেসিগুলো "Only me" করে রাখুন।


ফেসবুক ও ইমেইল দুটির জন্য দুই ধরনের শক্তিশালী পাসওয়ার্ড নির্বাচন করুন।
 ইমেইলের প্রোটেকশন স্ট্যাটাস শক্ত আছে কিনা তা ভাল করে দেখে নিন।
ইমেইলের ক্ষেত্রে রিকভারি ইমেইল সংযুক্ত করুন।
আপনি জিমেইল ইউজার হলে Two Step Verification চালু রাখুন।


মনে রাখবেন,
আপনার রিকভারি ইমেইলগুলোর কোন একটি হ্যাক করতে পারলে অন্য সবগুলো (এমনকি ফেসবুকও) মুহূর্তের
মধ্যে হ্যাক করা কোন ব্যাপার না।
ইমেইল ও ফেসবুকের সিকুরিটি Question & Answer গুলো এমনভাবে নির্বাচন করুন যেটি আপনার কাছে
কমন কিন্তু অন্যদের কাছে পুরা আনকমন।
অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্য যতটা সম্ভব কম দেয়ার চেষ্টা করুন।

অধীর আগ্রহে টিউন টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
পরবর্তি আপডেট পেতে সাথেই থাকুন।
ইমেইলে পোস্ট পেতে সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না।



অলস কবি

অলস কবি
- আইয়ুব আনসারি
কবি, লিখোনা কেন স্মৃতিময় কাব্য;
লিখো না কেন গান?
গেল কত ঋতু, আসলো হেমন্ত;
মাঠে পাকিলো ধান।
কাটিলো শীত,
আসিলো বসন্ত, পাখির কলতান।
কবি লিখো না কেন গান?
কি লিখবো আর কবিতা কাব্য,
কি লিখবো গান?
দিতো মোরে যে উতসাহ প্রেরণা;
আজ নেই তার সন্ধান।
চলে গেছে সে, গত শরতে;
দিয়ে আমাকে ফাঁকি।
বলো এখন কি দিয়ে আজ
কাব্যের ছন্দ আঁকি?
তাকে ছাড়া কি হয় না কাব্য?
চেয়ে দেখ, খুঁজে পাবে আজ নতুন ছন্দ।
চেয়ে দেখ বসন্তে আজ,
ফুটিয়াছে কতো ফুল।
ছড়িয়েছে নানান ফুলের গন্ধ।
প্রকৃতি সাজিয়েছে আজ নতুন সাজে,
উঠো কবি, নিস্তব্ধ থাকা কি সাজে?
ধরো কলম, লিখতে থাকো,
কবিতা,গল্প,গান।
লেখনিতে আজ করে ফেলো সব;
দুঃখের অবসান।
ফুলের গন্ধ পারে না দিতে;
কাব্য-ছন্দের খোঁজ।
সে যদি আজ থাকত পাশে;
কাব্য লিখতাম রোজ।
facebook:- Ayub Ansary


Ayub Ansary


বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ভাবুক মন



নিস্তব্ধ নিশি;
বিষন্ন মন।
একাকি বসি;
ভাবি সারাক্ষণ।

ভাবে এ মন;
কি এ ভূবন?
কেনই বা এর সৃষ্টি!
চারিদিকে ফিরায় দৃষ্টি।
শুধু দেখে তম;
হল কি স্মৃতিভ্রম?

তাহলে কি এ সুতাকাটা ঘুড়ি?
নাই যার জুড়ি!
যার নাই কোন বাধা,
ঘোরে-ফিরে, বেড়ায় সদা।
ভাবে এই মন,
হোয়্যার ইজ মাই ডেসটিনেশন??

মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ফেসবুকে ৮ তথ্য না দেয়ার পরামর্শ দিল পুলিশ।

ফেসবুকে ৮ তথ্য না দেয়ার পরামর্শ দিল পুলিশ


আইয়ুব আনসারি
অচিনপুরের আইয়ুবের ব্লগ

ফেসবুক ব্যবহারে অসচেতনতার কারণে মানুষ নিজের অজান্তেই নিজেকে অনিরাপদ করে তুলছে। 
লোকেশন ট্যাগ সহ নিজের ও পরিবারের সদস্যদের ছবি পোস্ট করার মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্যাদি অপরাধীদের কাছে সহজলভ্য করে দিচ্ছে।

কারণে কিছু বিষয় ফেসবুকে শেয়ার না করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। 
এভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটনা এড়ানো সম্ভব বলে তারা আশা করছেন।

ফেসবুকে যে ৮টি বিষয় শেয়ার না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে:


১. জন্ম তারিখঃ-

অনেকেই নিজের জন্ম তারিখ ফেসবুকে উন্মুক্ত করে রাখেন। এটি আপনার জন্য অনিরাপদ। কারণ তথ্য প্রযুক্তির যুগে জন্ম তারিখ থেকেই অনেক তথ্য সংগ্রহ করেন হ্যাকারা। অথবা যেকোনো শত্রু এই বিশেষ দিনে টার্গেট করে আপনার ওপর হামলা চালাতে পারে। তাই ফেসবুকে জন্মতারিখ উন্মুক্ত রাখার বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

২. শিশু কোথায় পড়াশুনা করেঃ-

গত কয়েক বছরের যৌন ও শিশু বিষয়ক অপরাধগুলো গবেষণা করে ইংল্যান্ডের শিশু বিষয়ক সংস্থা এনএসপিসিসি জানান, অধিকাংশ অভিভাবক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে অসচেতন ছিলেন। এজন্য অনাকাঙ্খিত ঘটনাগুলো ঘটেছে।
অথচ অনেক অভিভাবক শিশুদের নিয়ে অবেগাপ্লুত হয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। সেইসঙ্গে স্ট্যাটাসে জানিয়ে দেন, তার শিশু কোন প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করছে। এটি শিশুর জন্য নিরাপদ নয়। এতে শিশু অপহরণের ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে।

৩. শিশুর ছবিঃ-

অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বলেন, ‘শিশুদের নিয়ে যেকোনো তথ্য পাবলিকের কাছে শেয়ার করার বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। যদিও অনেকেই শিশুদের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেন। এতে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ে। দেখা গেল, শত্রুরা আপানার শিশুকে চিনে রাখলো। এরপর সুযোগ বুঝে শিশুটিকে অপহরণ করলো।’

৪. বর্তমান অবস্থানঃ-

যেখানে সেখানে সেলফি তুলে লোকেশন ট্যাগ করে দেওয়াটা অনিরাপদ। এর মাধ্যমে যে কেউ আপনার সবশেষ অবস্থান জানতে পারে। ফলে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ে। দেখা গেল, আপনার অবস্থান জেনেই শত্রুপক্ষ আপনার ওপর হামলা করলো।

৫. কখন এবং কোথায় যাচ্ছিঃ-

দেখা যায়, আমরা কখন, কোথায় যাচ্ছি কিংবা ভ্রমণে বের হচ্ছি সে বিষয়টি ফেসবুকে জানিয়ে দিই। যা মোটেও নিরাপদ নয়। এই বিষয়গুলো জেনে আপনার প্রতিপক্ষ ক্ষতি করতে পারে। হয়তো শত্রুপক্ষ আপনার এমন তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলো। সেটি জেনে আপনার ওপর হামলা করতে পারে। ফেসবুকে এসব বিষয়ের জানান দেওয়া নিজের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

৬. নির্দিষ্ট স্থান ট্যাগ করাঃ-

অনেক সময় ফেসবুকে নিজের অবস্থানের নির্দিষ্ট স্থান ট্যাগ করে দেন অনেকেই। ওই সময় আপনার প্রোফাইল যে ভিজিট করবে, সে জানতে পারবে এখন আপনি কোথায় আছেন। সেটি বাসায় কিংবা অফিসে হোক। দেখা গেল, এভাবে কেউ আপনার বাসা ও অফিসের ঠিকানা সংগ্রহ করে রাখলো। পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে আপনার ক্ষতি করলো। আর এ জন্য ফেসবুকে লোকেশন ট্যাগ করা মোটেও নিরাপদ নয়।

৭. ফোন বা মোবাইল নম্বরঃ-

অনেকেই মোবাইল কিংবা ফোন নাম্বার ফেসবুকে উন্মুক্ত করে রাখেন। যা সম্পূর্ণভাবে অনিরাপদ। দেখা গেলো, শত্রুপক্ষ আপনার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে এবং সুযোগ বুঝে কাজ করে। পাশাপাশি যে কেউ আপনার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে, সময়ে অসময়ে কল দিয়ে বিরক্ত করার সুযোগ পায়। মোবাইল বা ফোন নম্বর ব্যক্তিগত গোপনীয় জিনিস। পরিচিত ব্যক্তিদের ছাড়া কাউকে ফোন কিংবা মোবাইল নম্বর দেওয়া নিরাপদ নয়।

৮. ক্রেডিট কার্ডের তথ্যঃ-

ক্রেডিট কার্ড হচ্ছে গোপন ও স্পর্শকাতর বিষয়। ক্রেডিট কার্ডের তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া কোনোভাবেই নিরাপদ নয়। তবে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ক্রেডিট কার্ডের তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কিংবা ওয়েবসাইট বুঝেই দিতে হবে। যাতে আপনার দেওয়া তথ্য তাদের কাছে সুরক্ষিত থাকে।
আর দেরি নয়। সচেতন হবার এখনই সময়।

তথ্যসূত্র:  ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ফেসবুক পেইজ

সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

"ইসলামের দৃস্টিতে হস্তমৈথুন"

"ইসলামের দৃস্টিতে হস্তমৈথুন"
.
বর্তমান যুবসমাজের মাঝে এটি ব্যাপক হারে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
অনেকেই এর পক্ষে অবশান নিয়েছেন।
আসুন আজ আমরা দেখি ধর্মীয়ভাবে হস্তমৈথুন বৈধ কি না?
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেনঃ-
"তোমরা যদি কোনো বিষয়ে দ্বিধা-দ্বন্দে বা মতানৈক্যে পৌঁছো, তাহলে তার সমাধানের জন্যে সেটি প্রেরণ কর আল্লাহ ও তার রাসূলের কাছে" [ সূরা নিসাঃ ৫৯ ]
-
আল্লাহ ও রাসূল; অর্থাৎ, কোরআন ও হাদীস।
তাহলে আগে দেখতে হবে পবিত্র কোরআন ঠিক কী বলছে "হস্তমৈথুন" সম্পর্কে?
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"বল, 'আল্লাহ্ অশ্লীল আচরণের নির্দেশ দেন না। তোমরা কী আল্লাহ্ সম্পর্কে এমন কিছু বলতেছ যা তোমরা জানো না?'' [ সূরা আরাফঃ ২৮ ]
-
এখানে একটি শব্দ এসেছে "ফাহিসাত" মানে, অশ্লীল, নোংরা, অবৈধ সেক্স, যৌন উত্তেজক পিকচার/ভিডিও/আলাপ, যৌন উস্কানী কাপড়, হস্তমৈথুন, উত্তেজনামূলক কাউকে স্পর্শ করা .......
মূলকথা, যে জিনিসগুলো অবৈধ সেক্সকে কামুদ্দীপনা যোগাবে সেটাই "ফাহিসাত"।
একটি ছোট্ট উদাহরণ দিলে আরও স্পষ্ট হবে; টাইগার/স্পিড/বেয়ার/হুয়িস্কী ইত্যাদী ড্রিকসগুলোর নাম কিন্তু কোরআনে পাবেন না; কিন্তু এ জাতীয় সব কোল্ডড্রীংসে কিন্তু কমবেশ এ্যালকোহল আছে।
আর পবিত্র কোরআনে সূরা মায়িদাঃ৯০ আয়াতে স্পষ্ট "মদ" বা এ্যালকোহল হারাম ঘোষণা করেছেন।
তাই পবিত্র কোরআনে আলাদা আলাদাভাবে নাম ধরে হুইস্কি/বেয়ার/টাইগার হারাম করেননি; বরং তাদের মূল এ্যালকোহলকেই হারাম করেছেন। সেহেতু ঐগুলিও হারাম।
তদ্রুপ, কোরআনে আলাদা আলাদাভাবে সেক্স/অবৈধ মেলামেশা /ধ্বর্ষণ/বেপর্দা/ হস্তমৈথুন/ সেক্সালাপ/সেক্স ভিডিও/পিকচার হারাম করেরনি; বরং তিনি এদের মূল একটি শব্দ "ফাহিসাত" দিয়েই বুঝিয়ে দিয়েছেন।
অতএব, উক্ত আয়াত থেকে প্রমাণ হয় "হস্তমৈথুন" করা হারাম ও নিষিদ্ধ।
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"বল, 'নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক হারাম করেছেন প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা বা ফাহিসাত" [ সূরা আরাফঃ ৩৩ ]
-
একটু খেয়াল করেছেন, উক্ত আয়াতে "প্রকাশ্য + গোপন ফাহিসাত" বলা আছে।
এর মানে কী?
"গোপন ফাহিসাত" মানে, অন্যান্য সেক্সের ব্যাপার সময়ে প্রকাশ হলেও হস্তমৈথুন করার বিষয়টি আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। ঐ ব্যক্তি ও আল্লাহ সাক্ষী থাকে।
এটি এতটায় গোপন ফাহিসাত বা হস্তমৈথুন।
উক্ত আয়াত স্পষ্ট বলছে, "হস্তমৈথুন" করা হারাম।
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"তোমরা কী ভেবে দেখেছো তোমাদের বীর্যপাত সম্বন্ধে? সেটি কী তোমরা সৃষ্টি কর, না আমি সৃষ্টি করি?" [ সূরা ওয়াকি'আঃ ৫৮-৫৯ ]
-
আল্লাহ পৃথিবীর সকল কোরআন পাঠকারীকে উক্ত প্রশ্ন করেছেন।
সত্যিই, এই বীর্য বা স্পার্মগুলো আল্লাহর রহমতে সৃষ্টি হয়।
যদি এভাবে আল্লাহর দেওয়া জিনিসকে অবৈধ পথে "হস্তমৈথুন" করে নিঃশেষ করে ফেলে; তাহলে একটি পুরুষের ভবিষ্যত প্রজন্ম কী হবে?
একটি পুরুষে ১০ বিলিয়ন যদি শুক্রাণু থাকে; আর ঐ পুরুষ যদি প্রতিদিন এভাবে নির্দিষ্ট পরিমাণে হস্তমৈথুন করে বীর্য শেষ করে ফেলে; তাহলে তো সে একদিন বাবা হবার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলবে।
তাহলে স্পষ্ট তো বোঝা যাই, হস্তমৈথুন করা হারাম।
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"দারিদ্রের ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না, আমিই তোমাদের ও তাদেরকে রিযিক দিয়ে থাকি। প্রকাশ্যে হোক কিংবা গোপনে হোক অশ্লীল বা ফাহিসাতের কাজের নিকটেও যাবে না" [ সূরা আনআমঃ ১৫১ ]
-
হস্তমৈথুন করার ফলে আসলে ভবিষ্যত প্রজন্ম বা সন্তানদেরকেই হত্যা করা হচ্ছে।
অনেক পুরুষরা ভাবে, সন্তান হলে মুখ বাড়বে, গরীব হয়ে যাবে ; তাই অনেকে সেক্স করে হস্তমৈথুনভাবে।
এটারও ঘৃণা বলে উল্লেখ করেছে উক্ত আয়াত।
পরের অংশ বলছে, গোপনেও ফাহিসাতের নিকটে না যেতে"_____
মানে, এসব হস্তমৈথুন যিনা-ব্যাভিচারের সহায়ক।
আগের অংশেও বলেছি।
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"আর তোমরা যিনার নিকটবর্তী হয়ো না, ইহা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ" [ সূরা বাণী-ইস্রাইলঃ ৩২ ]
-
উক্ত আয়াতে, "হস্তমৈথুন"কে যিনা বা ব্যবিচারের সাথে তুলনা করা হয়েছে।
কারণ, আয়াতটি খেয়াল করুন....
"ইহা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ"
তারমানে, যে জিনিস বা উপায় সমূহ অশ্লীল-নোংরা ও নিকৃষ্ট আচরণ সেটাই যিনা।
আর "হস্তমৈথুন" এটা যে একটা অশ্লীল ও নোংরা কাজ এটা যে কোনো সাধারণ পাবলিক বুঝে।
এটা নিকৃষ্ট একটা আচরণ। তাই "হস্তমৈথুন" যিনার একটি উপকরণ বটে।
তাই আয়াতানুযায়ী হস্তমৈথুন নিষিদ্ধ।
-
হস্তমৈথুন এটা একটি মন্দ কাজঃ
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"এই সমস্তের মধ্যে যেগুলি মন্দ সেইগুলি তোমার প্রতিপালকের নিকটও ঘৃণ্য" [ সূরা বাণী-ইস্রাইলঃ ৩৮ ]
-
হস্তমৈথুন এটা যে নিকৃষ্ট কাজ সেটা জ্ঞানবান সুস্থ মস্তিষ্কের যে কেউ বলবে।
যদি হস্তমৈথুন খারাপ-ই না হত, তাহলে তো আর যুবক শ্রেণীরা বিড়ি-সিগারেট খাওয়ার মত লুকিয়ে লুকিয়ে টয়লেট-বাথরুমে গিয়ে করত না।
তাই হস্তমৈথুন করা আল্লাহর কাছেও ঘৃণ্য।
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"(হে মুমিনগণ), তোমরা নিজেদের হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করিও না" [ সূরা বাকারাঃ ১৯৫ ]
-
হস্তমৈথুন এটা ব্যক্তি হাত দিয়ে নিজেকে ধ্বংস করে ফেলছে।
দেহ ও স্বাস্থের ক্ষতি করে ফেলছে; চোখের জ্যোতি, শুক্রানু শুকিয়ে যাওয়া, রোগ-প্রতিরোগ ক্ষমতা কমে যাওয়া, অবসাদ ও বিষন্ন লাগা....
এসব গুলো হস্তমৈথুন এর জন্য হয়ে থাকে। এই হস্তমৈথুন তরুণ-যুবক-যুবতীকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাই উক্ত আয়াতানুযায়ীও হস্তমৈথুন করা হারাম।
-
কিয়ামতের দিন ব্যক্তি হাত সাক্ষ্য দিবে সে হস্তমৈথুন করেছিলঃ
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"আমি আজ [ কিয়ামতের দিন ] মানুষদের মুখ মোহর করিয়া দিব, ইহাদের হস্ত কথা বলিবে আমার সহিত এবং ইহাদের চরণ সাক্ষ্য দিবে ইহাদের কৃতকর্মের" [ সূরা ইয়াসিনঃ ৬৫ ]
-
পবিত্র কোরআন বলছেঃ
"পরিশেষে যখন উহারা জাহান্নামের সন্নিকটে পৌঁছিবে তখন উহাদের কর্ণ, চক্ষু ও ত্বক উহাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে সাক্ষ্য দিবে, উহাদের বিরুদ্ধে।
জাহান্নামীরা উহাদের ত্বককে জিজ্ঞাসা করিবে, 'তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতেছ কেন?' উত্তরে উহারা বলিবে, 'আল্লাহ্, যিনি আমাদিগকে বাকশক্তি দিয়াছেন তিনি সমস্ত কিছুকে বাকশক্তি দিয়াছেন। তিনি তোমাদিগকে সৃষ্টি করিয়াছেন প্রথমবার এবং তাঁহারই নিকটে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হইবে।'
'তোমরা কিছু গোপন করিতে না এই বিশ্বাসে যে, তোমাদের কর্ণ, চক্ষু ও ত্বক তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে না; উপরন্তু তোমরা মনে করিতে যে, তোমরা যাহা করিতে তাহার অনেক কিছুই আল্লাহ জানেন না" [ সূরা হা-মীম-সেজদাঃ ২০-২২ ]
-
উক্ত আয়াত থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, যারা হস্তমৈথুনকারী তারা সেদিন কত লাঞ্চিত হবে; তাদের নিজের হাত সেদিন এসব হস্তমৈথুন করার কথা প্রকাশ্যে বলবে।
ফেবুতে লেংটা মেয়ের পিক দেখে দেখে হস্তমৈথুন করছে যে তা সব গুটি গুটি করে ঐ হাত বলবে; দেহের প্রতিটি অংশ এসব হস্তমৈথুনকারীর কথা ফাঁস করে দিবে।
-
-
:
আশা করি, লেখাটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন "হস্তমৈথুন" করা হারাম ও নিষিদ্ধ।
এ কদিন কোরআন খুঁজে ফিরে আয়াত গুলো কালেক্ট করেছি।
কারণ, একজন ভাই দ্বীনের সঠিক বিষয়ে সঠিক ধারণা পাবে; ভুল করলে সংশোধন হতে পারবে। তাই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমার এত প্রচেষ্টা।
আশা করি, আপনি আপনার নিকটস্থ ভাই-বন্ধুদেরকেও এ হস্তমৈথুন সম্পর্কে উক্ত লেখাটি পৌঁছিয়ে দিবেন।
এতে প্রচার করার জন্য আপনিও সওয়াব পাবেন।
-
সহীহ্ বোখারী'তে আছেঃ
নবী(সাঃ) বলেছেনঃ যদি আমার পক্ষ থেকে একটি আয়াতও জানো; তাহলে তা প্রচার করে দাও"

- See more at: Facebook

#অচিনপুরের_আইয়ুব