Cute Orange Flying Butterfly 2016-10-02 ~ ‎অচিনপুরের আইয়ুব‬
আস-সালামু আলাইকুম। আমি আইয়ুব আনসারি। আমার লেখাগুলো পড়তে প্রত্যহ ব্লগটি ভিজিট করুন

শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৬

অপরাধের মদদ দাতা কে??????


আজ এখানে কাল সেখানে ঘটেই চলেছে যতসব অনাকাঙ্খিত ঘটনা। 
যা দেশ ও জাতির জন্য অভিশাপ স্বরূপ। 
এর প্রলাপ দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। 
কেউ বা রাজনৈতিক ভাবে একদল অপরদলকে দোষী স্বাব্যস্থ করে চলেছেন।
কিন্তু কেন হচ্ছে এমন কার্যকলাপ? 
আসল সমস্যা টা কোথায়??

কুপিয়ে হত্যার সংস্কৃতি আমাদের বেশ পরিচিত। 
আমরা দেখেছি ২০১০ সালের পরে থেকেই অনেকে এই সংস্কৃতির উপন্যাস হয়েছেন। 
বিশ্বজিত, রিসা, তৃশা, আরো অনেকেই এর জ্বলন্ত প্রমাণ। 

এই নারকীয়তা থেকে বের হতে পারছিনা কেন? 
কেন দিন দিন আরো বেশি নির্মমতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে আমাদের? 

এই তো কয়েকমাস আগে ধানমন্ডি লেকে একটা ছেলে আরেকটা ছেলে কে নির্মম ভাবে নির্যাতন করলো। আর সেই ভিডিও আমরা ঘরে বসে দেখলাম। 
পাশ দিয়ে মানুষ হেটে যেতে দেখেছি। কেউ বাঁধা দেয়নি।

কয়েকদিন আগে এক কিশোর ছেলে পেট্রোল ঢেলে তার জন্মদাতা পিতা কে পুড়িয়ে হত্যা করলো। 
কেউই বাধা দেয়নি। 
তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে আমরা কেন বর্বর হতে চলেছি?
এই বর্বরতার পেছনে ভূমিকা রাখছে কিসে? 

ঝামেলা টা আসলে আমাদের মাঝেই লুকিয়ে আছে, লুকিয়ে আছে আমাদের সমাজ ব্যাবস্থার মাঝে। 
লুকিয়ে আছে লোক চক্ষুর অন্তরালে। 

সন্ত্রাস, বর্বরতা সৃষ্টির প্রয়োজনীয় সকল সরঞ্জামাদীর পর্যাপ্ত সরবরাহ দেওয়ার পর আমরা নিজেরাই মানববন্ধন করি।
ক্যাম্পাসে যারা নেত্বৃত্ব দেই তারাই মিশে আছি সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাঝে। 

এ পর্যন্ত যত হত্যাকান্ড ঘটেছে তার সবকটি করেছে ছাত্র রা। 
আরে তারা নাহয় করলো, আমরা সচেতন জনতা তা না ঠেকিয়ে ভ্যালভ্যালিয়ে দেখছি। 
ঘাতক যখন আঘাত হানছে তখন আমরা ক্যামেরামানের ভূমিকা পালন করছি। 
নির্মম কি শুধু সেই ঘাতক নাকি সেই সাথে আমরাও?
আমাদের পা কি তখন বেঁধে রেখেছিল কেউ? 
নাকি আমরা সবাই প্রতিবন্ধী? 
আমরা যদি সবাই প্রতিবন্ধীর ভূমিকায় থাকি
তবে এই প্রতিবন্ধী সমাজে এমন হত্যাকান্ড ঘটবেনা কেন?

তারা না হয় হতভম্ভ হয়ে পড়েছিল। 
এখন দেখি জাতীর কর্ণধার সাংবাদিক মহাশয় গণ টক-শো তে বলছেন যে এটা রিলেশনশীপের ব্যাপার ছিল। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় প্রেমিক তার ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ করেছে।
কত বড় মিথ্যাচার!!!
এখানেও চলছে মিথ্যা অযুহাত। 
এমন সাধারণ কারণে কি কেউ কারোও প্রাণ নস্যাৎ করতে পারে? 
যদি পারে তাহলে সে কেমন প্রেমিক??????? 
নাকি প্রেমের নামে ছলনা? 
বিস্তারিত পড়ে জানতে পারলাম যে ছেলেটা ঐ মেয়েদের ঘরে প্রাইভেট টিউটর ছিল। 
ছয় বছর ধরে ওদের প্রেম চলছে। ইদানিং সম্পর্কে ভাটা পড়তে যাচ্ছিল।

মেয়েটি তাকে এড়িয়ে চলছিল। ছেলেটা তার শেষের ফেসবুক পোস্ট গুলি তে যা লিখেছিল তাতে বুঝা যায় যে সে প্রচন্ড মানসিক কষ্টে ছিল......

তাহলে সেইসব প্রেমের হকার রা এখন পুরো বিষয়টি সামনে আনছে না কেন। 
যারা প্রেম প্রেম করে পুরো যুবসমাজ কে উগ্রতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে তাদের প্রেমের এই দশা কেন? 
প্রেমিকার আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে নায়ক নায়িকার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এমন মুভি আমরা নিত্যদিন দেখে থাকি। 
এমন মুভির সৌজন্যেই হয়তো বদরুলের মত প্রেমিকরা আজ প্রিয় মানুষটিকে এভাবে ভালবাসা দিচ্ছে!! 

তাছাড়াও আজকের যুবসমাজ দিনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে দিচ্ছে এফএম রেডিও শোনার পেছনে। 
যেই এফএম এ সর্বদায়ই নোংরামী শেখানো হচ্ছে। 
সকল চ্যানেলের আরজে গুলা তো বিনামূল্যে শিখিয়ে দিচ্ছেন যে আপনি 
কিভাবে প্রকাশ্যে একজন কে প্রপোজ করবেন।
আর যখনি কোন ছেলে সেই অভিজ্ঞতার সত্যতা প্রমাণ করতে যায় 
তখনই সে একজন ইভটিজার হয়ে যায়। 
ছেলেটির আবাস স্থল হয় কারাগার, আর আরজে'র প্রমোশন হয়। 
দিনে দিনে বাড়ে তার মাইনে। 

পরিশেষে বলতে চাই আমাদের নিত্যদিনের কার্যকলাপই ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে।
যেখানে ভূমিকা রাখছেন তথাকথিত জ্ঞানী ব্যাক্তিরা। 
যুবসমাজকে প্রেম শেখাতেই নিয়োজিত আজকের টিভি চ্যানেল। 
পর্ণ যেখানে সহজলভ্য, গার্লফ্রেন্ড নামক পতিতা যেখানে ফ্রি। 
সেখানে যুবসমাজ আর কি উপহার দিবে জাতিকে??? 

সাংবাদিক মহাশয়, কেন যুবক আজ প্রেমের জলে হাবুডুবু খাচ্ছে সে বিষয়ে একটি কলাম লিখবেন কি? 
এ ব্যাপারে একটা টক-শো এর আয়োজন করবেন কি? 
যাদের প্রভাবে আজ এমন কিছু ঘটছে তাদের শাস্তির দাবী উঠাবেন কি? 
নাকি এখানেও পিস টিভির অবদান দেখাবেন????????????? 

Ayub Ansary
#অচিনপুরের_আইয়ুব