Cute Orange Flying Butterfly 2018-11-11 ~ ‎অচিনপুরের আইয়ুব‬
আস-সালামু আলাইকুম। আমি আইয়ুব আনসারি। আমার লেখাগুলো পড়তে প্রত্যহ ব্লগটি ভিজিট করুন

রবিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৮

মুন্সিগঞ্জে চালু হলো হোন্ডার কারখানা

বাংলাদেশে চালু হলো জাপানের হোন্ডা মোটর করপোরেশনের কারখানা। আজ রোববার মুন্সিগঞ্জের আবদুল মোনেম ইকোনমিক জোনে ২৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত কারখানাটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

দেশে হোন্ডা বাংলাদেশ লিমিটেড (বিএইচএল) নামে যৌথ উদ্যোগে কোম্পানি খুলে কারখানা করেছে হোন্ডা মোটর করপোরেশন। এর অংশীদার সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি)। নতুন কারখানায় আপাতত বছরে এক লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদনের সক্ষমতা তৈরি করেছে হোন্ডা, যা ২০২১ সালে দুই লাখে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। এখন নতুন কারখানায় উৎপাদিত মোটরসাইকেলে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ বা বাংলাদেশে তৈরি কথাটি লিখতে সরকারের কাছে আবেদন জানাবে হোন্ডা। এ স্বীকৃতি পেলে কর ছাড় পাওয়া যাবে। এতে মোটরসাইকেলের দামও কমবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
কারখানার উদ্বোধন উপলক্ষে রোববার সকালে আবদুল মোনেম ইকোনমিক জোনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হোন্ডা বাংলাদেশ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এ ছাড়া সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এবং হোন্ডার মূল কার্যালয় ও স্থানীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের কারখানার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। তাঁরা জানান, এখন নতুন কারখানায় মোটরসাইকেলের কাঠামো বা বডি ফ্রেম ও সুইচ আর্ম তৈরি করা হবে। ঝালাই ও রঙ করার কাজও হবে কারখানায়। বাকি যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ এনে সংযোজন করা হবে। তবে শিগগিরই একে একে যন্ত্রাংশ তৈরিতে যাবে হোন্ডা।
বিএইচএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইওচিরো ইশি বলেন, বাংলাদেশে নতুন কারখানার মাধ্যমে স্থানীয়করণের শুরু হলো। ভবিষ্যতে এ দেশেই বেশির ভাগ যন্ত্রাংশ তৈরি হবে। দাম কমবে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারের কাছে এখন তারা কর ছাড়ের জন্য আবেদন করবেন। কর ছাড় পেলে সে অনুযায়ী দাম কমবে। কতটা কমবে, তা এখন বলা যাচ্ছে না।
এর আগে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সময়মতো নির্মাণকাজ শেষ কারখানা চালু করায় হোন্ডাকে অভিনন্দন জানান। তিনি দেশে গাড়ি তৈরিতে বিনিয়োগ করার জন্য জাপানি কোম্পানিগুলোকে অনুরোধ করেন।
ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু ইজুমি বলেন, হোন্ডার কারখানা জাপানি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, দেশে জাপানিদের জন্য একটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ চলছে। আরেকটি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সরকার ইতিবাচক।
বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ২০১২ সালে হোন্ডার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে হোন্ডা বাংলাদেশ নামে কোম্পানি করে বিএসইসি। নতুন কারখানায় হোন্ডার বিনিয়োগ ১৯০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আর বিএসইসির বিনিয়োগ ১০৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। ভবিষ্যতে মোট বিনিয়োগ বেড়ে ৬৮০ কোটিতে উন্নীত হবে। কর্মসংস্থান হবে দুই হাজার মানুষের।
হোন্ডা মোটর করপোরেশনের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়োশি ইয়ামানে বলেন, হোন্ডা বিশ্বব্যাপী গত বছর ১ কোটি ৯৫ লাখ মোটরসাইকেল বিক্রি করেছে। কোথাও মানের ক্ষেত্রে হোন্ডা কোনো ছাড় দেয় না।
অনুষ্ঠানে সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী, বেজার নির্বাহী সদস্য মো. হারুনুর রশিদ, হোন্ডা মোটরসের মোটরসাইকেল বিভাগের প্রধান নোরিয়াকি আবে, এশিয়া ও ওশেনিয়ার প্রধান মাসায়াকি ইগারাশি, বিএইচএলের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ আশিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সোর্সঃ প্রথম আলো 

ইয়ামাহা মোটরসাইকেল পছন্দ করে ৯০ শতাংশ তরুণ

জাপানের ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল বাজারজাতকরণে দুই বছর পার করল এসিআই মোটরস। আজ রোববার তারা তিন বছরে পা দেবে। এই দুই বছর ব্যবসা কেমন গেল ও আগামীর পরিকল্পনা কী, প্রথম আলোকে তা জানিয়েছেন এসিআই মোটরসের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাজীব আহমেদ
প্রথম আলো: দুই বছর আগে অন্য একটি প্রতিষ্ঠান দেশে ইয়ামাহা মোটরসাইকেল বাজারজাত করত। এরপর একক পরিবেশ হলো এসিআই। বিক্রি কতটুকু বেড়েছে?
সুব্রত রঞ্জন দাস: আমরা এখন বছরে ১৮ হাজার মোটরসাইকেল বিক্রি করি। এটা আগের প্রতিষ্ঠানের ঠিক তিন গুণ। বার্ষিক প্রবৃদ্ধি প্রায় ৩৫ শতাংশ। আপনি যদি তরুণদের পছন্দের কথা বিবেচনা করেন, তাহলে ইয়ামাহা সবার ওপরে। আমরা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে জরিপ করে দেখেছি, মোটরসাইকেল চালাতে আগ্রহী ব্যক্তিদের মধ্যে ৯০ শতাংশ তরুণ আর্থিক দিক দিয়ে সক্ষম হলে ইয়ামাহা কিনতে চায়। কারণ, তারা ইয়ামাহা ব্র্যান্ড পছন্দ করে।
প্রথম আলো: তরুণেরা ইয়ামাহা কেন পছন্দ করে, আপনার কী মত?
সুব্রত রঞ্জন: ইয়ামাহা উচ্চপ্রযুক্তির ও সেরা মানের মোটরসাইকেল বিক্রি করে। আমরাই একমাত্র ফুয়েল ইনজেকশন মডেলের মোটরসাইকেল বিক্রি করি। এর সুফল হলো, এটি জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব। পাশাপাশি এর পারফরম্যান্স অনেক ভালো। বাংলাদেশের রাস্তায় ব্রেক কষা ও ভারসাম্য রক্ষার বিষয়টি খুবই জরুরি। ইয়ামাহা এই দুই দিক দিয়ে অত্যন্ত ভালো। আর যদি নকশা ও দেখার সৌন্দর্যের কথা বলেন, ইয়ামাহা অনেক আকর্ষণীয়।
প্রথম আলো: পণ্যের মানের পাশাপাশি বিপণন কৌশল কি গুরুত্বপূর্ণ নয়?
সুব্রত রঞ্জন: ইয়ামাহা আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর বাইকারদের সঙ্গে সংযোগ তৈরিতে আমরা সবচেয়ে বেশি কাজ করেছি। আমরা আধা ঘণ্টার মধ্যে মেরামত সেবা দিই। এর মানে হলো আমাদের সার্ভিসিং সেন্টারে গেলে আধা ঘণ্টার মধ্যে কেউ না কেউ আপনার মোটরসাইকেল সার্ভিসিংয়ের কাজ শুরু করবে। ৮০ শতাংশ গ্রাহকের ক্ষেত্রে আমরা সেটা করতে পারি। আমাদের প্রত্যেকটি সার্ভিসিং সেন্টারে কম্পিউটারের সাহায্যে সমস্যা শনাক্ত করার ব্যবস্থা আছে।
প্রথম আলো: আপনি তরুণদের সংযুক্ত করার কথা বলছিলেন।
সুব্রত রঞ্জন: সারা পৃথিবীতে বাইকিং একটি সংস্কৃতি। আমরা সেটা তৈরি করার চেষ্টা করছি। আমরা তরুণদের সঙ্গে ব্যাপকভাবে সংযুক্ত। বাইকার গ্রুপগুলো ও বর্তমান গ্রাহকদের আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাই। ফেসবুকে আমাদের লাইকের সংখ্যা ১১ লাখ, যা এ খাতে সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি আমরা সবচেয়ে বেশি মানুষের সমাবেশ করে ইয়ামাহার লোগো তৈরি করে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছি। আমরা বাইকারদের প্রশিক্ষণ দিই।
প্রথম আলো: আপনাদের মোটরসাইকেলগুলো ইয়ামাহার কোন দেশের কারখানা থেকে আসে?
সুব্রত রঞ্জন: আমরা মূলত ভারত থেকে বেশি আমদানি করি। এ ছাড়া একটি মডেল ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা হয়। এটি হলো, ইয়ামাহা আর১৫ভি৩। ভবিষ্যতে আমরা থাইল্যান্ড থেকেও ইয়ামাহার মোটরসাইকেল আনব। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী ইয়ামাহার জনপ্রিয় অ্যানম্যাক্স নামের একটি স্কুটার আমরা ইন্দোনেশিয়া থেকে আনছি। জানুয়ারিতে বাজারে পাওয়া যাবে।   
প্রথম আলো: আপনারা দেশে এনে মোটরসাইকেল সংযোজন করেন?
সুব্রত রঞ্জন: না, আমরা পুরোপুরি যুক্ত (সিবিইউ) অবস্থায় মোটরসাইকেল নিয়ে আসি। এ কারণে করের হার বেশি পড়ে। আমরা মোট কর দিই ১৫৩ শতাংশ। এ কারণে দাম বেশি। বিযুক্ত অবস্থায় আনলে (সিকেডি) মোট করভার দাঁড়ায় ১২১ শতাংশ। দেশে তৈরি করলে কর ৩৮ শতাংশ।
প্রথম আলো: মোটরসাইকেল সংযোজনে কারখানা করার কথা ছিল এসিআইয়ের।
সুব্রত রঞ্জন: গাজীপুরে ১০ একর জমিতে আমাদের কারখানার কাজ এগিয়ে চলছে। আগামী এপ্রিল-মে মাসে দেশে সংযোজিত ইয়ামাহা মোটরসাইকেলের কিছু মডেল বাজারে ছাড়া যাবে বলে আশা করছি। এরপর জুলাই থেকে আমরা ইয়ামাহা মোটরসাইকেলের একটি মডেল উৎপাদন শুরু করব, যেখানে বাংলাদেশে তৈরি কথাটি লেখা যাবে। ইয়ামাহা বিশ্বে প্রথমবারের মতো তার কোনো পরিবেশকের সঙ্গে কারিগরি সহযোগিতা চুক্তি করেছে।
প্রথম আলো: বাংলাদেশে মোটরসাইকেলের বাজার কতটুকু? সম্ভাবনাই বা কেমন?
সুব্রত রঞ্জন: দেশে এখন বছরে ৪ লাখ 

সোর্সঃ    প্রথম আলো 

নির্বাচন করছেন না সাকিব


সাকিব আল হাসানসাকিব আল হাসানআসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নেওয়ার ব্যাপারে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আগামীকাল রোববার তাঁর দলীয় মনোনয়নপত্র কেনার কথা ছিল।
এর আগে সাকিব নিজেই আজ প্রথম আলোর এই প্রতিবেদককে তাঁর নির্বাচন করার আগ্রহের কথা জানিয়ে বলেছিলেন, তিনি মাগুরা-১ আসনের জন্য তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেবেন।
সাকিব আল হাসান শনিবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি। নির্বাচন করব না।’ আগে নির্বাচন করার কথা জানিয়ে এখন কেন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন—এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাকিব আল হাসান কোনো মন্তব্য করেননি।
নড়াইল থেকে ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজারও আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করার কথা শোনা যাচ্ছে। গুঞ্জন রয়েছে, তিনিও আগামীকাল সকালে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন। 
মাশরাফির পক্ষ থেকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা না হলেও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, সাকিব-মাশরাফি দুজনই রোববার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন।
এর আগে চলতি বছরের ২৯ মে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসানের নির্বাচন করার বিষয়ে আভাস দিয়েছিলেন। পরদিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘আগামী বিশ্বকাপের আগে সাকিব ও মাশরাফি রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন না।’ 

সোর্সঃ প্রথম আলো 

নির্বাচনের আগে নমনীয় আ.লীগ


এক সপ্তাহ আগেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানুষের চিন্তাভাবনা অন্য রকম ছিল। অনেকেই মনে করছিল, আগামী নির্বাচনে খুব বেশি ভোট পড়বে না। নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবারও যেভাবেই হোক নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করতে চাইবে। কিন্তু হঠাৎ করেই দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। পরিবর্তিত এই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মানুষ আশা করছে, ডিসেম্বরের নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হতে পারে। যদিও ভোট সুষ্ঠু হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।

গত অক্টোবর মাস দুটি বড় চমক নিয়ে এসেছে। মাসের মাঝামাঝি সময়ে বড় দুই রাজনৈতিক দলের একটি বিএনপি তাদের দীর্ঘদিনের ডানপন্থী মিত্রদের বাদ দিয়ে তুলনামূলক উদার ছোট দলগুলোর সঙ্গে জোট করে। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন এই জোটের নাম জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এর চেয়েও বড় চমকটি আসে পরে। কঠোর অবস্থানে থাকা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ হঠাৎ করেই নমনীয় হয়। তারা ঐক্যফ্রন্টসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করে। ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দুই দফায় সংলাপ হয়। এই জোটের দাবিগুলোর অন্যতম হলো দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন এবং নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সংলাপের পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঐক্যফ্রন্টের দাবিগুলো বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে সংবিধান লঙ্ঘন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা সম্ভব নয়।
ঐক্যফ্রন্ট ইঙ্গিত দিয়েছে, দাবি আদায় না হলে তারা আন্দোলন-বিক্ষোভ করবে। তবে জোরালো আন্দোলন কিংবা নির্বাচন বয়কট, কোন পথে এগোবে তা নিয়ে তারা এখনো দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছে। এর আগে নির্বাচন বয়কট করে তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসন কিংবা দলটির কর্মী-সমর্থকদের। সংসদে দলটির অনুপস্থিতি ক্ষমতাসীনদের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে মামলা-হয়রানির শিকার হয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। বিএনপির হিসাবমতে, দলটির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় ৯০ হাজার মামলা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরেই দলটির সাড়ে চার হাজারের বেশি সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ৩৪টি। তাঁর ছেলে ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয়েছে।
তবে ক্ষমতাসীনদের কঠোরতার ওপর নির্ভর না করলেও চলবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নানা দিক থেকেই বাংলাদেশে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। গত এক দশকে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল গড়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হারে। গত বছর তা ভারত ও পাকিস্তানকেও ছাড়িয়ে গেছে, ৭ দশমিক ৩। মোট দেশজ উৎপাদনেও (জিডিপি) বাংলাদেশ অনেকখানি এগিয়ে গেছে। শিশুমৃত্যুর হার কমানো এবং মাধ্যমিকে ভর্তির হার ও গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ অনেক দিক দিয়ে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ।
কিন্তু উন্নয়নের এই চিত্র যেন রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে যায় না। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মূল বৈশিষ্ট্য হলো ‘পেলে সব পেতে হবে, নইলে মোটেই না’ । কোনো বিরোধই সংসদে আলোচনা বা ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে সমাধান হয় না, তা হয় দেশ অচল করে দেওয়া হরতাল–অবরোধে । ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক সহিংসতায় শুধু ভোট গ্রহণের দিন নিহত হয় ১৮ জন। এক শর বেশি ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করা হয়। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। বিরোধীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত হরতাল বা অবরোধ ডাকার লক্ষণ দেখা যায়নি। বরং রাজনৈতিক পরিবেশ উন্নয়নে সরকারি দল বিরোধী জোটের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে।
রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হলে বাংলাদেশের জন্যই তা মঙ্গলজনক। এর মাধ্যমেই এ দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি আরও ত্বরান্বিত হতে পারে।

সোর্সঃ- প্রথম আলো 

বি চৌধুরীর বাসায় কাদের সিদ্দিকী

এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, কাদের সিদ্দিকীএ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, কাদের সিদ্দিকীকৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী আজ শনিবার সন্ধ্যায় বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাসায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন।
যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা সভাপতির প্রেস সচিব জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর হঠাৎ করেই কাদের সিদ্দিকী আসেন। চা খেয়ে কিছুক্ষণ পরেই তিনি চলে যান।
এ ব্যাপারে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, বি চৌধুরীকে জাতীয় ঐক্যে আসার জন্য অনুরোধ করতেই তিনি গিয়েছিলেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন ও বি চৌধুরীকে নিয়ে কাদের সিদ্দিকী একসঙ্গে কাজ করতে চান। তবে যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান কী বলেছেন, সে ব্যাপারে তিনি জানেন না বলে জানান।
বি চৌধুরীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হওয়ার সময় কাদের সিদ্দিকী তাদের সঙ্গে থাকলেও ওই জোটে যোগ দেননি। আর বি চৌধুরীসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে ছাড়াই ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। আর সেখানে গত ৫ নভেম্বর কাদের সিদ্দিকী যোগ দেন।
তবে যোগ দেওয়ার আগে থেকেই কাদের সিদ্দিকী বি চৌধুরী ও কামাল হোসেনকে এক মঞ্চে হাজির করার চেষ্টা করেছেন। ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়ার দিনও তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘এখন তিনি আসছেন না, পরে হয়তো আসবেন।’
source:- prothom alo