
কিন্তু ৬৪ জেলার মাটি সংগ্রহ হবে কীভাবে? ফেসবুকের বন্ধুদের কাছে নিজ জেলার মাটি কুরিয়ারে পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানান শুভংকর। মাটির পরিমাণ বলে দিয়ে কুরিয়ারের খরচ পাঠানোর ইচ্ছেও প্রকাশ করেন। কিন্তু যাঁরা মাটি পাঠিয়েছেন, তাঁরা কেউ টাকা নিতে রাজি হননি।

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুরাইচ ইউনিয়নের বারাংকোলা গ্রামের তরুণ শুভংকর পালের (২৩) বাবা পল্লিচিকিৎসক নিহার রঞ্জন পাল। মা অমৃতা পাল। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। বাড়িতে কাকা দিলীপ কুমার পাল মাটি দিয়ে বিভিন্ন মূর্তি গড়তেন। কাকার সঙ্গে মাটির কাজে হাত লাগাতেন শুভংকর। বললেন, ‘আমি যেকোনো মানুষের মুখ মাটি দিয়ে গড়ে দিতে পারি।’ এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্নাতক পাস করেছেন ‘ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া’ বিষয়ে।
শুভংকরের নির্মাণ করা বাংলাদেশের মানচিত্র দৈর্ঘ্যে ২৮, প্রস্থে ১৮ ইঞ্চি। মানচিত্রটি রাখা হয়েছে কাচঘেরা একটি কাঠের বাক্সে। মানচিত্রের প্রতিটি জেলা তৈরি হয়েছে সে জেলার মাটি দিয়ে।
শুভংকরের মা অমৃতা পাল বলেন, ‘ও যে কাজ করছে তা শুধু ওর নিজের জন্য নয়; আমাদের পরিবারের জন্য, এ দেশের জন্য গৌরবজনক।’
সোর্সঃ প্রথম আলো
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন