Cute Orange Flying Butterfly মৃত্যুর পরের মৃত্যু ~ ‎অচিনপুরের আইয়ুব‬
আস-সালামু আলাইকুম। আমি আইয়ুব আনসারি। আমার লেখাগুলো পড়তে প্রত্যহ ব্লগটি ভিজিট করুন

শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৬

মৃত্যুর পরের মৃত্যু

মৃত্যুর পরের মৃত্যু
লেখকঃ আইয়ুব আনসারি (Ayub ANsary )
ইয়া বড় গোফ আর ইয়া বড় দেহের লোকটা । গভির রাত্রে কক্ষে এসে সবগুলোকে দেখছে । কারো গলা কাটা, কারো মাথায় গুলি লাগা কারো গলায় যখম আবার কারো দুই হাত কাটা । কি সাহস মাইরি লোকটার।
প্রথমে ঢোকঢোক করে মদ গিলে নিলো । পুরো নেশায় মাতাল ।আমাকে রাখা হয়েছে তিন নাম্বার বাক্সে । আমার গলা নেই। কতবার বললাম আমার গলা কাটিস না ।ওরা শুনলোই না । আমাকে জোড় করে ধরে তিন তিনটা কোপ মেরে গলা নামিয়ে দিল ।আবার আমার মুন্ডূ নিয়ে হাসাহাসিও করলো আর পাশের বনের ঝাড়ে ফেলে দিলো । আমি কিন্তু সব জানি কিন্তু দেশের প্রশাসন আমার মাথাটা খুজেই পেলো না । আমি বুজিনা আমি একটা মৃত হতভাগা মানুষ আমার মাথা কোথায় বুজলাম দেখলাম কিন্তু দেশের আইনের লোক পেলো না কেনো ? তবে কি আইনের চোখ অন্ধ এটা তার প্রমান ?উফ আমার মাথাটা যদি থাক্তো তাহলে আর বাকিদের দেখাতাম দেখ আমি কত সুন্দর ছিলাম । হ্যা আমি বেচে থাকতে মাঝে মাঝে মডেল করতাম বিভিন্ন গানে । সেই ৫ বছর আগের কথা যখন কেউ আমাকে চিন্তো না । ৪ বছর আগে চলচিত্রে ঢুকলাম তারপর এক বছরের ভেতর সুপার হিরো হলাম । গানের মডেল থেকে সিনেমার হিরো । খুব নামধাম ছিলো আমার । বাবা মা কেউ নাই । চেহারা আর অভিনয়ের জোড়ে ঢুকতে পেরেছিলাম এফডিসি তে । নায়ক
মান্না ,সালমান শাহ এরা আমার খুব প্রিয় ছিলো । নায়িকাদের ভেতর শাবনুর আর শাবানা এদের অভিনয় ভালো লাগতো । এখন তো আমি সুপার হিরো হলাম তাই সবাইকে দেখতে পারি কাছে থেকে ।সালমান ভাই আর মান্না বেচে নাই তাই দেখতে পারিনা । আমি একদিন অভিনয় করতে করতে পরিচালক কে কাঁদিয়ে ফেলেছিলাম । আমার অভিনয়ে সবাই ভক্ত।পারিবারিক ভাবে আমার বউ ছিলো । খুব ভালোবাস্তাম ওকে । কিন্তু বুজলোনা । একদিন ঘরে ঢূকলাম আর আমার মাথাটা ঘুরে গেলো যা দেখলাম । আমি বেশিরভাগ সময় শুটীং এ থাকি । বউ কে তেমন একটা সময় দেয়া হয়না । আমি ঘরে ঢুকে দেখি যে আমার বউ কার সাথে যেনো পরোকিয়ায় মেতে উঠেছে । আমি সোফায় বসে পরলাম আর ওদের সব দেখচি পাথর হয়ে । আমার দিকে রুপার চোখ পড়তেই ধাম করে তার উপরের লোকটাকে ফেলে দিলো আর সে আড়াল হলো । আমি একটু রাগি মানুষ তাই ওই লোকটাকে আচ্ছামতো মারলাম । রুপাকেও চড় মারলাম কয়েকটা । লোকটাকে বেড় করে দিলাম । আমি আর কি বলবো । আমার যে অনেক নাম কেউ জানলে আমার আর দাম থাকবেনা । তাই দরজা আটকে রুপাকে আচ্ছামত মারলাম । আমি পাগল হয়ে মারতে থাকলাম । রুপা চিৎকার করে বললো তুমি আমাকে কতটা সময় দাও?? হ্যা?? সারাদিন তো শুধু সিনেমা আর সিনেমা । আমি অবাক হয়ে গেলাম যে সময় পায়না তাই পড়োকিয়া করছে , বাহ রুপা বাহ । খুবি ভালো এই বলে আর কিছু না বলে চলে গেলাম । আজ সারা রাত ড্রিঙ্কস করলাম । মাতাল হয়ে রাত ৩ টায় ঘরে ঢুকলাম । রুপা দরজাটা খুলে দিলো । আমি আমার রুমে গেলাম । রুমে ঢুকতেই আমার মাথায় কারা যেনো কাপড় বেধে দিলো ।আমি কিছি দেখতে পাচ্ছিনা । আমাকে গাড়িতে বসালো । আমি জানি না কোথায় নিয়ে যাচ্ছে । আমাকে নামালো । ১০ জন লোক । আমাকে ঘিরে আছে । আমি কাউকে চিনি না ।শুধু যাকে মেরেছিলাম আজ রাতে তাকেই চিনলাম। কিছুক্ষ্ণ আমাকে মারলো তারপর আমাকে শুয়ালো । একজন আমার গলায় ছুড়ি দিয়ে কুপাচ্ছে আর বলছে এরা সবাই তোর বউয়ের কথায় এসেছে । টাকা দেহ দু টায় পাবো তাই তোকে মারছি আমরা । আমি নির্বাক হয়ে গেলাম যার জন্য এতো টাকা ইঙ্কাম করতাম সে আজ সেই টাকা দিয়ে আমাকে মারাচ্ছে । আমার ঘরের সব টাকা ওড় কাছে থাকতো । আমার দেহো থেকে মাথাটা নামিয়ে নিলো। অসাড় দেহো আমি মাথা দূরে পরে রইলাম । এরপর পুলিশ আমাকে এখানে এনেছে । তিন নাম্বার বাক্সে রেখেছে । আমি বড় নায়ক ছিলাম তাই আমার মৃত্যুতে অনেক তদন্ত করা হবে । বড় দেহের লোকটি নেশা করা শেষে প্রথমে একটা মেয়ের লাশ কাটা শুরু করলো । ডুমুর একটু কু নজরেই তাকালো । আমিও দেখছি মেয়েটাকে কাটা । আমার মাথা নেই কিন্তু এখন চোখ আমার গলাতে । বিধাতার কাছে চাইলাম আর দিলো । মেয়েটিকে আস্তে আস্তে বস্ত্র বিহিন করছে । আর মেয়েটাড় চেহারা খুব সুন্দর । ডুমুর পুরো দেহে হাত দিয়ে দেখছি । কি আজব মাইরি । মৃত্যুর পরও রক্ষা নেই । মেয়েটা ধর্ষিতা হয়েছে । তারপর নিজেই ফাসি নিয়ে মারা গেছে । ডুমুর মেয়েটাকে এপিঠ ওপিঠ করে দেখলো । তারপর পেট হত পা সব কাটলো । এবার আমার পালা , খুব ভয় লাগছে কত করুনভাবে যে কাটবে । আল্লাহ ই জানে । আমার মাথা নেই তাই ডুমুর গালি দিয়ে বললো বোকাকান্দা কে রে তুই?? কাগজে মিলিয়ে দেখলো আমি নায়ক ছিলাম । নাম ও দেখলো । ডুমুর বললো সারাজিবন তো মেলা মাইয়া মানুষ নিয়া মাতামাতি করছো ।এবার বোঝ ?? এই বলে আমার পেটে ছুড়ি চালালো । মাথাটা ফাটছে না তাই হাতুরি দিয়ে ধাম করে মারলো ।উফ কি ব্যাথা গো । আমার সব পরিক্ষা করলো একটা পরিক্ষক এসে । পরের দিন আমাকে কবর দেয়া হলো । তার একদিন পর আমাকে আবার কবর থেকে তুলবে । আমার গলায় কিভাবে কেটেছে তা দেখতে । আমি প্রায় পচে গেছি তবুও তুললো । সবে গুমিয়েছিলাম ।মানুষ কি নিষ্ঠূর ঘুমাতেও দিলো না । আবার সেই ভয়ংকর লোক্টা আর পরিক্ষক । আমাকে তার পরের দিন আবার কবর দেয়া হলো । সেইদিন রাত্রে কবরস্থানে ৫ জন লোক এসে আমার লাশটা চুরি করে নিয়ে গেলো কবর খুড়ে । আমি এখন বুড়ীগঙ্গা নদির জ্বলে । আজ বিকেলটা খুবি বিষন্ন যাচ্ছে আমার । হতাত রুপাকে দেখলাম । কারো বুকে মাথা রেখে নদির ধারে হাওয়া খাচ্ছে ।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন