Cute Orange Flying Butterfly ইসলামের দৃষ্টিতে থার্টি ফার্ষ্ট নাইট ~ ‎অচিনপুরের আইয়ুব‬
আস-সালামু আলাইকুম। আমি আইয়ুব আনসারি। আমার লেখাগুলো পড়তে প্রত্যহ ব্লগটি ভিজিট করুন

বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬

ইসলামের দৃষ্টিতে থার্টি ফার্ষ্ট নাইট

থার্টি ফার্ষ্ট নাইট উদযাপনে মুসলিমদের অংশ গ্রহণ জায়েয কিনা? 

কোনো মুসলিমের জন্য হিন্দু বা বিজাতীয়দের কোনো উৎসব, পুজা-পার্বন তথা কাফিরদের যে কোনো উৎসবে অংশ গ্রহন করা বৈধ নয়। 
Ayub Ansary


রাসুল সা বলেছেন: من تشبه بقوم فهو منهم "যে বিজাতির অনুসরণ করে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে ।" 
থার্টি ফাস্ট নাইট মূলত কাফিরদের উদ্ভাবন করা বেহায়াপনা উৎসব।
নাচ গান বাজনা বেহায়াপনা উলঙ্গপনা দিয়েই ই এ উৎসবের সূচনা। 
কাফিরদের উৎসবে যোগ দান মূলত তাদের কুফুরি কাজকে সমর্থন করা ও সহযোগিতার শামিল । 
মুসলিম হয়েও যারা এই সকল উৎসবে তাদের বন্ধু ও পরিবার পরিজন নিয়ে যোগ দেয় তারা জাহান্নামের আগুনের দিকে নিজেদেরকে ঠেলে দিচ্ছে ও সভ্যতার নামে বিশ্ব বেহায়া অসভ্য বর্বর জাতি হিসেবে নিজেকে ও তাদের বাচ্চাদের গড়ে তুলছে। 
আললাহ তায়ালা বলেন: و دوا لو تكفرون كما كفروا فتكونون سواء(سورة النساء 89) "কাফিররা চায় তারা যেমন কাফির হয়েছে তোমরাও তাদের মত কাফির হয়ে তাদের মত সমান হয়ে যাও" 
(।সুরা নিসা 89) 
শুধু নামে মুসলিম হলে জান্নাত লাভ হবে না ও জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে না বরং নামাজ রোজা হজ্জ যাকাত ইত্যাদি যাবতীয় নেক আমল আদায় করলে এবং যাবতীয় পাপাচার ও কবিরা গুনাহ ও কুফুরি কাজ পরিত্যাগ করলে ইসলামের হালাল হারামের বিধান মেনে চললেই জান্নাত লাভের আশা করা যাবে।
। 
আল্লাহ তায়ালা বলেন: والذين لا يشهدون الزور ( سورة الفرقان) 
"আর রহমানের (আল্লাহ তাআলার নেক) বান্দাহ হচেছন তারাই, যারা মুশরিকদের অনুষ্ঠান, শির্ক, মূর্তিপূজা ও এ জাতীয় অসার উৎসবে অংশগ্রহণ করে না।" 
(সূরা আল-ফুরক্বান) 
যে সকল মুসলিম কাফিরদের উৎসবে যোগ দান করে তাদের জিজ্ঞেস করব কোনো কাফির কি মুসলিম দের ঈদগাহে, মসজিদের নামাজে অংশ গ্রহণ করছিল? 
তাহলে কোন বিবেকে কিছু মুসলিম কাফিরদের কুফুরি উৎসবে যোগ দান করে? ইব্রাহিম আলাইহিস সালামকে মূর্তি পূজা অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করতে দাওয়াত দিলে তিনি সাথে সাথে তা অস্বীকার করে সরে পড়েন। 
তাই মুসলিমদের জন্য ইব্রাহিম আ. এর সেই আদর্শ অনুসরণ করা উচিত। কোনো নববর্ষের শুরুতে কোনো প্রকার অনুষ্ঠান করার অনুমতি ইসলাম দেয় না। 
অন্যান্য দিনের মতই এটি একটি দিন। 
সর্বক্ষণ অতীতের গুনাহের জন্য তাওবা করা ও ভবিষ্যতে নেক আমলের সিদ্ধান্ত নেওয়া ও আল্লাহর কাছে দোয়া করাই মুসলিমদের কাজ। 
কিন্তু যারা তা না করে কুফুরি করে ও কুফুরি উৎসবে যোগ দান করে তাদের জন্য ইহকাল ও পরকালে কঠিন শাস্তি রয়েছে। 
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সঠিক মুসলিম হবার ও কুফুরি কাজ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন আমিন।
আর মুসলিমদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করার, দাওয়াত দেওয়ার মন মানষিকতা দান করুন। 
আমীন।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন